Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Tuesday 28 October 2014

বিল গেটসের মনের খবর

  বিল গেটসের মনের খবর

     
সাইফ হাসান | ২০১৪-১০-২৭ ইং
মজার মানুষরা যখন গল্প করেন, তখন মজার কিছুই ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ‘হোয়্যার গুড আইডিয়াজ কাম ফ্রম’ ও ‘দ্য গোস্ট ম্যাপ’ গ্রন্থের প্রণেতা স্টিভেন জনসন সম্প্রতি গিয়েছিলেন বিল গেটসের আমন্ত্রণে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখানেই আড্ডায় মেতেছিলেন দুজন। ওই যে গোড়াতেই বলেছি, মজার মানুষদের আড্ডা। সে কথা মাথায় রেখেই আটলান্টিক ম্যাগাজিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিল গেটস ও স্টিভেন জনসনের আলাপচারিতা ধারণ করতে। সিল্করুটের পাঠকদের সে আড্ডায় নিয়ে যেতে আমাদের এ প্রয়াস।
বিল গেটসের মনের খবরম্যালেরিয়া ও অপুষ্টির মতো বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত কয়েকটি সমস্যা নির্মূলের লক্ষ্যে গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ইনিশিয়েটিভ নামের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিল গেটসের দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ওই কর্মসূচির এক দশকপূর্তি উপলক্ষে লেখক স্টিভেন জনসনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এ ধনকুবের ও হিতৈষী। জনসনের ‘হাউ উই গট টু নো’ বইটি আবিষ্কারের ইতিহাস নিয়ে। জনসন ও গেটসের আলাপচারিতায় এসেছিল পুঁজিবাদ থেকে বরফ ব্যবসা ইস্তক নানা বিষয়। বিল গেটসের ক্যারিয়ার ব্যাপৃত হয়েছে আবিষ্কারকে ঘিরে। মাইক্রোসফটে থাকতে নানা রকম উদ্ভাবন নিয়ে ভাবতেন, খোঁজখবর করতেন। এখনো তার ফাউন্ডেশন বিভিন্ন আবিষ্কারের কাজে অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে। আগের ও পরের এ দুই শ্রেণীর আবিষ্কারের পেছনে থেকে একই রকম আনন্দ পান বিল গেটস। আগে তিনি কাজ করতেন প্রকৌশলীদের নিয়ে, এখন অর্থ ও প্রেরণা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীদের। গেটস মনে করেন, দুটি ভিন্ন সময়ে তার কাজগুলোর মধ্যে সূক্ষ্ম একটি তফাত আছে। তার মতে, বেশির ভাগ উদ্ভাবন হচ্ছে পুঁজিবাদী উদ্ভাবন। কারণ পণ্যের উদ্ভাবন হয় মানুষের ভোগের স্বার্থে।  মোটামুটিভাবে সব উদ্ভাবনের পেছনে ছিল মানুষের আয়াসকে লঘু করার প্রয়াস।

মজার মানুষরা যখন গল্প করেন, তখন মজার কিছুই ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ‘হোয়্যার গুড আইডিয়াজ কাম ফ্রম’ ও ‘দ্য গোস্ট ম্যাপ’ গ্রন্থের প্রণেতা স্টিভেন জনসন সম্প্রতি গিয়েছিলেন বিল গেটসের আমন্ত্রণে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখানেই আড্ডায় মেতেছিলেন দুজন। ওই যে গোড়াতেই বলেছি, মজার মানুষদের আড্ডা। সে কথা মাথায় রেখেই আটলান্টিক ম্যাগাজিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিল গেটস ও স্টিভেন জনসনের আলাপচারিতা ধারণ করতে। সিল্করুটের পাঠকদের সে আড্ডায় নিয়ে যেতে আমাদের এ প্রয়াস।
