আজ সোমবার চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে মহানগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে রহমতপুর এলাকায় আকবর হোসেন ফকির নামে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে জখম করে এবং হাতের তিনটি আঙুল কেটে ফেলেন বিএনপির কর্মীরা। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল রোববার সকাল থেকে রহমতপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় মুখোমুখি অবস্থান নেন। এ সময় দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষ প্রায় অর্ধশতাধিক গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও এ সময় ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষের পর বিকেল প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে রহমতপুর এলাকায় বিএনপির সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার বাড়িতে হামলা চালান আওয়ামী লীগের কর্মীরা। সাংসদের বাড়ির খড়ের গাদা ও বৈঠকখানায় আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। এ সময় বাড়ির জানালা খুলে তাকানোর সময় সাংসদের ছেলে গুলিবিদ্ধ হন।
পরে তাঁকে পুলিশ পাহারায় প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিত্সার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।@Prothomalo