Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 22 December 2013

ঢাবির রাজাকার ঘৃণা স্তম্ভ ভেঙ্গেছে দুর্বৃত্তরা

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা স্তম্ভটিতে ভাংচুর চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
ঢাবির রাজাকার ঘৃণা স্তম্ভ ভেঙ্গেছে দুর্বৃত্তরা
ছবি: মাসুম বিল্লাহ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সামনে অবস্থিত ‘রাজাকার ঘৃণা স্তম্ভ’ ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
 বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা স্তম্ভটিতে ভাংচুর চালায়।
 এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতারা।
 ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন। স্তম্ভটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে স্থায়ী রূপ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা ।
 বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, স্তম্ভের কাছে তিনটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তার একটিতে লেখা-   “আমরা ক্যাম্পাসকে ধারণ করি। তোদের কারও এখানে ভাস্কর্য স্থাপনের অধিকার নেই। আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি।“ আরেকটি চিরকুটে লেখা- “ডাকসুর সামনে রাজাকার ঘৃণা স্তম্ভ থাকবে না। ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যা।“
 ঢাবি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ এম আমজাদ সাংবাদিকদের বলেন, “রাতের বেলা কে বা কারা এটা ভেঙ্গে ফেলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজাকারদের সমর্থকরা এটা ঘটিয়েছে।”
 ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ধরনের কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। এর আগে একবার ভেঙ্গে ফেলা হলেও প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের প্রতিকার করা হয়নি।”
 প্রসঙ্গত, রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করতে ২০০৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর এই স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। পরদিন স্তম্ভটি উন্মোচন করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে কে বা কারা সেটি ভেঙ্গে দেয়। এবারের বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘বিজয় ’৭১ মঞ্চের’ ব্যানারে নতুন করে সংস্কার করা হয় এই ঘৃণা স্তম্ভ। যা গত ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
 এবারের ঘৃণা স্তম্ভের অন্যতম উদ্যোক্তা খন্দকার তারেক রায়হান জানান, কে বা কারা রাতের আঁধারে ঘৃণা স্তম্ভটি ভেঙে ফেলেছে। তার ধারণা, এটা জামায়াত-শিবিরের কাজ।
 
তিনি বলেন, এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে প্রতিবাদলিপি এবং প্রক্টরের কাছে শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
http://adf.ly/?id=353839