মঙ্গলবার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব দ্বিপক্ষীয় ৯ (কনস্যুলার ও প্রশিক্ষণ)
মুস্তাফা কামাল ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠান।
সমকাল প্রতিবেদক
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাস হওয়ায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার আফরাসিয়াব মেহদী হাশমী কোরায়েশিকে তলব করে তার হাতে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত প্রতিবাদলিপি তুলে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব দ্বিপক্ষীয় ৯ (কনস্যুলার ও প্রশিক্ষণ) মুস্তাফা কামাল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর সোমবার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত কড়া ভাষায় প্রতিবাদলিপি দিয়েছি।"
তিনি বলেন, "আমরা তাদের বলেছি এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে নাক গলাতে আসবেন না।"
এর আগে বিকেলে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব দ্বিপক্ষীয় ৯ (কনস্যুলার ও প্রশিক্ষণ) মুস্তাফা কামাল ডেকে পাঠান। বিকেলে আফরাসিয়াব মেহদী হাশমী কোরায়েশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান।
তলবের পর মুস্তাফা কামালের সঙ্গে কথা বলে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে পাকিস্তানের হাই কমিশনার বেরিয়ে যান। তিনি ২৫ মিনিট কথা বলেছেন।
সোমবার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। পাকিস্তান জামায়াতের সাংসদ শের আকবর খান এই প্রস্তাব উত্থাপন করলে তাতে সমর্থন জানায় সরকারি দল মুসলিম লিগ।
এ ছাড়া ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ, আওয়ামী মুসলিম লিগ, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কায়েদে আজম) ও জমিয়তে উলামা ইসলাম এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়।প্রস্তাবটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উচিত হবে না ৪২ বছর আগের পুরোনো ক্ষতকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা। এতে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ-সংক্রান্ত সব ধরনের মামলা 'পারস্পরিক সমঝোতা'র ভিত্তিতে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ইমরান খান দাবি করেন, "কাদের মোল্লা নির্দোষ। যে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, সেগুলোও ভুয়া।"
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে কার্যকর হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার আফরাসিয়াব মেহদী হাশমী কোরায়েশিকে তলব করে তার হাতে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত প্রতিবাদলিপি তুলে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব দ্বিপক্ষীয় ৯ (কনস্যুলার ও প্রশিক্ষণ) মুস্তাফা কামাল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর সোমবার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত কড়া ভাষায় প্রতিবাদলিপি দিয়েছি।"
তিনি বলেন, "আমরা তাদের বলেছি এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে নাক গলাতে আসবেন না।"
এর আগে বিকেলে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব দ্বিপক্ষীয় ৯ (কনস্যুলার ও প্রশিক্ষণ) মুস্তাফা কামাল ডেকে পাঠান। বিকেলে আফরাসিয়াব মেহদী হাশমী কোরায়েশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান।
তলবের পর মুস্তাফা কামালের সঙ্গে কথা বলে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে পাকিস্তানের হাই কমিশনার বেরিয়ে যান। তিনি ২৫ মিনিট কথা বলেছেন।
সোমবার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। পাকিস্তান জামায়াতের সাংসদ শের আকবর খান এই প্রস্তাব উত্থাপন করলে তাতে সমর্থন জানায় সরকারি দল মুসলিম লিগ।
এ ছাড়া ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ, আওয়ামী মুসলিম লিগ, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কায়েদে আজম) ও জমিয়তে উলামা ইসলাম এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়।প্রস্তাবটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উচিত হবে না ৪২ বছর আগের পুরোনো ক্ষতকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা। এতে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ-সংক্রান্ত সব ধরনের মামলা 'পারস্পরিক সমঝোতা'র ভিত্তিতে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ইমরান খান দাবি করেন, "কাদের মোল্লা নির্দোষ। যে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, সেগুলোও ভুয়া।"
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে কার্যকর হয়েছে।