হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ আহমদ শফীর দোয়া
নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এরশাদ ক্ষমতায় গেলে
হেফাজতের ১৩ দফা মানার চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের
মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী।
আজ রোববার বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে এরশাদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামের দারুল উলুম মইনুল ইসলাম (হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা) মাদ্রাসায় হেফাজতের প্রধান কার্যালয়ে যায়। সেখানে তাঁরা প্রায় ৫০ মিনিট বৈঠক করেন।
বৈঠকে জাতীয় পার্টির স্থানীয় সাংসদ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এরশাদের
উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইউসুফ হাওলাদার, তপন
চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সোলায়মান শেঠ উপস্থিত
ছিলেন।
অন্যদিকে হেফাজতের পক্ষে শাহ আহমদ শফী, মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী,
নায়েবে আমির শামসুল আলম, শফীর ব্যক্তিগত সহকারী শফিউল আলম, হেফাজতের
সাংগঠনিক সম্পাদক আনাছ মাদানী মুনির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি দোয়া নিতে আসছি। তিনি (শফী)
বলেন, আমরা দোয়া করলাম যে মনোবাসনা নিয়ে আসছেন, আল্লাহ যেন তা পূরণ করেন।’
নতুন জোট করার বিষয়ে এরশাদ বলেন, ‘আমরা যদি জোট করতে পারি ইনশাআল্লাহ হবে।
আমরা নির্বাচন করব। এই সরকারের বিরুদ্ধে করব।’
জুনায়েদ বাবুনগরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সাবেক মাননীয় রাষ্ট্রপতি এসেছেন। অনেক মান্যগণ্য ব্যক্তি এসেছেন। আল্লামা শফী সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। ওনাদের আসার উদ্দেশ্য হলো হজরতের সাথে সৌজন্যসাক্ষাত্ ও দোয়া নেওয়া। উনি কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করার জন্য আসেন নাই। রাজনৈতিক কোনো আলোচনা হয় নাই। কেবল দোয়ার জন্য আসছেন, কিছু নাশতা করেছেন। শফী সাহেব লম্বা দোয়া করেছেন উনার জন্য, দেশবাসীর জন্য। আজকের অনুষ্ঠানটি দোয়া অনুষ্ঠান। আমি কথা প্রসঙ্গে বললাম, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। ইমান রক্ষা ও দ্বীন রক্ষার আন্দোলন। এ হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে প্রচলিত রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নাই। হেফাজতে ইসলাম আগামী দিনে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে নির্বাচন করবে না। কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জোট করবে না। এ ব্যাপারে ওনারা (এরশাদ) প্রশ্ন করেন নাই। এ সমস্ত আলোচনা ওনারা করেন নাই। ওনারা শুধু দোয়ার জন্য আসছেন। উনাদের উপস্থিতিতে আমি মহাসচিব হিসেবে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে এসব কথা পরিষ্কার করেছি। ওনারা খুশি হয়ে গেছেন।’