Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 27 October 2013

কথা হলো, স্বস্তি এল না

কথা হলো, স্বস্তি এল না

Untitled-6দিনভর অনেক নাটকীয়তার পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুঠোফোনে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাকে ২৮ অক্টোবর গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জবাবে খালেদা জিয়া বলেছেন, তাঁদের জোটের হরতাল কর্মসূচি থাকার কারণে ২৮ অক্টোবর নয়, ২৯ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন তিনি সংলাপে বসতে প্রস্তুত আছেন।
তবে ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও বিরোধীদলীয় নেতা হরতাল প্রত্যাহার করেননি। বরং হরতালের আগেই গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। ফলে কয়েক দিন ধরে জনমনে যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে, শেষ পর্যন্ত তা কাটেনি।
দুই নেত্রীর ফোনালাপের বিষয়বস্তু পরে নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে সংবাদ ব্রিফিং করে জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের ডাকা ৬০ ঘণ্টা হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেন। বিরোধীদলীয় নেতা জানিয়েছেন, তাঁদের সীমাবদ্ধতা (লিমিটেশন) আছে। দলের সঙ্গে, জোটের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন।
অন্যদিকে বিরোধীদলীয় নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এটা ১৮-দলীয় জোটের হরতাল। এখন ১৮ দলের নেতাদের পুলিশ তাড়া করছে। তাঁরা ঘরে থাকতে পারছেন না। তাঁদের সবাইকে এখন জড়ো করে আলোচনা করে হরতাল প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।
রাতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী দল হরতাল প্রত্যাহার না করায় প্রধানমন্ত্রী দুঃখ পেয়েছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর পরও প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা নৈশভোজের আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন, হরতাল প্রত্যাহার করবেন।
তবে সৈয়দ আশরাফ মনে করেন, দুই নেত্রীর ফোনের মাধ্যমে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। দুই নেত্রী গণভবনে আলোচনা শুরু করবেন। প্রয়োজন হলে তাঁদের প্রতিনিধিরা বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন।
মারুফ কামালও বলেন, এটি সংকট উত্তরণের একটি সূচনা। সংকট সমাধানের পথ বের হবে বলে তিনি আশাবাদী।
এর আগে গত শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে খালেদা জিয়া সংলাপের উদ্যোগ নিতে সরকারকে ৩৬ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। একই সঙ্গে আজ রোববার থেকে তিন দিনের টানা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। খালেদার বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার আগেই গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং আলোচনা ও নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রী গতকাল দুপুরে টেলিফোনে কথা বলার উদ্যোগ নেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী বেলা সোয়া একটা থেকে এক ঘণ্টা ধরে লাল টেলিফোনে চেষ্টা করে খালেদা জিয়াকে পাননি। পরে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান জানান, খালেদা জিয়ার দুটি লাল টেলিফোন। একটি বাসায়, আরেকটি সংসদ ভবনের কার্যালয়ে। বাসারটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবার জানান, ‘যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ফোন করে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে পাননি, তাই এবার খালেদা জিয়া সন্ধ্যা ছয়টায় প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করবেন বলে বিরোধীদলীয় নেত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে জানানো হয়েছে।’
তার আগে খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধীদলীয় নেতার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস রাত নয়টায় প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করার জন্য তাঁর কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছেন। অবশ্য পরে মারুফ কামাল জানান, প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ছয়টায় খালেদা জিয়াকে ফোন করবেন।
নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান এবং দেশবাসীর নানা শঙ্কা-উদ্বেগের মধ্যে গতকাল দিনভর দুই নেত্রীর ফোনালাপ নিয়ে মানুষের মধ্যে ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।
হাসিনা যা বলেছেন: সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটে গণভবনে গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনেই শেখ হাসিনা টেলিফোন করেন খালেদা জিয়াকে। প্রধানমন্ত্রীর এডিসি ইমরানের মুঠোফোন থেকে বিরোধীদলীয় নেতার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মুঠোফোনে এই ফোনালাপ হয়। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেমন আছেন? আমি আপনাকে দুপুরে ফোন দিয়েছিলাম।’
অপর প্রান্তকে শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘না, আমি নিজ হাতে লাল টেলিফোন থেকে ফোন করেছি। বারবার রিং হয়েছে। যেকোনো কারণে আপনি ধরতে পারেননি।’
খালেদা জিয়ার কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, আমি দুঃখিত। ফোনটা ডেড (বিকল) ছিল বা ডেড করে রাখা হয়েছে কি না, বলতে পারছি না। আগামীকাল এটা আমি দেখব।’
এরপর শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সম্পর্কে গণভবনে এসে কথা বলার জন্য আমি ২৮ তারিখ সন্ধ্যায় আপনাকে দাওয়াত করছি। আপনি জানেন, আমি ইতিমধ্যে অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি। আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি, আমার সঙ্গে রাতের খাবার খাবেন।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ অপর প্রান্তের কথা শোনেন। তারপর বলেন, ‘আপনি যতজন খুশি নিয়ে আসতে পারেন।’ এ সময় অপর প্রান্তের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হরতালটা আজই প্রত্যাহার করেন। দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে হরতাল প্রত্যাহার করেন।’
