Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 25 December 2013

থাইল্যান্ডে প্রার্থী নিবন্ধনে বাধা বিরোধীদের

থাইল্যান্ডে আসন্ন নির্বাচন ভণ্ডুল করতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা সোমবার আন্দোলন আরও জোরদার করেছে। নির্বাচন ভণ্ডুলের প্রচেষ্টা হিসেবে বিক্ষোভকারীরা প্রার্থীদের নিবন্ধন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের নিবন্ধন ঠেকাতে থাই-জাপানিজ স্টেডিয়াম ঘিরে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। সোমবার এই স্টেডিয়ামে নিবন্ধন করার কথা ছিল প্রার্থীদের। আসন্ন নির্বাচন প্রত্যাখান করে দেশটির বিরোধীদলের দাবি, নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ ও প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার করতে হবে। খবর :এএফপি ও বিবিসি অনলাইন।
সোমবার নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ব্যাহত করার লক্ষ্যে বিক্ষোভকারীদের নেতা সুথেপ থাউগসুবান থাই-জাপানিজ স্টেডিয়ামকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে রাখতে আন্দোলনকারীদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্রার্থিতার জন্য আবেদন করতে চাইলে তাদের অবশ্যই আমাদের পার হয়ে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা সমচাল শ্রীসুথিইয়াকর্ন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, থাইল্যান্ডের ৯টি দল ওই স্টেডিয়ামের মধ্যে প্রবেশ করতে সমর্থ হলেও কর্মকর্তারা তাদের নিবন্ধনের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি। তিনি জানান, প্রায় ২৪টি দল পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে যে, তাদের স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব দল স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। এবং নির্দিষ্ট সময়ে কাগজপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানাবে।
এর আগে গত রোববার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে প্রায় দেড় লাখ বিক্ষোভকারী ব্যাংককের রাস্তায় নেমে আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা আন্দোলন প্রতিহত করার প্রচেষ্টা হিসেবে জনগণের প্রতি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেন। শনিবার প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্রেট পার্টি নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দেয়। তীব্র বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সংবিধান অনুযায়ী নিজে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পালনের কথা জানান। তবে, এই নির্বাচনের বিরোধিতা করে আন্দোলনকারীরা ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
থাউগসুবান রোববার বলেন, আমরা নির্বাচনের বিষয়ে একমত নই। আমরা চাই, নির্বাচনের আগে যেন দেশের রাজনীতিতে সংস্কার করা হয়। তবে সে দাবি উড়িয়ে দিয়ে ইংলাক বলেছেন, নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে যাবতীয় সংস্কার করা হয়। ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হলো। থাইল্যান্ডে প্রায় এক বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সংকটের ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে সর্বশেষ অধ্যায়। এ সংকটে সাধারণত ইংলাক ও তার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যাংককভিত্তিক অভিজাত নাগরিকরা রাজপথে অবস্থান করছে। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ গরিব ও মধ্যবিত্ত লোক ইংলাক ও থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থক।