Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 22 December 2013

'সশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় ইসি'

সিইসি জানিয়েছেন, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন সেনাসদস্যরা।

'সশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় ইসি'
ফাইল ছবি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
 শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৮ দলের পক্ষে এই অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
 প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। দাবি আদায়ে শনিবার সকাল থেকে পঞ্চম দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে তারা।
 সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, "আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই-  আন্দোলন চলছে এবং আন্দোলনের অংশ হিসাবেই জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আয়োজিত সংলাপ চলছিলো- সবই ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সকলের অংশগ্রহণে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন সরকারের ধরণ নিয়ে।"
 তিনি বলেন, “একাদশ কিংবা পরবর্তী কোনো নির্বাচন নিয়ে আলোচনার কোনো অবকাশ কিংবা আগ্রহ আমাদের কখনও ছিল না- এখনও নেই। আমরা সরকারকে বলবো বাস্তবতা অনুধাবন করুন। জনগণের বিপক্ষে যাবেন না এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।”
 নজরুল ইসলাম খান বলেন, “যে নির্বাচনী প্রহসনে অর্ধেকের বেশি আসনে পছন্দনীয় প্রার্থীদের বিজয়ী দেখানো হয়েছে এবং অবশিষ্ট আসনও বাস্তবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো দূরের কথা প্রচারণাও নেই- সেই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক স্বশস্ত্র বাহিনীকে নিয়োগ করার খবরে আমরা বিস্মিত হয়েছি।”
 তিনি বলেন, “অযোগ্য নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছাপূরণের হাতিয়ার হয়ে নিজেরা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা জনগণের বিভিন্ন দুঃসময়ে যারা তাদের পাশে দাঁড়ায়-সেই স্বশস্ত্র বাহিনীকেও জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের এই অপচেষ্টার নিন্দা জানাচ্ছি।”
 শুক্রবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং অফিসার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ জানান,  নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করতে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন সেনাসদস্যরা। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেনা মোতায়েনের সময়সীমা কমবেশি হতে পারে।
 গত ২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।