সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে।"
সোমবার
সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ প্রাঙ্গণে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ভবন
উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
সরাসরি
ভোটের মাধ্যমে এই সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে—উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,
"এই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা
হয়েছে। কেউ যদি সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় আসতে চায় তার জন্য তাকে বিচারের
মুখোমুখি হতে হবে—এই ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি।"
তিনি বলেন, "ভবিষ্যতে জনগণ সময় মতো ভোট দেবে, যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। জনগণ যাকে চাইবে তারাই ক্ষমতায় আসবে।"
এই
সরকারের সময়ে দেশে ৫ হাজার ৮০৩টি নির্বাচন হয়েছে—উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, "এসব নির্বাচনের মাধ্যমে ৬৪ হাজার ২৩ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত
হয়েছেন। এর কোনো একটি নির্বাচন নিয়েও কোনো অভিযোগ ওঠেনি। অনেক নির্বাচনে
আমরা রুলিং পার্টি হয়েও হেরে গেছি। জনগণ আমাদের ভোট দেয়নি। আমরা মাথা পেতে
নিয়েছি।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশের মানুষের জনগণের
ভোটের অধিকার নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য নির্বাচন
কমিশনকে শক্তিশালী করাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।"
গণতান্ত্রিক
প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলেই অর্থনীতির অগ্রগতি হয়, দেশ এগিয়ে যায়—এমন
মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কোথাও না কোথাও থেকে তো শুরু করতে হবে,
যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে
এগিয়ে যেতে পারে।"
তিনি বলেন, "পার্লামেন্টে প্রায়
৯০ ভাগ সিট আমাদের। তারপরও আমরা বিরোধীদলকে আহ্বান জানিয়েছি—আসুন আমরা সকলে
মিলে নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি ভিত পরবর্তী প্রজন্মকে
দিয়ে যাই।"