বিদেশে কালো টাকা সরিয়ে নেয়া ভারতীয়দের নাম
প্রকাশ শুরু করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এর অংশ হিসেবে গতকাল তিন
ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ করা হয়। সুইস ব্যাংকে অবৈধ অ্যাকাউন্ট রাখার দায়ে
ডাবর গ্রুপের সাবেক নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ বর্মণসহ এতে অভিযুক্ত হয়েছেন
রাজকোটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পঙ্কজ চিমনলাল লোধিয়া ও গোয়ার খনি ব্যবসায়ী রাধা
টিম্বলো। দেশটির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আরো কয়েকটি নাম প্রকাশ করা হবে বলে
জানিয়েছেন। খবর ডিএনএ ইন্ডিয়া।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে
জানা যায়, গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার অন্তত সাতজনের নাম সুপ্রিম কোর্টে
জমা দিয়েছে; যাদের মধ্যে কংগ্রেস দলের চার সদস্য রয়েছেন বলে জোর অনুমান।
বিস্তারিত অনুসন্ধানে প্রমাণাদি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের নামও প্রকাশ করা
হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী আরো
জানিয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকিসহ অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে, কেবল তাদের
বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। বিদেশে থাকা সব অ্যাকাউন্ট ‘অবৈধ নয়’ বলেও
উল্লেখ করেন তিনি।
ডাবরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আশা করেন,
প্রদীপের অ্যাকাউন্ট ‘বৈধ’। তিনি সম্ভবত ভারতের বাইরের নাগরিক হিসেবে এ
অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন লোধিয়াও। তিনি সরাসরি
অস্বীকার করে বলেন, তার কোনো সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।
এর আগে
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাদের দলের কারো কালো টাকা বিদেশে জমা রাখার বিষয়টি
অস্বীকার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বর্তমান সরকার এই তিনজনের নাম প্রকাশ করে।
কংগ্রেস ও আম আদমি দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে
নামের তালিকা তৈরি ও তা প্রকাশ করবে।
সুইস ব্যাংকে ভারতীয় নাগরিকদের
৭০০ অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ১৪ হাজার কোটি রুপি জমা আছে বলে ফার্স্ট পোস্ট
ডটকমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে; ২০০৮ সালে যা ছিল ১৫ হাজার ৪০০ কোটি ও
২০০৬ সালে ৪১ হাজার ৪০০ কোটি রুপি। ২০০৭ সালে এইচএসবিসি ব্যাংকের এক
কর্মকর্তা সব ডাটা চুরি করে ফ্রান্স সরকারের হাতে তুলে দিলে তখন জানা যায়,
ভারতীয় নাগরিকদের ৭০০ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে সুইস ব্যাংকে। ২০১১ সালে ভারত
থেকে ৮৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশে স্থানান্তর হয় বলে এক জরিপে জানা যায়।