ম্যালেরিয়া ও অপুষ্টির মতো বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত কয়েকটি সমস্যা নির্মূলের লক্ষ্যে গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ইনিশিয়েটিভ নামের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিল গেটসের দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ওই কর্মসূচির এক দশকপূর্তি উপলক্ষে লেখক স্টিভেন জনসনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এ ধনকুবের ও হিতৈষী। জনসনের ‘হাউ উই গট টু নো’ বইটি আবিষ্কারের ইতিহাস নিয়ে। জনসন ও গেটসের আলাপচারিতায় এসেছিল পুঁজিবাদ থেকে বরফ ব্যবসা ইস্তক নানা বিষয়। বিল গেটসের ক্যারিয়ার ব্যাপৃত হয়েছে আবিষ্কারকে ঘিরে। মাইক্রোসফটে থাকতে নানা রকম উদ্ভাবন নিয়ে ভাবতেন, খোঁজখবর করতেন। এখনো তার ফাউন্ডেশন বিভিন্ন আবিষ্কারের কাজে অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে। আগের ও পরের এ দুই শ্রেণীর আবিষ্কারের পেছনে থেকে একই রকম আনন্দ পান বিল গেটস। আগে তিনি কাজ করতেন প্রকৌশলীদের নিয়ে, এখন অর্থ ও প্রেরণা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীদের। গেটস মনে করেন, দুটি ভিন্ন সময়ে তার কাজগুলোর মধ্যে সূক্ষ্ম একটি তফাত আছে। তার মতে, বেশির ভাগ উদ্ভাবন হচ্ছে পুঁজিবাদী উদ্ভাবন। কারণ পণ্যের উদ্ভাবন হয় মানুষের ভোগের স্বার্থে।  মোটামুটিভাবে সব উদ্ভাবনের পেছনে ছিল মানুষের আয়াসকে লঘু করার প্রয়াস। একটু সুবিধার জন্য মানুষ সেসব পণ্য ও সেবা অর্থ দিয়ে ক্রয় করেছে। গেটস বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের সহায়তার জন্য কিছু একটা আবিষ্কার করলে তার কোনো আবেদন অথবা বাজার থাকে না। এজন্যই সরকার অথবা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তা ছাড়া কেউ ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক আবিষ্কারে উদ্যোগী হবে না। সুখের কথা এই যে, সক্ষম ও সামর্থ্যবান মানুষ এভাবে ভাবার ফলে যে কাজগুলো অসম্পাদন থেকে যাচ্ছে, তার সবই কিন্তু থেকে যাচ্ছে না। বেশির ভাগ ব্যাধিই বিশ্বব্যাপী উপস্থিত। কাজেই আজ যে আবিষ্কারটি ধনীদের কথা মনে রেখে সম্পন্ন হলো, একপর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীও তার সুফল ভোগ করবে। পোশাক, খাবার অথবা পরিবহন— এসব খাতে অধিকাংশ আবিষ্কার ও উদ্ভাবন হয়েছে বাণিজ্যিক স্বার্থগত চিন্তা থেকে।  রেলগাড়ি, মোটরগাড়ি, বাষ্পীয় যন্ত্র ইত্যাদি উদ্ভাবনের পেছনে নেহাত জনকল্যাণের মহত্ কোনো ইচ্ছা কাজ করেনি। বাণিজ্যিক স্বার্থ ও মুনাফা বৃদ্ধিই ছিল চালিকাশক্তি। এখনকার সময়ে চিন্তক বলে একটা শ্রেণী আছে, এদের ভাবনাকে ভিত্তি করেই অন্যদের কাজ এগোয়। এভাবে একসময় নতুন কিছু বেরিয়ে আসে। অতীতে মৌলিক গবেষণা কে করেছিলেন, বাজারজাতকৃত পণ্যটি কে উদ্ভাবন করেছিলেন, পার্থক্য বোঝা যেত না। এখন ওষুধগুলো বেশ জটিল। আমরা এখন জ্যোতির্বস্তুবিদ্যা থেকে আরম্ভ করে মোটরগাড়ি উদ্ভাবন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে অর্থায়ন করছি। কাজেই চিন্তক-প্রথা আমরা বজায় রেখেছি। আমরা সবচেয়ে বেশি অনুদান দিই এ কাজের জন্য। বেশি বলতে পরিমাণে নয়, সংখ্যায়। গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জের অনুদানগুলো নতুন নতুন ভাবনার পৃষ্ঠপোষণাতেই যায়। কিন্তু কয়েকশ ডলারের এ তহবিলে বেশি দূর এগোনো সম্ভব নয়। এ অর্থে আপনাকে হয়তো অবসরে কাজ করতে হবে। অন্য কারো পরীক্ষাগারে, অন্য কোনো কাজের