Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Monday 25 November 2013

ওয়াশিংটনে টিকফা সই আজ

টিকফা নিয়ে বিএনপি কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও বামপন্থি দলগুলো এ চুক্তিকে জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী হিসেবে অভিহিত করছে।

ওয়াশিংটনে টিকফা সই সোমবারবাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বহুল আলোচিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত চুক্তি টিকফা সই হচ্ছে সোমবার।
 
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সময় সকাল সাড়ে ১১টায় ওয়াশিংটনে এ চুক্তি সই হবে।
 
চুক্তি সই করতে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এরই মধ্যে ওয়াশিংটন গেছে।
 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ_ইউএসটিআর) ওয়েন্ডি কাটলার ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করবেন।
 
গত ১৭ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়।
 
সরকারের পক্ষ থেকে এ চুক্তি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। টিকফা সই করার ফলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দুই দেশ নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারবে।
 
টিকফা নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও বামপন্থি দলগুলো এ চুক্তিকে জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী হিসেবে অভিহিত করছে।
 
গত বছরের মে মাসে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের সময় টিকফা সই হবে বলে আশা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সই না হওয়ায় সেপ্টেম্বরে দু'দেশের অংশীদারি সংলাপে ফের ইস্যুটি উত্থাপন করে ওয়াশিংটন।
 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরের সময় টিকফা ইস্যু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উত্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী তখন নিশাকে জানান, তিনি একটি প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে পাঠাচ্ছেন। এই প্রতিনিধি দল চুক্তি সই করবে।
 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির অবশ্য মনে করেন, টিকফা সই করার জন্য এ সময়কে বেছে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।
 
তিনি সমকালকে জানান, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ইস্যু বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন। এ সময়ে টিকফা নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ তেমন নেই।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির অবশ্য টিকফা চুক্তিকে ভালো চুক্তি হিসেবে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, "টিকফা একটি কাঠামো মাত্র। এখন এই কাঠামোকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে, সেটি বাংলাদেশের সামর্থ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করে।"