Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 22 December 2013

মহাসড়কে নিরাপত্তায় সেনা টহল

মহাসড়কে চলমান সহিংসতার মধ্যে সেনাসদস্যদের টহল অনেকের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
সমকাল প্রতিবেদক
দেশের বেশ কয়েকটি জেলার মহাসড়কে গতকাল সেনাসদস্যরা টহল দিয়েছেন। যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় সেনাসদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
মহাসড়কে  নিরাপত্তায় সেনা টহলএসব সেনাসদস্য শীতকালীন মহড়ায় অংশ নিতে সেনা ছাউনির বাইরে এসেছেন। সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়কে গতকাল পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সেনাসদস্যরা বেশ তৎপর ছিলেন। তারা পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় তারা যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে বাঁশি ফুঁকিয়ে চালকদের সতর্ক করেন। এ ছাড়া রাজধানীর গাবতলী ও যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনালেও সেনাসদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। মহাসড়কে চলমান সহিংসতার মধ্যে গতকাল সেনাসদস্যদের টহল অনেকের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
এদিকে নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও ভোটারদের নিরাপত্তায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ দিনের জন্য মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। মহাসড়কে সেনাবাহিনীর টহলের ব্যাপারে দায়িত্বশীল কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ার একটি অংশ নাগরিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ।
আর নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে গতকাল বেশ কয়েকটি মহাসড়কে সেনাসদস্যরা টহল দেন। নির্বাচন পর্যন্ত মহাসড়কে এই টহল চলতে পারে। এর আগে বিভিন্ন সময় শীতকালীন মহড়ায় সেনাসদস্যদের এ ধরনের টহল চোখে পড়েনি।
প্রতিবছরই সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট এলাকায় সেনাসদস্যরা তাদের শীতকালীন প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নিয়ে থাকেন। সাধারণত লোকালয়ের অদূরে কোনো মাঠে সেনাসদস্যরা তাদের প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেন। এবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া শুরু হয়েছে।
শীতকালীন মহড়ার মধ্যেই গতকাল মহাসড়কে সেনা টহল সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। সম্প্রতি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতেও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীতকালীন প্রশিক্ষণ মহড়া চলছে।
চলমান অবরোধ ও হরতালে মহাসড়ক ঘিরে ব্যাপক নৈরাজ্য চালিয়েছে বিরোধী জোট। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দেশের অন্যতম প্রধান মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকায় জামায়াত-শিবির ব্যাপক নৈরাজ্য চালায়। নৈরাজ্য বন্ধে সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে সেনাসদস্যরা মহাসড়কে দায়িত্বরত অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যদের সহায়তা করছেন। মহাসড়কে সেনাবাহিনীর এ ধরনের টহল আরও বেশ কিছু দিন চলবে। মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো সেনা নিয়োগের জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছে।
সিলেট ব্যুরো জানায়, 'শীতকালীন মহড়া'য় অংশ নিতে গতকাল শনিবার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বালাগঞ্জ উপজেলার তাজপুরে ক্যাম্প তৈরি করা হয়। সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করলেও সেনাসদস্যরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
শনিবার তারা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হুমায়ুন রশীদ চত্বরে অবস্থান নেন। সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শীতকালীন মহড়ার পাশাপাশি মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তা দেবেন সেনাসদস্যরা। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সেনা মোতায়েন নয়, শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প করেছেন।
http://adf.ly/?id=353839