ফাঁকে। এ পর্যায়ে কেউ সাফল্য দেখাতে পারলে ৩০ লাখ অথবা ৫০ লাখ ডলার পর্যন্ত অনুদান মিলবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে সাফল্যের জন্য সবাইকে নিজ ধারণার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হয়। বিচিত্র ক্ষেত্র থেকে ভাবনার সন্ধান করছি আমরা। সন্তান প্রসব অথবা ওষুধ হিমায়িতকরণের মতো ইস্যুতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সমস্যাগুলো প্রাণগত অথবা জৈবিক কিছু নয়। এ কারণে হঠাত্ করে কেউ বুঝে উঠতে পারবেন না এর মধ্যে নতুন কিছু আছে কিনা। ওষুধকে হিমায়িতকরণের বিষয়ে বলছি। সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারবে না এর মধ্যে নতুন কোনো আবিষ্কারের বিষয় আসে কী করে। আমরা চাচ্ছি নতুন কোনো উপকরণ আবিষ্কার করতে, যা তাপ অপরিবাহী হবে। বাড়তি বিদ্যুত্ অথবা শক্তি ব্যয় ছাড়াই ওষুধ হিমায়িত করতে থারমাল-টাইপ অ্যাপ্রোচ খুব কাজে দেবে। উনিশ শতকের মাঝামাঝি মার্কিন নাগরিক ফ্রেডেরিক টিউডর বরফের কারবারে বেশ অর্থকড়ির মালিক হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত অথবা ব্রাজিলে বরফ নিয়ে বিক্রি করতেন তিনি। একালের প্রেক্ষাপটে ভাবলে মনে হবে, কী তুঘলকি চিন্তা। বরফের চাঁই নিয়ে দুনিয়ার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ব্যবসা করতে যাওয়া। এখন বিজ্ঞানীরা সে ধারণাটিই কাজে লাগিয়েছেন। ওষুধকে বরফে রেখে বরফকে মুড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এর ফলে দুর্গম ও বিদ্যুিবহীন এলাকায়ও ওষুধ থাকবে হিমায়িত, অটুট। টিউডর এখন থাকলে হয়তো খুশি হতেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বিপণন ও বিদ্যুত্ ব্যবস্থা এত বেহাল যে, বিপুল পরিমাণ টিকা ও প্রতিষেধক হিমায়িতকরণের সুবিধার অভাবে নষ্ট হয়।
পৃথিবীর সমস্যাগুলোর একাধিক পর্ব আছে। শিশুর দেহ ও মনের পূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু তার আগে প্রশ্ন থাকে প্রসবকালীন শিশুমৃত্যু ঠেকানোর। গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জেস এর সূচনালগ্নে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রতি বছর এক কোটি। এখন তা ৬০ লাখে নেমে এসেছে। এ সংখ্যা আরো কমিয়ে ২০ লাখে নিয়ে আনা সম্ভব। শিশুর রুগ্ণতা একটি বড় সমস্যা। প্রসবকালে বেঁচে গেলেও দেখা যায়, অসুস্থতা ও অপুষ্টিতে অনেক শিশু জীবনভর ভুগছে। এক্ষেত্রে সমস্যাটি মোকাবেলা করার মতো কারিগরি ও আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে, শিক্ষা খাতে যত বিনিয়োগ আর চেষ্টাই করা হোক না কেন, কোনো দেশের পক্ষে সত্যিকারের স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব নয়। কাজেই এসব দেশের কাঁধ থেকে রোগ-ব্যাধির ভার কমাতে হবে, মানুষের খাদ্যে আরো পুষ্টি সংযোজন করতে হবে। এটা সম্ভব হলেই দারুণ সব ব্যাপার ঘটে। অনেক দেশের ক্ষেত্রেই এমন অভাবনীয় উন্নতি দেখা গেছে।
