আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার মধ্যে কথা হয়। গণভবন থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ফোনে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গণভবনে গিয়ে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার দাওয়াত দেন।
দুই নেত্রীর কথোপকথন
শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে বলেন, ‘কেমন আছেন? আমি আপনাকে দুপুরে ফোন দিয়েছিলাম।’
এরপর কিছুক্ষণ থেমে তিনি বলেন, ‘না, আমি নিজে হাতে লাল টেলিফোন থেকে ফোন করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘১২ বার রিং হয়েছে। যেকোনো কারণে আপনি ধরতে পারেননি।’ অপর প্রান্তের কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, আমি দুঃখিত। ফোনটি বিকল ছিল, না বিকল করে রাখা হয়েছে বলতে পারছি না। আগামীকাল এটা আমি দেখব।’
এরপর শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সম্পর্কে গণভবনে এসে কথা বলার জন্য আমি ২৮ তারিখ সন্ধ্যায় দাওয়াত করছি।’ তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন ইতিমধ্যে অন্যদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করেছি। আমি আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি, আমার সঙ্গে রাতের খাবার খাবেন।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ থামেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যতজন খুশি নিয়ে আসতে পারেন।’ এ সময় অপর প্রান্তের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হরতালটি প্রত্যাহার করুন। দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে হরতাল আজকেই প্রত্যাহার করুন।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, বেলা পৌনে দুইটা থেকে সোয়া দুইটা পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার টেলিফোনে চেষ্টা করে কথা বলতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি আবার জানান, ‘যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ফোন করে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে পাননি। তাই এবার খালেদা জিয়া সন্ধ্যা ছয়টায় প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করবেন বলে বিরোধীদলীয় নেত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে জানানো হয়েছে।’ পরে সাড়ে ছয়টার দিকে দুই নেত্রীর কথোপকথন হয়।