হ্যালোটুডে
ডেস্ক : ‘ভাইবোনদের মধ্যে আমি সবার বড়। আমার পরিবারে আমি ছাড়া অর্থ
উপার্জনের আর কেউ নেই। আমি যদি বিয়ে করি তাহলে আমার মা ও ছোট পাঁচ ভাইবোন
চলবে কীভাবে, তাদের দেখবে কে?’অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই কথাগুলো বলেন চিত্রনায়িকা পপি। পপি বলেন, চিত্রপাড়া ও মিডিয়ায় আমার বিয়ের খবর চাউর হওয়া নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক বছরে কখনো চিত্র প্রযোজক, কখনো বা প্রবাসী ব্যবসায়ী, কিংবা চিকিৎসক এবং সম্প্রতি এক প্রকৌশলীকে ঘিরে আমার প্রেম-বিয়ের কানাঘুষা বেশ জোরেশোরেই চলছে। এখনকার খবর হচ্ছে এক প্রকৌশলীকে পারিবারিক সম্মতিতে এ বছরের শেষ নাগাদ বিয়ে করছি। বর্তমানে চুটিয়ে প্রেম করছি আমরা।
এ খবরে ক্ষোভের সঙ্গে পপি বলেন, ঢের হয়েছে, মিডিয়া তো দুই দিন পরপর আমাকে প্রেমের জলে ডোবাচ্ছে আর বিয়ের পিঁড়িতে বসাচ্ছে। আর কত? এভাবে যদি মিডিয়া মজা পায় পাক। আমার বলার আর কী আছে। তারপরও বলব পৃথিবীতে কি আর কোনো বিষয় নেই। সবাই শুধু পপির বিয়ে নিয়ে ঘুম হারাম করছে কেন? পপি কেমন আছে, কীভাবে চলছে, চলচ্চিত্রের এই দুর্দিনে তার হাতে কোনো কাজ আছে কি-না সে খবর তো নেওয়ার প্রয়োজন কেউ মনে করে না। অথচ সবাই বলে আমি আপনার ওয়েল উইশার। এরপর যা খুশি বলে বেড়ায় এবং লিখে দেয়। তাহলে কি শুভাকাঙ্ক্ষীর এই নমুনা। বিয়ে নিয়ে পপির সাফ কথা- যতদিন না আমার ভাইবোন বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে ততদিন পর্যন্ত আমার বিয়ের প্রশ্নই আসে না।
পপির কাছে প্রশ্ন ছিল-আপনার প্রায় সমসাময়িক সবাই অর্থাৎ মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমা এবং এখনকারও অনেকে বিয়ের কবুল পড়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি তো পিছিয়ে গেলেন। এর জবাব হলো- বিয়ে করেনি এমন তো অনেকে আছে। যেমন বলিউডের সালমান খান। তা ছাড়া কেউ খুন করলে আমাকেও কি তাই করতে হবে?
তার এই উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন ছিল বিয়ে তো খুনের মতো কোনো নেগেটিভ ব্যাপার নয়, তাহলে বিষয়টিকে এভাবে দেখছেন কেন?
পপির কথায়- আরে ভাই, আসল কথাটা বুঝতে চেষ্টা করেন। অন্যরা অঢেল অর্থ-সম্পদ গড়ে নিয়েছে, আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। যে কোনো কারণেই হোক আমি তা পারিনি। তাই এখন আমি বিয়ে করে ফেললে আমার স্বামী কি আমার পরিবারকে চালাবে! ছোটখাটো ফ্যামিলি হলেও চলত। এত বড় পরিবারকে চালানোর ভয়ে সে তো দুই দিনেই পালিয়ে যাবে। তখন তো জল আরও ঘোলা হবে। সবাই মজা করে কত কী বলবে আর লিখবে। আর আমার কী হবে। তাই এ অবস্থায় এখন সেই পুরনো প্রবাদটি বলতে ইচ্ছা করছে ‘যার বিয়ে তার খবর নেই, পাড়া-পড়শীর চোখে ঘুম নেই! পপি নিশ্চিত করেছেন, আপাতত বিয়ে করবেন না তিনি।
অন্যদিকে
প্রকাশিত অপর এক খবরে জানাগেছে, দেশে বর্তমানে সীমাহীন নৈতিক স্খলনে
রাজনৈতিক নেতারা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে প্রায় সব বড় ছোট দলের
উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ঢাকার অদুরে সাভার কেই বেশী বাছছেন।
সেখানে সপ্তাহের যে কোনো দুটি রাত বেছে নিয়ে তাঁদের অনৈতিক সেক্স মিশন
চলছে।এদিকে রাজনীতিবিদদের এমন অনৈতিক কাজের সঙ্গী দেশের মিডিয়া পল্লীর চলচ্চিত্রের নায়িকা, গায়িকা এবং নানা শ্রেনীর সুন্দরী মডেল।
এদিকে সিঙ্গাপুর থেকে ১২০০ ডলার দিয়ে ক্রয় করা এক কৃত্রিম পুরুষ যৌনাঙ্গ দিয়েও এক নেতার যৌন ব্যভিচারের খবর ছড়িয়েছে। সপ্তাহের বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর বাগান বাড়িতে যেয়ে প্রমীলা যৌন মিশনে নিজের খোয়ানো যৌন শক্তি পুনরুদ্ধারে ঐ কৃত্রিম যৌনাঙ্গ ব্যবহারে তৃপ্ত থাকার প্রয়াসে রয়েছেন।
অন্যদিকে শারিরীক সৌন্দর্য্যকে পুঁজি করে অনেক সুন্দরী রমনী এখন রাজনীতিবিদ দের চাহিদার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। এই তালিকায় বাংলাদেশের অনেক নায়িকা, মডেলও দেহব্যবসায় মতো পেশায় জড়িত। দেহব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি তারা লাখপতি ও কোটিপতি বনে যাচ্ছেন। তারা নিজেরা দেশের ভেতরে রাজনৈতিক নেতাদের বাগান বাড়ির নামে আস্তানায় এবং বিদেশে যেয়ে সেক্স মিশন সারছে। অর্ডার নিয়ে অনেক সময় রাজনৈতিক ও ক্ষমতাবানদের পছন্দ মতো গণিকা সরবরাহ করছে।
এসব করে ঐ সকল চিরচেনা মিডিয়া মুখ গুলো কেউ কেউ নামে বেনামেও করছে ব্যাংক ব্যালেন্স, জমি জমা, মনোরম ফ্ল্যাট এমনকি আলিশান বাড়ি। থাকেন রাজধানীর ব্যয়বহুল আলিশান এ্যাপার্টমেন্টে। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ফিল্ম সোসাইটির কিছু বি ক্যাটাগরির নায়িকা, টিভি নাটকের অভিনেত্রী ও কিছু মডেলদের বিরুদ্ধেও। রাজধানীর গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি এলাকার মধ্যে ফ্ল্যাট কিংবা আলিশান অফিসগুলো সহ পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে চালাচ্ছে তাদের দেহব্যবসার রমরমা বাণিজ্য।
কেউ কেউ আবার রাজনীতিবিদদের সাথে অনুষ্ঠানের নাম করে পাড়ি দিচ্ছেন দেশের বাহিরে। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
এদিকে রাজনীতিবিদ দের সাথে হরহামেশায় কখনো সৌখিন ও কখনো পেশাদারিত্বে মিডিয়া পল্লীর বেশ কয়েকজনের সাভারে যৌন উৎসবে শরীক হওয়ার প্রমাণাদি মিলেছে। সেই তালিকায় থাকা নায়িকা গায়িকা ও মডেলদের মধ্যে রয়েছে, ঢালিউড চলচ্চিত্রের নায়িকা পপিসহ উল্লেখযোগ্য নাম। এছাড়া টিভি নায়িকা ও মডেলরাও সাভারে যেয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মনোরঞ্জনে সেবিকা হয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে সামাজিক সম্মান নিয়ে বিচরণ করা বেশ কয়েকজন নারীকেও রাজনৈতিক নেতাদের তৃপ্ত করতে তাঁদের স্বার্থ উদ্ধার করতে বিছানা সম্পর্ক করার ঘটনা ঘটছে।
তবে কি পপির হাতে তেমন কাজ না থাকা কিম্বা অর্থাভাবে তিনি সাভারের বাগন বাড়িতে ছুটছেন?
