২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় সাংসদ রতনের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ তার এবং তার স্ত্রীর নামে ও যৌথ মালিকানায় দেখানো হয়েছিল ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ২৫৮ টাকা। নগদ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল এক কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৯ টাকা।
৫ বছর পর এবারের নির্বাচনের আগে হলফনামায় তার স্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩০২ টাকা। এবং অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে এক কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৯১০ টাকা।
গত বছরের হলফনামায় বিভিন্ন খাতে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৬ টাকা। ৫ বছর পর তার আয় কমেছে উল্লেখ করে বার্ষিক আয় নিজের ও স্ত্রীর মিলে দেখানো হয়েছে মাত্র ২৯ লাখ ৫০ হাজার ২৬৪ টাকা। অর্থাৎ ৫ বছর আগের আয় থেকে বর্তমান আয় কমেছে ৯০ শতাংশ। হিসাব অনুয়ায়ী গেল ৫ বছরে তার আয় হয়েছে এক কোটি ৪৭ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকা। অথচ তার সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৫ টাকার। সম্পদের হিসাবের এই গরমিল রয়েছে বাস্তবেও। তিনি তার নওধারের বাড়ি 'হাওর বিলাস'-এর মূল্য দেখিয়েছেন ৩৮ লাখ ৭ হাজার টাকা।
সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন হিসাবের গরমিল বিষয়ে বলেন, 'আমি আমার ব্যক্তিগত আয়ের হিসাব দেখিয়েছি, যৌথ কোনো কোম্পানির হিসাব দেখাইনি। বাড়ির মূল্য ২০০৬ সালের মূল্য অনুযায়ী দেখানোয় একটু কম হয়েছে।'