Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 30 October 2013

খালেদাকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

খালেদাকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুবিরোধীদলীয় নেতাকে শর্তহীন সংলাপে আসার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘সংলাপে না এলে আপনি হিংসার রানি, প্রতিহিংসার রানি, সন্ত্রাসের রানি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। সংলাপ ও আন্দোলন একসঙ্গে চলতে পারে না। যুদ্ধের সময়ও বিরতি দিয়ে সংলাপ হয়। আমরা বাংলাদেশের ইজারা তেঁতুল হুজুরের কাছে দিতে পারি না।’
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘শান্তি, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ শীর্ষক গণসংলাপ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ওই সংলাপের আয়োজন করে।
দুই নেত্রীর ফোনালাপ সরকার প্রকাশ করেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী জনসমক্ষে ফোনালাপ প্রকাশ করা যদি বেআইনি হয়ে থাকে তাহলে বিচার হওয়া উচিত। এখানে যদি আমিও দোষী হই তাহলে আমারও বিচার হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম যদি ফোনালাপ আংশিক প্রকাশ করা হয় তাহলে জাতি বিভ্রান্ত হবে। দুই নেত্রীর সম্মতি নিয়ে তা প্রকাশ করা যায়। এখন ৩৭ মিনিটের ফোনালাপ দেখার পর মনে হয়েছে এটা জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।’
আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও প্যানেল আলোচক ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তফসির আহমদ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী।
হেফাজতে ইসলাম-সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বিএনপি ও জামায়াতের অঙ্গসংগঠন। ইসলাম রক্ষার নামে শফী হুজুর মূলত বিএনপি ও জামায়াতকে ক্ষমতায় আনার কাজ করছেন। তিনি রাজনৈতিক হুজুর।’
হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বলেন, ‘নারীদের চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত যদি পড়ানো হয় তাহলে তাঁরা ডাক্তার কীভাবে হবে? আর ডাক্তার না হলে আমাদের মা-বোনেরা কার কাছে গিয়ে চিকিত্সা করবেন? হেফাজতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
সরকারের ব্যর্থতা কি এমন প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক শান্তি দিতে পারিনি, তেঁতুল হুজুরকে শাস্তি দিতে পারিনি, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি—এগুলোই আমাদের ব্যর্থতা।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে শঙ্কা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে আইন বদল হওয়া উচিত নয়। কিন্তু অতীতে সামরিক সরকার ও তাদের দোসরেরা আইন বদল করেছে। বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেবে বলে আমার শঙ্কা।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বদলে গোঁজামিলতন্ত্র ছিল। একটু গণতন্ত্র, একটু ধর্মতন্ত্র, একটু সামরিকতন্ত্র মিলে গোঁজামিলতন্ত্র চলছে। এ থেকে মুক্ত হতে হবে।’
কবি অরুণ দাশগুপ্ত ও অধ্যক্ষ ফজলুল হকও প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন।