কুটনৈতিক ক্ষত প্রশমনের চেষ্টা
ইত্তেফাক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে
ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে হেনস্থার
ঘটনায় অবশেষে দুঃখ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন
কেরি বুধবার টেলিফোনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শংকর মেননের
কাছে এ দুঃখ প্রকাশ করেন। ধারণা করা হচ্ছে ভারতের ওই নারী কূটনীতিক
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গ্রেফতার হবার পর যে দুই দেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক
ক্ষত তৈরী হয়েছে তা প্রশমনের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির।
গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ভারতীয় কনস্যূলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে বিবস্ত্র করে দেহ তল্লাশির পর হাজতে পাঠানো হয়। তার হাতে প্রকাশ্য হাতকড়া পরানো হয় এবং কারাগারে তাকে মাদকসেবী ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দেবযানীর বিরুদ্ধে জাল ভিসার সাহায্যে সঙ্গীতা রিচার্ড নামে এক ভারতীয় পরিচারিকাকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন প্রশাসন। পরে আড়াই লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জামিন পান দেবযানী। এর আগে একজন উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকের সঙ্গে এ ধরণের আচরণকে বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী কেরি বলেছেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'দেবযানী খোবরাগাড়ের সমবয়সী দুই কন্যার জনক হিসেবে জন কেরি ভারতীয় ওই কূটনীতিকের সঙ্গে রূঢ় আচরণ সম্পর্কে নয়াদিল্লীর অভিযোগ গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন।' মেননের সঙ্গে আলাপকালে কেরি দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মহিলা উপমুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বলেন, জন কেরির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত কূটনীতিকরা যেমন সম্মানিত ও মর্যাদা পেয়ে থাকেন তেমনিভাবে বিদেশেও মার্কিন কূটনীতিকদের গ্রহণ করা উচিত বলে ওয়াশিংটন আশা করে।
গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ভারতীয় কনস্যূলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে বিবস্ত্র করে দেহ তল্লাশির পর হাজতে পাঠানো হয়। তার হাতে প্রকাশ্য হাতকড়া পরানো হয় এবং কারাগারে তাকে মাদকসেবী ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দেবযানীর বিরুদ্ধে জাল ভিসার সাহায্যে সঙ্গীতা রিচার্ড নামে এক ভারতীয় পরিচারিকাকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন প্রশাসন। পরে আড়াই লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জামিন পান দেবযানী। এর আগে একজন উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকের সঙ্গে এ ধরণের আচরণকে বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী কেরি বলেছেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'দেবযানী খোবরাগাড়ের সমবয়সী দুই কন্যার জনক হিসেবে জন কেরি ভারতীয় ওই কূটনীতিকের সঙ্গে রূঢ় আচরণ সম্পর্কে নয়াদিল্লীর অভিযোগ গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন।' মেননের সঙ্গে আলাপকালে কেরি দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মহিলা উপমুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বলেন, জন কেরির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত কূটনীতিকরা যেমন সম্মানিত ও মর্যাদা পেয়ে থাকেন তেমনিভাবে বিদেশেও মার্কিন কূটনীতিকদের গ্রহণ করা উচিত বলে ওয়াশিংটন আশা করে।