Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 17 November 2013

আদালতে যা হলো আজ

অবৈধ অর্থ লেনদেনের মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ার পর আদালত এলাকায় সরকার সমর্থক আইনজীবীদের বিক্ষোভ। ছবি: মনিরুল আলমবিচারক মো. মোতাহার হোসেন আদালতকক্ষে এসে পৌঁছান দুপুর ১২টার কিছু আগে। ততক্ষণে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীতে পূর্ণ। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের রায় ঘোষণার আগে বেশ ফুরফুরে দেখালেও পরের দিকে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রায় ঘোষণার পর আপাতদৃষ্টে আদালত চত্বর চলে যায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের দখলে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা রয়েছে। আজ রোববার প্রথম একটি মামলার রায় হলো। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের হওয়া মামলাটিতে দুজন আসামি হলেও, সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তারেক রহমান। ফলে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী, সাংবাদিক ও উত্সাহী জনতার কোনো কমতি ছিল না।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর ছোট এজলাসকক্ষটিতে জজ আদালতের আইনজীবীদের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদেরও আসতে দেখা যায়। একপর্যায়ে কক্ষটিতে শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত হন। দুপুর ১২টার কিছু আগে বিচারক আসার পর তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। তারও প্রায় দুই ঘণ্টা আগে গিয়াসকে আনা হয় এজলাসকক্ষে। সাদাটে শার্ট পরিহিত গিয়াস উদ্দিনকে আজ খুব একটা চিন্তিত দেখায়নি। তিনি বিচারক এজলাসে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত খবরের কাগজ পড়েন, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন। রায় ঘোষণার শুরুতে বিএনপিপন্থী আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যে রায় হবে তা-ই আমরা মেনে নেব। এজলাসকক্ষে কোনো হইচই করব না।’

এরপর রায় ঘোষণা শুরু করেন বিচারক মো. মোতাহার হোসেন। কাছ থেকেও কোনো শব্দ শোনা না যাওয়ায় আইনজীবীরা বেশ কয়েকবার বিচারককে জোরে রায় পড়ার অনুরোধ জানান। বিচারক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের রায়টি ঘোষণা করেন প্রথমে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি তারেক রহমানের বেকসুর খালাস পাওয়ার রায় ঘোষণা করেন। সঙ্গে সঙ্গে আদালতকক্ষে উল্লাসে ফেটে পড়েন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তাঁদের কেউ কেউ বারান্দা থেকে বিজয়সূচক ভি-চিহ্ন দেখান। তখনই আদালত প্রাঙ্গণে শুরু হয় আনন্দ মিছিল।

এজলাসকক্ষ থেকে দুদকের আইনজীবী আনিসুল হক বেরোনোর সময় আওয়ামলীগপন্থী কোনো কোনো আইনজীবী ‘ধর ধর’ বলে চিত্কার করতে থাকেন। রাষ্ট্রপক্ষের ক্ষুব্ধ আইনজীবীরাও দরজায় ধাক্কা দিয়ে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। দিনের শুরুতে আদালত চত্বরে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের বেশি দেখা গেলেও রায় ঘোষণার পর অনেককেই আর দেখা যায়নি। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা দফায় দফায় আনন্দ মিছিল করেন। তাঁরা স্লোগান দেন, ‘বাকশালিদের দিন শেষ, তারেক জিয়ার বাংলাদেশ। দুদকের দালালেরা হুঁশিয়ার, সাবধান’।