শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ ব্রীজ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। ফাইল ছবি
নীলফামারীর
রামগঞ্জে আওয়ামী লীগ সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা ও সংঘর্ষের
ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তবে সাংসদ নূর অক্ষত রয়েছেন।
নিহতরা
হলেন- টুপামারী ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী (৫০), যুবলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন (২৬), ছাত্রলীগ কর্মী মুরাদ হোসেন (২৩)।
অন্যজন লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সিদ্দিক (৪২)।
তবে সিদ্দিককে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে জামায়াতও।
সহকারী
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শফিউল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,
পৌনে ৫টার দিকে রামগঞ্জ ব্রিজের কাছে জামায়াত-শিবির সাংসদ নূরের গাড়িবহরে
হামলা করলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এতে নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপারসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, বিকেল ৫টার দিকে সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ
কাঁচারী বাজার থেকে শহরে ফেরার পথে রামগঞ্জ ব্রিজের কাছে জামায়াত-শিবিরের
নেতাকর্মীরা তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরাও
জামায়াতের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও
রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে খোরশেদ আলম, সিদ্দিক,ফরহাদ হোসেন ও মুরাদ
হোসেন নিহত হন।
সংঘর্ষের পর শহরের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তারা।
জেলা কৃষকলীগ সভাপতি অক্ষয় কুমার রায় দাবি করেছেন, বিএনপি-জামায়াতের হামলায় কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ আলম নিহত হন।
মুরাদ হোসেন ছাত্রলীগ কর্মী বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি দীপক চক্রবর্তী।
এদিকে,
লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী দাবি করেন,
সংঘর্ষে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপি নেতা সিদ্দিক নিহত
হন।
তবে সিদ্দিককে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে জামায়াতও।
পুলিশ জানিয়েছে, সাংসদ নূরকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শহরের ফুড অফিস সড়কে তার বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।
এখন ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।