প্রথম যখন রক্তবৃষ্টি হয়, তখন ‘আর্থ সায়েন্স’ এর গবেষকরা বলেন, এটি প্রকৃতপক্ষে কোন উল্কাখন্ডের বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে সেখানে এক খন্ড উল্কা পতিত হয়েছিল। ট্রপিক্যাল বোটানিক গার্ডেন ও রিসার্চ ইন্সটিটিউট যখন গবেষণা চালালো, তখন বলা হলো উল্কাখন্ড নয়, বৃষ্টির পানিতে ছিল এক ধরণের ছত্রাক বা ছত্রাকের স্পোর(রেণু)।
ভারত থেকে যাওয়া যাক শ্রীলঙ্কার স্টিনটেক ল্যাবে। এখানকার গবেষকরা যা
পেলেন তা আরো ভয়াবহ। ছত্রাকের যে স্পোর বৃষ্টির পানিতে পাওয়া যাওয়ার কথা
বলা হয়েছিল, দেখা গেল সেই স্পোরগুলোর ভেতরে কোন ডি এন এ নেই, কিন্তু তাদের
সংখ্যা বেড়েই চলেছে! লুইস বলেন, এই রহস্যময় স্পোর বা রেণু হয়তো মহাশূণ্য
থেকে এসেছে। শুধু তাই নয়, প্রায় ৫৭২ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় এগুলোর
সংখ্যা বেড়েই চলেছে! যে তাপমাত্রায় কোন জীবেরই বেঁচে থাকার কথা নয়!
জ্যোতির্জীববিজ্ঞানী চন্দ্র বিক্রমসিংহে বলেন, “বৃষ্টির মাধ্যমে ভিন্ন
গ্রহের প্রাণী কিংবা ক্ষুদ্র জীব কণার পৃথিবীতে আগমণের ঘটনা আপাত দৃষ্টিতে
যুক্তিসঙ্গত। কারণ এবছরই প্রায় ১০০ টন ওজনের গ্রহাণু পৃথিবীতে এসে পড়ে।”
এবছরের শুরুর দিকে বিক্রমসিংহে ঘোষণা দেন তিনি তিনি একটি উল্কাখন্ডের ভেতরে অতিক্ষুদ্র জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন। এরপরই তিনি তাঁর “panspermia’ নামের থিওরি দেন, যাতে বলা হয়, মহাবিশ্বের সবখানেই প্রাণের অস্তিত্ব আছে এবং গ্রহাণু ও উল্কা দ্বারা সেগুলো মহাশূণ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। যাই হোক, লুইস ও বিক্রমসিংহের দেয়া তত্ত্ব ও বক্তব্য বিতর্কের ঝড় তুলে। এবছরের প্রথমদিকে গবেষক অনিল সমরনায়েকে ‘জার্নাল অব কসমোলজি’তে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, লাল বা রক্ত বৃষ্টির ফোঁটাতে পাওয়া ‘কোষ বা কণাগুলো’ পৃথিবীর জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। কারণ সেগুলোতে অনেক উচ্চ মাত্রার ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে।
এবছরের শুরুর দিকে বিক্রমসিংহে ঘোষণা দেন তিনি তিনি একটি উল্কাখন্ডের ভেতরে অতিক্ষুদ্র জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন। এরপরই তিনি তাঁর “panspermia’ নামের থিওরি দেন, যাতে বলা হয়, মহাবিশ্বের সবখানেই প্রাণের অস্তিত্ব আছে এবং গ্রহাণু ও উল্কা দ্বারা সেগুলো মহাশূণ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। যাই হোক, লুইস ও বিক্রমসিংহের দেয়া তত্ত্ব ও বক্তব্য বিতর্কের ঝড় তুলে। এবছরের প্রথমদিকে গবেষক অনিল সমরনায়েকে ‘জার্নাল অব কসমোলজি’তে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, লাল বা রক্ত বৃষ্টির ফোঁটাতে পাওয়া ‘কোষ বা কণাগুলো’ পৃথিবীর জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। কারণ সেগুলোতে অনেক উচ্চ মাত্রার ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে শ্রীলঙ্কার মেডিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট জানায় বৃষ্টির পানিতে
trachelomonas প্রজাতির শৈবালের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে, যার কারণে পানির রঙ
লাল। কিন্তু পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা্র মাঝেই থেকে গিয়েছে।
Hallo-today