প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ভবিষ্যতে আর যেন কেউ
ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য সংবিধান সংশোধন করে জনগণের ভোটাধিকার
নিশ্চিত করা হয়েছে। জনগণ ভোট দেবে, ভোটের মাধ্যমে তারা সরকার নির্বাচন
করবে; এটাই হচ্ছে তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার, মৌলিক অধিকার। প্রত্যেকটি
মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’প্রধানমন্ত্রী
আজ মঙ্গলবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আন্দারমানিক নদের তীরে ‘পায়রা
সমুদ্রবন্দরের’ উদ্বোধন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নতুন ঘাঁটি ‘বা নৌ জা
শেরেবাংলা’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর
হিসেবে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন অর্থনৈতিক উন্নতি, আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই পায়রা বন্দর গড়ে তোলা হচ্ছে। শান্তির প্রতীক “পায়রা”র নামে বন্দরের নামকরণ করা হয়েছে। পায়রা বন্দরের পাশে রয়েছে আন্দারমানিক নদী। পায়রা নামে বন্দরের নামকরণের ফলে আন্দারমানিক নদী আন্ধার থাকবে না, আলোকিত হবে। এলাকার মানুষও আলোকিত জীবন পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘এই বন্দরকে কেন্দ্র করে এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। এই বন্দর নির্মাণ হওয়ার ফলে আমদানি-রপ্তানির এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হবে। এইখানে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলব। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র গড়ে তোলা হবে এবং আমরা এই এলাকায় জাহাজভাঙা ও নির্মাণশিল্প গড়ে তুলতে পারব। রপ্তানি খাতে আমরা জাহাজনির্মাণ শিল্পকেও অন্তর্ভুক্ত করেছি। সেই সঙ্গে আমরা খাদ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য গুদাম গড়ে তুলতে পারব। এখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে মানুষজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, সচ্ছলতা ফিরে পাবে।’ প্রধানমন্ত্রী সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
এর আগে বেলা পৌনে একটায় বরগুনার বামনা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পায়রা বন্দরের পাশে নির্মিত হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে। এখানে তাঁকে স্বাগত জানান নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব এবং পায়রা বন্দরের প্রথম চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। হ্যালিপ্যাড থেকে গাড়িবহর নিয়ে তিনি পায়রা বন্দরের অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন।
সুধী সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং নৌবাহিনীর জাহাজ সুরমায় করে পায়রা বন্দরের কাছে রামনাবাদ চ্যানেল-সংলগ্ন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অ্যাভিয়েশন সুবিধা-সংবলিত ‘বা নৌ জা শের-ই-বাংলা’ নৌঘাঁটি এলাকা পরিদর্শন করেন।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন অর্থনৈতিক উন্নতি, আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই পায়রা বন্দর গড়ে তোলা হচ্ছে। শান্তির প্রতীক “পায়রা”র নামে বন্দরের নামকরণ করা হয়েছে। পায়রা বন্দরের পাশে রয়েছে আন্দারমানিক নদী। পায়রা নামে বন্দরের নামকরণের ফলে আন্দারমানিক নদী আন্ধার থাকবে না, আলোকিত হবে। এলাকার মানুষও আলোকিত জীবন পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘এই বন্দরকে কেন্দ্র করে এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। এই বন্দর নির্মাণ হওয়ার ফলে আমদানি-রপ্তানির এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হবে। এইখানে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলব। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র গড়ে তোলা হবে এবং আমরা এই এলাকায় জাহাজভাঙা ও নির্মাণশিল্প গড়ে তুলতে পারব। রপ্তানি খাতে আমরা জাহাজনির্মাণ শিল্পকেও অন্তর্ভুক্ত করেছি। সেই সঙ্গে আমরা খাদ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য গুদাম গড়ে তুলতে পারব। এখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে মানুষজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, সচ্ছলতা ফিরে পাবে।’ প্রধানমন্ত্রী সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
এর আগে বেলা পৌনে একটায় বরগুনার বামনা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পায়রা বন্দরের পাশে নির্মিত হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে। এখানে তাঁকে স্বাগত জানান নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব এবং পায়রা বন্দরের প্রথম চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। হ্যালিপ্যাড থেকে গাড়িবহর নিয়ে তিনি পায়রা বন্দরের অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন।
সুধী সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং নৌবাহিনীর জাহাজ সুরমায় করে পায়রা বন্দরের কাছে রামনাবাদ চ্যানেল-সংলগ্ন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অ্যাভিয়েশন সুবিধা-সংবলিত ‘বা নৌ জা শের-ই-বাংলা’ নৌঘাঁটি এলাকা পরিদর্শন করেন।