জয়দেব দাশ
বিএনপি-জামায়াত
জোট তাদের কৌশল পরিবর্তন করে এখন দেশে কিছু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটাতে
পারে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার, ব্যালট বক্সসহ বিভিন্ন
নির্বাচনী উপকরণ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও হতে পারে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
উপলক্ষে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী ও বিভিন্ন জেলার রিটার্নিং অফিসারদের বৈঠকে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন
একটি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ
ব্যক্তিদের নিরাপত্তার বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন ওই
গোয়েন্দা কর্মকর্তা। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, মাঠ পর্যায়ে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নির্বাচনের জন্য হুমকি, তাদের এখনই গ্রেফতার করা না হলে নির্বাচনের দিন ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো কঠিন হবে বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কমিশনকে জানানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সম্ভাব্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও প্রতিবন্ধকতার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভোটের আগের দিন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একসঙ্গে মালপত্র নিয়ে যাওয়া ও ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বৈঠকে বলা হয়েছে, আনসার সদস্যদের বাছাইয়ের সময় ভিন্ন মতাদর্শের কেউ আছে কি-না, তা নিশ্চিত হতে হবে। কারণ এবার তাদের হাতে অস্ত্র দেওয়া হবে। তিন-চারটি ভোট কেন্দ্র নিয়ে একটি ক্লাস্টার তৈরি করে নির্বাচনী মালপত্র পাঠানোরও পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা। নির্বাচনী মালপত্র পরিবহনের সময় আনসার সদস্যদের মাথায় বস্তা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে আনসারের পক্ষ থেকে ।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে সন্ত্রাসী ও ভোটে বাধা দিতে পারে_ এমন ব্যক্তিদের এখনই গ্রেফতার করতে হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে সভায় জানানো হয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী যত দিন প্রয়োজন তত দিনই মাঠে থাকবে। দুর্গম এলাকায় প্রয়োজনে তারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করবে। তবে তাদের শীতকালীন মহড়ার কথা চিন্তা করে যত দিন কম রাখা যায় তত ভালো।
বৈঠকে বিভিন্ন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা যোগাযোগের জন্য বিটিসিএলের বিকল্প ব্যবস্থা রাখার কথা বলেন। ভোটের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হলে কোনো সমস্যা হবে কি-না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন একজন সিনিয়র সচিব।
কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর প্রতি বিশেষ আনুকূল্য না দেখিয়ে আইন অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।