Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Thursday 12 December 2013

অজ্ঞাত স্থান থেকে উস্কানিমূলক এসএমএস

সমকাল প্রতিবেদক
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অজ্ঞাত স্থান থেকে আবারও গণএসএমএস পাঠিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। তিন দিন ধরে এ বার্তা দিলেও সরকার থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে গতকাল বুধবার মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে এক
বৈঠকে এসব এসএমএস প্রেরকদের দ্রুত চিহ্নিত করতে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি।
'বিজিডি' নামে বার্তাগুলোতে কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রসঙ্গ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য রয়েছে। বিচারপতির বাসভবনে আগুন দেওয়া, অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চে ককটেল বিস্ফোরণের কথাও উলেল্গখ করা হয়েছে এসএমএসে। এসব এসএমএসের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকেও। তিন মাস আগে গোয়েন্দারা এ বিষয়ে সতর্ক করলেও গতকাল বিটিআরসি কার্যালয়ে সব মোবাইল ফোন অপারেটরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সংস্থার চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে এমন মোবাইল বার্তা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সতর্ক করা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, 'সম্প্রতি পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, অসাধু ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটে ফ্রি এসএমএসের জন্য বিদ্যমান ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে অন্যের সেল নম্বর ব্যবহার করে হীন উদ্দেশ্য সাধনে লিপ্ত হচ্ছে এবং নানা ধরনের বিভ্রান্তি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
গত সোম ও মঙ্গলবার যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে এসএমএস পাঠায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। সেখানে লেখা হয় এ ফাঁসি কার্যকর হলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাবে।
গত ২৫ অক্টোবর 'শাহাদাতের টিম' ও 'জাগো জনতা' নামে পুলিশকে পাঠানো হয় মোবাইল বার্তা। আগে গত ২৩ জুন 'দুই নেত্রীকে বাদ দিন' শিরোনামে এসএমএস পাঠানো হয় বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোনে।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব অজ্ঞাত এসএমএস শনাক্ত করতে অপারেটরদের কিছু নতুন প্রযুক্তি স্থাপন করতে হবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এরই মধ্যে ক্লাউড বেইস মুক্ত কোডের সফটওয়্যার বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমাদের সরকারকে দেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘি্নত হয় এমন বিষয়গুলোতে সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।