Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Thursday 12 December 2013

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন কেরির ফোন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র কেলি এস ম্যাকার্থি গতকাল বুধবার দুপুরে সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে তারা কথা বলেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, টেলিফোনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সম্পর্কে পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর
তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান দুই দলের মধ্যে যে সংলাপ শুরু হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন কেরি। তিনি এ প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আর্থসামাজিক উন্নতির প্রশংসা করেন। আগামী দিনে এই অগ্রগতি ধরে রাখার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে। টেলিফোনে জন কেরি যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়েও আলোচনা করেন। এ সময় কেরি বাংলাদেশে এই বিচারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী তাকে পুরো প্রক্রিয়াটি তুলে ধরে বলেছেন, সম্পূর্ণ আইনগত পদ্ধতি অবলম্বন করেই বিচারকার্য সম্পন্ন হচ্ছে। বিচারে যুক্তরাষ্ট্র কোনো উদ্বেগের কথা জানিয়েছে কি-না জানতে চাইলে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সেপ্টেম্বরেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই নেত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন।
মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি :ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আমরা আগেও বলেছি যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, প্রধান দুই দলের জন্য এটি এখন আরও জরুরি হয়ে পড়েছে যে তারা যেন বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এমন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুঁজে বের করে। সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে আমরা অনুপ্রাণিত এবং আমাদের বিশ্বাস যে, সদিচ্ছার মাধ্যমে প্রধান দুই দল এমন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুঁজে বের করতে পারবে, যেমনটি বাংলাদেশি জনগণের চাওয়া ও প্রাপ্য।'
বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সফরের উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, 'বিসওয়াল বাংলাদেশে তার সাম্প্রতিক সফরকালে পরিষ্কার করে বলেছিলেন, সহিংসতা কখনই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে না। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। বিগত কয়েক দিনের অযৌক্তিক সহিংস ঘটনাবলি বিশেষভাবে নিন্দনীয়, কারণ শিশু-কিশোরসহ নির্দোষ মানুষ এসব বোমা হামলা ও অগি্নসংযোগের ঘটনার শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার জন্য দায়ীদের প্রতি আমরা সহিংসতা বন্ধ করে বাংলাদেশি জনগণকে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা ব্যতীত তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।'
মার্কিন দূতাবাস বিবৃতিতে আরও বলেছে, 'আমরা বিশ্বাস করি, সব দলেরই অবাধে ও শান্তিপূর্ণভাবে নিজের মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকতে হবে। এ সুযোগ প্রদান করা সরকারের দায়িত্ব এবং বিরোধী দলের দায়িত্ব হলো শান্তিপূর্ণভাবে এ সুযোগের ব্যবহার করা।'
কেরি-সুজাতা বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও ভারতের সফরকারী পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তারা অন্যান্য ইস্যুর সঙ্গে বংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে। জন কেরি ও সুজাতা সিং বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রসঙ্গসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তবে বৈঠক প্রসঙ্গে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
সুজাতা সিং চারদিনের সফরে গত রোববার ওয়াশিংটন পেঁৗছেন। তিনি জন কেরি ছাড়াও অন্য মার্কিন মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। পিটিআই।http://adf.ly/?id=353839