যুগান্তর রিপোর্ট
গণমাধ্যম ও বিভিন্ন বিদেশী শক্তির কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ
আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পত্রিকার বুদ্ধিজীবীদের নিউজের হেডিং ও কলাম দেখলে তাদের গায়ে হাত না
দিয়েই বোঝা যায় তাদের গায়ে কত জ্বালা। আমেরিকা ও চীনের কড়া সমালোচনা করে আশরাফ বলেন, তাদের দেশে মৃত্যুদণ্ড
দেয়া হলে কোনো সমস্যা নেই। শুধু আমাদের বেলাতেই দোষ। শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে মহান
বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ
আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সমীক্ষায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। চীন নিজেদের বিশ্ব বিবেক বলে দাবি করে। তাদের দেশেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আমাদের এখানে হলেই দোষ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই যে ড্রোন হামলা করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, জুডিশিয়ালি না গিয়ে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। এই যে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হল। সাদ্দাম হোসেনকে রশি দিয়ে এমনভাবে ফাঁসি দেয়া হল যে, তার শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে গিয়েছিল। খুব তো সবাই মুসলমান মুসলমান বলে কান্নাকাটি করি। বিচার ছাড়াই লাদেনকে কিভাবে হত্যা করা হল। ঠাণ্ডা মাথায় তাকে হত্যা করে তার লাশ পর্যন্ত দাফন করা হল না। সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হল। এগুলো কি ধরনের জুডিশিয়াল কিলিং? কি ধরনের সিভিলাইজড কিলিং?
আশরাফ আরও বলেন, গাদ্দাফিকে ড্রেনের ভেতর থেকে বের করে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো কিছু না। আমরা কিছু করলেই দোষ। এগুলো নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা যদি কিছু বলি তাহলেই ওনারা নাখোশ হন। আর আমাদের এখানে তাদের কিছু দালাল, তারা আরও বেশি নাখোশ। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৭১ সালে ভারত মহাসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। সিকিউরিটি কাউন্সিলে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। তারা যদি যুদ্ধ থামাতে পারত তবে এ দেশ অর্জন করা কঠিন ছিল। তখন আমাদের পাশে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইন্ডিয়া। আমেরিকার পাশে ছিল চীন। তিনি আরও বলেন, আমাদের কেউ দয়া করে স্বাধীনতা দেয়নি। পাকিস্তানি সৈন্যরা দয়া করে পরাজিত হয়নি। আমাদের যুদ্ধ করে বিজয়ী হতে হয়েছিল। আমরা দেশের কোনো শত্র“কে ভয় পাই না। বিদেশী শত্র“দেরও ভয় পাই না।
আশরাফ বলেন, নিউজ হবে বস্তুনিষ্ঠ। আন্দাজ করে কোনো নিউজ হতে পারে না। অথচ পত্রিকায় ছাপা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গাছে কাঁচামরিচ ধরেছে। এখন ময়মনসিংয়ের লোকজন জানে না চাঁপাইনবাবগঞ্জে কি হয়েছে। আবার সেই পত্রিকাই কিছু দিন পর নিউজ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাগলের পেটে বাঘের বাচ্চা হয়েছে। আন্দাজের ওপর নিউজ হয় না। নিউজ হ্যাজ টু বি বেইজড অন ফ্যাক্ট।
টকশোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, টকশো মানে ইংরেজি টক না, এটি তেঁতুলের টক। এখানে যারা আসেন সবাই সর্ব বিষয়ে অভিজ্ঞ। আশরাফ বলেন, ঘুরেফিরে একই মুখগুলো সব জায়গাতে দেখা যায়। রাতে যাকে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়, সকালে তাকে রান্নার অনুষ্ঠানে দেখা যায়। বিকালে দেখা যায় শিশু পরিচর্যার অনুষ্ঠানে। গণতন্ত্রের আরেকটি স্তম্ভ গণমাধ্যম উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। তবেই গণতন্ত্র স্থায়ী রূপ লাভ করবে।
আমির হোসেন আমু : আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আন্দোলনের নামে যা হচ্ছে তা আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বোঝায় না। চুরি, ডাকাতি, হত্যা এগুলোকে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বলে- যা নিয়ন্ত্রণে ছিল, আছে। তিনি বলেন, আজকে একদলীয় নির্বাচন হচেছ না। নির্বাচনে ১২টি দল অংশ নিচ্ছে।
সুরঞ্জিত : আওয়ামী লীগের আরেক উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, খালেদা জিয়া বহুত গ্যাঁড়াকলে আছেন। তিনি গিলতেও পারছেন না ওগলাতেও পারছেন না। একদিকে জামায়াতের কথায় তিনি নির্বাচনে আসছেন না। অন্যদিকে তার দলের নেতারা নির্বাচন করতে চান।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সমীক্ষায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। চীন নিজেদের বিশ্ব বিবেক বলে দাবি করে। তাদের দেশেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আমাদের এখানে হলেই দোষ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই যে ড্রোন হামলা করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, জুডিশিয়ালি না গিয়ে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। এই যে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হল। সাদ্দাম হোসেনকে রশি দিয়ে এমনভাবে ফাঁসি দেয়া হল যে, তার শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে গিয়েছিল। খুব তো সবাই মুসলমান মুসলমান বলে কান্নাকাটি করি। বিচার ছাড়াই লাদেনকে কিভাবে হত্যা করা হল। ঠাণ্ডা মাথায় তাকে হত্যা করে তার লাশ পর্যন্ত দাফন করা হল না। সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হল। এগুলো কি ধরনের জুডিশিয়াল কিলিং? কি ধরনের সিভিলাইজড কিলিং?
