Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Saturday 2 November 2013

বিটিআরসির আয় কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা


বিটিআরসির আয় কমেছে
দেড় হাজার কোটি টাকা
জয়দেব দাশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) বার্ষিক আয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা কমেছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে আয় ১ হাজার ৫৫২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা কমেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এদিকে নতুন অর্থবছরের প্রায় চার মাস শেষেও প্রস্তুত হয়নি গত অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সংস্থাটির আয় হয় ৩ হাজার ৫০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পরের ৬ মাসে আয় হয়েছে ২ হাজার ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিটিআরসির কোষাগারে সর্বমোট জমা পড়ে ৫ হাজার ৪০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, যা সরকারের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৯৯৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা কম। ২০১১-১২ অর্থবছরে বিটিআরসির আয় ছিল ৬ হাজার ৯৫৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানান, গত অর্থবছরের শেষ ৬ মাসে হঠাৎ করেই সরকারি এ সংস্থাটির আয়ের পরিমাণ কমে যায়। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলেও আগের অর্থবছরে বিটিআরসি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে ছয়শ' কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে। কর্মকর্তারা জানান, বিটিআরসি প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের কারণেই আগের বছর লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় বিভিন্ন লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান ও সরকারের শেষ সময়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে অর্থ আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিটিআরসি। ফলে ২০১১-১২ সালের তুলনায় গত অর্থবছরে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির আয় কমেছে ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সূত্র জানায়, গত বছর বিটিআরসি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির কাছ থেকে দ্বিতীয় প্রজন্মের (টুজি) মোবাইল প্রযুক্তির লাইসেন্স নবায়নের দ্বিতীয় কিস্তির ফি থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৬২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। তবে অন্য অপারেটর সিটিসেল থেকে ফি আদায় করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক কলের রাজস্বের ক্ষেত্রে গত অর্থবছরের সংস্থার আয় কমেছে ৪০০ কোটি টাকা। ২০০৮ সালে ২৫টি নতুন প্রতিষ্ঠানকে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডবি্লউ) লাইসেন্স দেওয়া হলে এ খাতে রাজস্ব প্রায় আট গুণ বাড়ে। ২০০৮ সালে ভিওআইপি কল থেকে আয় ছিল মাত্র ৮৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। পরের বছরই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ২০১০ সালে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৭৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। ২০১১ সালে ১ হাজার ৫৩২ কোটি ৩৯ লাখ এবং ২০১২ সালে তা ৪২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, রাজনৈতিক বিবেচনায় পাওয়া আইজিডবি্লউগুলো অবৈধ কল টার্মিনেশন ও বকেয়ার কারণেই তারা এ খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে চলতি অর্থবছরে থ্রিজির বদৌলতে রেকর্ড পরিমাণ আয় হবে বলে আশা করছেন নীতিনির্ধারকরা। এ বছর বিটিআরসির আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। বছরের প্রথমার্ধেই সংস্থাটি থ্রিজির তরঙ্গ থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে।