নির্বাচন সম্পর্কে অবস্থান জানাবে বিএনপি
DW.DE
শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয় বাংলাদেশের রাজনীতি, তা সোমবার বিকেল নাগাদ
স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ সংঘাত-সংঘর্ষ, না সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন তা অনেকটা
স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ এখন শুধু প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের
অপেক্ষা৷
বাংলাদেশের গত ৫ বছরের রাজনীতিতে রবিবার ছিল একটি ঘটনাবহুল দিন৷ সকাল থেকেই
টান টান উত্তেজনা৷ আর এই উত্তেজনা চলেছে থাকে গভীর রাত পর্যন্ত৷ গভীর
রাতেই জানা গেল, সোমবার বিকলে প্রধান বিরোধী দল সংবাদ সম্মেলনে আগামী
নির্বাচন নিয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করবে৷ জানা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে
প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে
নতুন প্রস্তাব দেবে বিএনপি৷
সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের প্রথম দিন রবিবার বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পুলিশ নিয়ন্ত্রিত পেশাজীবী সমাবেশে সাফ বলে দেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন না৷ নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানকে হতে হবে নির্দলীয় আর নিরপেক্ষ৷
রাতে গণভবনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে৷ বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ সংবিধান অনুযায়ী এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ আর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়েই নতুন নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে৷
জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, তাঁরা নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন৷ আপাতত মহাজোটের সঙ্গে থেকেই নির্বাচনের কথা আছে৷ আর পরিস্থিতি অন্যরকম হলে জাতীয় পার্টি আলাদাভাবেও নির্বাচন করতে পারে৷
অন্যদিকে রবিবার রাতে বিএনপি'র নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট নেতাদেরও বৈঠক হয়েছে৷ সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন তারা৷ বৈঠকে তারা ২৫শে অক্টোবরের সমাবেশ যে কোনো মূল্যে সফল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তারা সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা মানবেন না৷ বৈঠক শেষে জানানো হয়, ২৫শে অক্টোবরের সমাবেশ বাধা দেয়া হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী দিয়ে সবকিছু অচল করে দেয়া হবে৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সব কিছু পরিষ্কার করবেন৷ এর আগে শনিবার রাতে বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দেন৷
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এইচ এম এরশাদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন৷ বিএনপিসহ যারা আসবেন না, তাদের বাদ দিয়েই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে সরকার৷
এইসব নিয়ে এখন চরম উত্তেজনা এবং আলোচনা৷ সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন৷ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ জানিপপ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে সমঝোতার আর কোনো পথ দেখা যাচ্ছেনা৷ বিরোধী দল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মানবে না৷ আর সরকারী দল আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকেই প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবে৷ তার মানে হলো দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতেই আছে৷ সমঝোতার কোনো পথ এখনো নেই৷ আছে সংঘাত আর সংঘর্ষের আশঙ্কা৷ এখন চূড়ান্ত এই সংকটে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া হবে৷ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গণতন্ত্র৷''
সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের প্রথম দিন রবিবার বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পুলিশ নিয়ন্ত্রিত পেশাজীবী সমাবেশে সাফ বলে দেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন না৷ নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানকে হতে হবে নির্দলীয় আর নিরপেক্ষ৷
রাতে গণভবনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে৷ বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ সংবিধান অনুযায়ী এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ আর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়েই নতুন নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে৷
জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, তাঁরা নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন৷ আপাতত মহাজোটের সঙ্গে থেকেই নির্বাচনের কথা আছে৷ আর পরিস্থিতি অন্যরকম হলে জাতীয় পার্টি আলাদাভাবেও নির্বাচন করতে পারে৷
অন্যদিকে রবিবার রাতে বিএনপি'র নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট নেতাদেরও বৈঠক হয়েছে৷ সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন তারা৷ বৈঠকে তারা ২৫শে অক্টোবরের সমাবেশ যে কোনো মূল্যে সফল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তারা সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা মানবেন না৷ বৈঠক শেষে জানানো হয়, ২৫শে অক্টোবরের সমাবেশ বাধা দেয়া হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী দিয়ে সবকিছু অচল করে দেয়া হবে৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সব কিছু পরিষ্কার করবেন৷ এর আগে শনিবার রাতে বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দেন৷
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এইচ এম এরশাদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন৷ বিএনপিসহ যারা আসবেন না, তাদের বাদ দিয়েই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে সরকার৷
এইসব নিয়ে এখন চরম উত্তেজনা এবং আলোচনা৷ সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন৷ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ জানিপপ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে সমঝোতার আর কোনো পথ দেখা যাচ্ছেনা৷ বিরোধী দল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মানবে না৷ আর সরকারী দল আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকেই প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবে৷ তার মানে হলো দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতেই আছে৷ সমঝোতার কোনো পথ এখনো নেই৷ আছে সংঘাত আর সংঘর্ষের আশঙ্কা৷ এখন চূড়ান্ত এই সংকটে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া হবে৷ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গণতন্ত্র৷''