Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Monday 18 November 2013

'ইউনূসের বন্ধুরা বাংলাদেশের স্বার্থ দেখেন না'

বিডিনিউজ+Samakal,Dhaka
পশ্চিমের বিত্তবান ও ক্ষমতাশালী বন্ধুদের কাছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ও আইনের চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বার্থের দাম বেশি বলে এক চিঠিতে মন্তব্য করেছেন গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের প্রধান মামুন-উর-রশিদ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক ও অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে ছাপা হওয়া 'আবেদন' প্রসঙ্গে নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো হারলেন্ড ব্রুন্টলান্ডের কাছে লেখা চিঠিতে তিনি আন্তর্জাতিক নেতাদের একাংশের সমালোচনা করেন। ওই আবেদনে স্বাক্ষরকারীদের একজন ব্রুন্টলান্ড। চিঠিটির একটি কপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে এসেছে। নেপালে অবস্থানরত সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মামুন-উর-রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ড. ইউনূসের পক্ষে প্রচার 'আন্তর্জাতিক পলিটিক্সের অংশ'। ইউনূসের বন্ধুরা বাংলাদেশের স্বার্থ দেখেন না। ইউনূসের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সরকারকে চাপ প্রয়োগের জন্যই তারা এটা করেছেন। আমি চিঠির মাধ্যমে দাওয়াত দিয়েছি। বলেছি, আপনারা সরেজমিনে বাংলাদেশে এসে দেখুন, গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে খোঁজখবর নিন। তাহলেই বুঝতে পারবেন, কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তা কতটা যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত।"
১৪ আগস্ট ২০১৩ গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনার প্রতি লেখা 'আবেদন'টি মার্কিন 'ওকালতি' (অ্যাডভোকেসি) সংস্থা রেসাল্টসের অর্থায়নে একাধিক আন্তর্জাতিক পত্রিকায় ছাপা হয়।
মামুন-উর-রশিদ লেখেন, বিজ্ঞাপিত ওই আবেদনটিকে 'ওজনদার' করে তোলার জন্য রেসাল্টস গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্ররোচিত করে থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অধ্যাপক ইউনূসও সংস্থাটির পরিচালকম লীর একজন। মামুন-উর-রশিদের ভাষায়, 'মানহানিকর বিজ্ঞাপন'টির মন্তব্যগুলো কেবল গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনই নয়, বরং বাংলাদেশের যে জনগণ কমিশনটির আইনি ভিত, তাদের প্রতিও বৈষম্যমূলক আচরণ। ব্রুন্টলান্ডকে লেখা চিঠিতে সাবেক সচিব কমিশনের 'নিরাবেগ মূল্যায়ন' নিয়ে রেসাল্টসের 'ইচ্ছাকৃত' 'তথ্যবিকৃতি' ও 'মিথ্যাচারে'র আটটি দিক তুলে ধরেন। লেখেন, গ্রামীণ ব্যাংক কোনো 'কোম্পানি'র নাম নয়। গ্রামীণ ব্যাংক বিজ্ঞাপনের ভাষায়, 'স্বাধীন ঋণগ্রহীতা চালিত কোম্পানি'ও নয়, এটি সরকার-স্থাপিত সংবিধিবদ্ধ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এ দুয়ের আইনি তাৎপর্য যে ভিন্ন, সেটি গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেন কমিশনপ্রধান।
গ্রামীণ পরিবারভুক্ত ৫৪টি 'সামাজিক ব্যবসায়ে'র একটিও খোলার এখতিয়ার ড. ইউনূসের নেই উল্লেখ করে মামুন-উর-রশিদ লেখেন, সেসব ব্যবসার বিশাল সম্পদের মালিক ইউনূসের ঘনিষ্ঠ একটি ক্ষুদ্র স্বার্থান্বিত দল; এটি গ্রামীণ ব্যাংকের দরিদ্র ভূমিহীন ঋণগ্রহীতাদের শোষণের নামান্তর। অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচারের পেছনে তার সামাজিক ব্যবসাগুলো থেকে এক পাই খরচ হয়ে থাকলেও সেটা বেআইনি বলে মন্তব্য করেন রশিদ।