আশরাফ আরও বলেন, গাদ্দাফিকে ড্রেনের ভেতর থেকে বের করে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো কিছু না। আমরা কিছু করলেই দোষ। এগুলো নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা যদি কিছু বলি তাহলেই ওনারা নাখোশ হন। আর আমাদের এখানে তাদের কিছু দালাল, তারা আরও বেশি নাখোশ। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৭১ সালে ভারত মহাসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। সিকিউরিটি কাউন্সিলে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। তারা যদি যুদ্ধ থামাতে পারত তবে এ দেশ অর্জন করা কঠিন ছিল। তখন আমাদের পাশে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইন্ডিয়া। আমেরিকার পাশে ছিল চীন। তিনি আরও বলেন, আমাদের কেউ দয়া করে স্বাধীনতা দেয়নি। পাকিস্তানি সৈন্যরা দয়া করে পরাজিত হয়নি। আমাদের যুদ্ধ করে বিজয়ী হতে হয়েছিল। আমরা দেশের কোনো শত্র“কে ভয় পাই না। বিদেশী শত্র“দেরও ভয় পাই না।
আশরাফ বলেন, নিউজ হবে বস্তুনিষ্ঠ। আন্দাজ করে কোনো নিউজ হতে পারে না। অথচ পত্রিকায় ছাপা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গাছে কাঁচামরিচ ধরেছে। এখন ময়মনসিংয়ের লোকজন জানে না চাঁপাইনবাবগঞ্জে কি হয়েছে। আবার সেই পত্রিকাই কিছু দিন পর নিউজ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাগলের পেটে বাঘের বাচ্চা হয়েছে। আন্দাজের ওপর নিউজ হয় না। নিউজ হ্যাজ টু বি বেইজড অন ফ্যাক্ট।
টকশোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, টকশো মানে ইংরেজি টক না, এটি তেঁতুলের টক। এখানে যারা আসেন সবাই সর্ব বিষয়ে অভিজ্ঞ। আশরাফ বলেন, ঘুরেফিরে একই মুখগুলো সব জায়গাতে দেখা যায়। রাতে যাকে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়, সকালে তাকে রান্নার অনুষ্ঠানে দেখা যায়। বিকালে দেখা যায় শিশু পরিচর্যার অনুষ্ঠানে। গণতন্ত্রের আরেকটি স্তম্ভ গণমাধ্যম উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। তবেই গণতন্ত্র স্থায়ী রূপ লাভ করবে।
আমির হোসেন আমু : আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আন্দোলনের নামে যা হচ্ছে তা আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বোঝায় না। চুরি, ডাকাতি, হত্যা এগুলোকে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বলে- যা নিয়ন্ত্রণে ছিল, আছে। তিনি বলেন, আজকে একদলীয় নির্বাচন হচেছ না। নির্বাচনে ১২টি দল অংশ নিচ্ছে।
সুরঞ্জিত : আওয়ামী লীগের আরেক উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, খালেদা জিয়া বহুত গ্যাঁড়াকলে আছেন। তিনি গিলতেও পারছেন না ওগলাতেও পারছেন না। একদিকে জামায়াতের কথায় তিনি নির্বাচনে আসছেন না। অন্যদিকে তার দলের নেতারা নির্বাচন করতে চান।