আমরা এখন তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে নজর দিতে চাইছি। প্রথমত. স্বাস্থ্য খাতে আরো অনেক কিছু করার আছে। বেশকিছু রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আরো উন্নত ও সুলভ প্রতিষেধক প্রয়োজন। আমরা এখনো সে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এর পর কাজ চালিয়ে যাচ্ছি নারীদের নিয়ে। তাদের সঙ্গে আরো যোগাযোগ কীভাবে গড়ে তোলা সম্ভব, কী করলে তাদের সমস্যাগুলো অধিকতর অনুধাবন করা যায়, সে ব্যাপারে কাজ চলছে। এছাড়া শিশুদের নিয়ে কাজ চলছে। জন্মের পর ৩০ দিনের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার এখনো উদ্বেগজনক। এ পর্যায়ে কম নিরূপণযোগ্য কিছু রোগে এখনো অনেক শিশু মারা যায়। ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া অথবা টাইফয়েডের মতো সমস্যাগুলোয় শিশুরা ৩০ দিন থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালে বেশি মারা যায়। ৩০ দিনের কম বয়সে তাদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে, এমন রোগগুলোর বিপরীতে কাজে এখনো ঘাটতি রয়েছে। আমরা এ নতুন আঙিনায় পা রাখতে যাচ্ছি। কাজটি একটু হয়তো জটিল, তবে সময়োপযোগী।
আমরা সবাই বলে থাকি, শিশুরা সমান যত্নের দাবিদার। আমাদের এ প্রত্যয় যদি সত্ হয়, তাহলে অনগ্রসর দেশের প্রতিটি শিশু যাতে উন্নত দেশের শিশুদের মতো সমান যত্ন পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারা যেন সমান সুযোগ পায়, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। অর্থাত্ এসব শিশু যাতে দেহ-মনের পরিপূর্ণ বিকাশ থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। নাইজেরিয়ায় ১৫ শতাংশ শিশু পাঁচ বছরের কম বয়সে মারা যায়। কয়েকটি দেশে এ হার ২০ শতাংশের মতো। অথচ উন্নত দেশগুলোয় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ১ শতাংশের কম। এ অসমতা দূর করতে হবে। এসব শিশুর বেশির ভাগ মারা যায় সংক্রমণশীল রোগে। বেঁচে থেকেও অক্ষম থাকে যেসব শিশু, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যার মূলে অপুষ্টি না অসুস্থতা সেটা দেখতে হবে। সমস্যাটি কীভাবে দূর করা সম্ভব, খাদ্যাভ্যাস না ওষুধে, আমরা তা নির্ণয় করতে চাইছি। কীভাবে কম খরচে কাজটি করা যায়, সে কথাও ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে বোঝাপড়ায় এখনো ঘাটতি রয়েছে। আমরা পোলিও নির্মূলের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। এ কাজের শেষ পর্যায়টি কঠিনতম। নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান— এ দুই দেশে পোলিও আক্রান্তের হার একবারো শূন্যে নামিয়ে আনা যায়নি। তা সত্ত্বেও নাইজেরিয়ায় পোলিও দূরীকরণ কাজটি প্রায় শেষের পথে। এর পর আমরা ম্যালেরিয়া নির্মূলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
গড়পড়তা মানুষের মধ্যে আশাবাদ কেন কম, গেটসের কাছে জানতে চেয়েছিলেন জনসন। বিল গেটসের ব্যাখ্যাটি ছিল সুন্দর। তার মতে, মানুষ আসলে সমস্যা নিয়ে ভাবতে পছন্দ করে। কোথায় সমস্যা হতে পারে, বিপত্তি ঘটতে পারে, মানুষ সেটাই ভাবতে বেশি ভালোবাসে। সন্ত্রাস নির্মূলের আকাঙ্ক্ষার চেয়ে যা দ্রুত বাড়ে তা হলো সন্ত্রাসের প্রতি ঘৃণা। এ কারণে সবাই সন্ত্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে ভারাক্রান্ত হতে চায়। কিন্তু খুব কম লোকই বোঝে যে, অভানীয় উন্নতির এ কালে পৃথিবীতে অবস্থানের সুযোগ পাওয়ায় আমাদের উচিত ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানানো।