Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Saturday 28 December 2013

সর্বক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার আ. লীগের

নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে আরেকবার আওয়ামী লীগকে দেশসেবার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
অনলাইন ডেস্ক
সর্বক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার আ. লীগের
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের স্ক্রিনশট।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সংগঠনের সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার বিকেলে এই ইশতেহার ঘোষণা করে আরেকবার আওয়ামী লীগকে দেশসেবার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শান্তি গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির পথে 'এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ' শিরোনামের ৪৮ পৃষ্ঠার এই ইশতেহারের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন শেখ হাসিনা।
ইশতেহারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের আর্থসামাজিক মুক্তি এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়া। এ লক্ষে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়িত করা। এজন্য প্রণীত হয়েছে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২১। আমাদের বর্তমান নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৪ এর সঙ্গে এর প্রেক্ষিত পরিকল্পনা পুনর্মূল্যায়ন এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে।
তিনি বলেন, "আমাদের সকল কাজের চূড়ান্ত লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি শান্তিপূর্ণ এবং হিংসা, হানাহানি, শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যমুক্ত ন্যায় ও সমতাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলা।"
 
সুশাসন, গণতন্ত্রয়ান ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়নকে এবারের ইশতেহারে অগ্রাধিকার দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত করা হবে।"
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন এবং শাস্তি কার্যকর করা হবে।"
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে গিয়ে আন্দোলনের নামে হত্যা, সন্ত্রাস, পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ, শিল্প কারখানায় অগ্নিসংযোগ, রেলওয়ের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলা, সড়ক কাটাসহ রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদের ধ্বংসসাধন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, উপাসনালয় ধ্বংস, অগ্নিসংযো, লুটপাট ও বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করা হবে।
ইশতেহারের পটভূমিতে আলোকজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, "শুরু হয়েছে দারিদ্র্য ও পশ্চাৎপদ হতে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ঐতিহাসিক কালপর্ব। পূর্ণ হয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪২ বছর।"
এতে আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের শাসনামলকে বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে বলা হয়েছে, পক্ষপাতদুষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মদদে কারচুপি ও কারসাজির ফলে ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিশ্চিত বিজয় ছিনতাই হয়ে যায়।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ তুলে ইশতেহারে বলা হয়েছে, সেনা সমর্থিত এই নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জরুরি অবস্থার সুযোগে ঢালাওভাবে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন ও নির্যাতনের পথ গ্রহণ করে।
 
এতে বলা হয়েছে, "২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার শপথ গ্রহণ করে। সঙ্কটজাল ছিন্ন করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা হয় অবারিত।"
'আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পাঁচ বছর: বদলে যাওয়া দৃশ্যপট' শিরোনামের এক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "আমরা আমাদের অঙ্গীকার পূরণ করেছি। তবে আমাদের অঙ্গীকার ও কর্মসূচি কেবল পাঁচ বছরের জন্য ছিল না।" এই অনুচ্ছেদে আওয়ামী লীগের বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ইশতেহার পাঠ শেষে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "নৌকা মার্কায় ভোট দিন। আসুন সম্মিলিতভাবে শান্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাই। রক্ত, হত্যা, হানাহানির অবসান ঘটাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলি। দেশ গড়ার এই সংগ্রামে জনতার জয় অনিবার্য।"
http://adf.ly/?id=353839