একপর্যায়ে ওই কক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সরিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন আলাপ অব্যাহত রাখেন। তিনি ৩৭ মিনিট কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কাজী জাফর উল্যাহ, এইচ টি ইমাম, মসিউর রহমান ও দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা যা বলেছেন: ফোনালাপের সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানসহ আরও কয়েকজন নেতা ছিলেন। পরে মারুফ কামাল খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, এখন হরতাল প্রত্যাহার করার কোনো সুযোগ নেই।
মারুফ কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সোমবার গণভবনে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানান। জবাবে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘হরতালের পর যেকোনো দিন আমরা গণভবনে আসব।’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। এই দাবির প্রতি যদি আপনি নীতিগতভাবে সম্মত হন, তাহলেই কেবল হরতাল-অবরোধ তুলে দিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি। আপনার সিদ্ধান্ত জানলে আমরা আর হরতাল-অবরোধ করব না। এক টেবিলে নির্বাচনকে কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করব।’
মারুফ কামাল জানান, হরতাল প্রত্যাহার করার অনুরোধ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আপনি যদি গতকালও (শুক্রবার) আমাকে ফোন করতেন, আশ্বাস দিতেন, তাহলে কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে আমি জোটনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতাম। কারণ, এই হরতালের সিদ্ধান্ত আমি একা নেইনি। আজকে (শনিবার) হরতালের আগের রাত ১৮-দলীয় জোটনেতাদের পুলিশ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাঁরা আত্মগোপনে আছেন। এখনই তাঁদের একত্র করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ছয়টায় হরতাল কর্মসূচি শেষে যেকোনো সময় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানালে প্রয়োজনীয় লোকদের নিয়ে যেতে প্রস্তুত আছি।’
মারুফ কামাল দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী অতীতের অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এসবের উত্তর দিয়ে খালেদা জিয়া এ কথা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা অতীতের ভুল-বোঝাবুঝি ও তিক্ততার অবসান ঘটিয়ে নতুনধারার রাজনীতি করতে চাই। অতীত নিয়ে থাকলে আমরা সামনে এগোতে পারব না। বর্তমানের দাবি হচ্ছে, জনগণের সমস্যা নিরসন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি দুপুরে ফোন করেছেন। জবাবে বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, তাঁর লাল টেলিফোন নষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে এটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। বারবার অভিযোগ করার পরও এটি ঠিক করা হয়নি। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, একজন সরকারি কর্মচারী বলেছেন, খালেদা জিয়ার লাল ফোন সচল আছে। এটি মিথ্যা। ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন।
মারুফ কামাল বলেন, ফোনালাপে খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চান। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা যে দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন, ওই দুটি ফর্মুলার সমন্বয়ে নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে একটি জায়গায় পৌঁছানো যাবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেওয়া ফর্মুলার কথা তুলে ধরলে বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, সেই ফর্মুলা গ্রহণযোগ্য হয়নি। সরকার নীতিগতভাবে নির্দলীয় সরকার মেনে নিলে বিএনপি সব কর্মসূচি স্থগিত করবে।
দুই নেত্রীর টেলিফোন আলাপের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে বিরোধীদলীয় নেতাকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁদের জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিরোধীদলীয় নেতা যতজন ইচ্ছা ততজনকে নিয়ে গণভবনে আসতে পারবেন। তবে আসার আগে নামের তালিকা পাঠাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন। আর বিরোধীদলীয় নেতাও প্রস্তাব দিয়েছেন। আলোচনা কোন প্রস্তাবের ওপর হবে, জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আলোচনার কাঠামো ঠিক হয়নি। দুই নেত্রী আলোচনা করে কাঠামো ঠিক করবেন।
দলীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা: খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফোনালাপ শেষেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ফোনালাপের বিষয়ে দলের নেতাদের অবহিত করেন তিনি।
বৈঠকে ছিলেন এমন একাধিক নেতা জানান, শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া বলেছেন যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনা হলে তিনি যেকোনো সময় গণভবনে আসতে প্রস্তুত। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি আপনার দলের নির্বাচিতদের নাম দেন। বাইরের লোকদের নাম প্রস্তাব করেছেন কেন? দেশ চালাব আমরা। বাইরের লোকের দরকার কী? আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন না কেন? আপনি যাঁদের নাম বলেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। দুজন এই দায়িত্ব দিতে রাজি নন বলে গণমাধ্যমে এসেছে। অনেকে বৃদ্ধ। আপনি নিজের দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নাম দেন।’
সূত্রগুলো আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ফোনে বিরোধীদলীয় নেতাকে নানা বিষয়ে ছাড় দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আপনার সরকারের সময় গ্রেনেড হামলা হয়েছে। এর পরও তো আমি আলোচনার ডাক দিয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি তো ৩২ নম্বরে গেছেন। রাসেলকে দেখেছেন। এর পরও ১৫ আগস্ট কীভাবে কেক কাটেন।’
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি বারবার বিরোধীদলীয় নেতাকে হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, ‘আপনি ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন। আমরা ২৪ ঘণ্টা পরই সাড়া দিয়েছি। আর হরতাল কেন। আসেন, আলোচনার মাধ্যমে সংকটের নিরসন করি।’