২৪ অক্টোবর ঘোড়া
ডিম দিতে পারে !
আমার এক সহকর্মী বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রায়ই একজন খ্যাতনামা আইনজীবীর
একটি কথা শুনি। অনেক সময় আমি তাকে অনুরোধ করও উক্তিটি শুনি। উক্তিটি এমন-সংবিধান হলো ভদ্রলোকদের জন্য, এটা (সংবিধান)
নিয়ে কথা বলবেন, জ্ঞানীগুনী,
শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। আর সিআরপিসি হলো ..... অপরাধ সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর
জন্য। তারা এর ফাঁক ফোকার
খুজে বের করবেন ও তা থেকে নিজেদের রক্ষা করার কৌশল বের করবেন। কিন্ত বাস্তবতা হলো উল্টো। আমাদের ভদ্রলোক আইজীবীরা
আজ টাকার নেশায় ব্যস্ত সিআরপিসি নিয়ে। সিআরপিসি নিয়ে যাদের থাকার কথা এই সুযোগে তারা আজ আমাদের সংবিধানের
ব্যাখ্যা শুনাচ্ছেন। আমি দূঃখিত যদি খ্যাতনামা ওই আইনজীবীর এই মন্তব্যে আমার সাথে কেউ একমত হতে না পারেন।
আমি সামান্য সংবাদকর্মী প্রতিদিনের ঘটনাবলীর উপর নজর রাখি। বিভিন্ন সেমিনারে এমন
সব ব্যক্তিরা বক্তৃতা বিবৃতি দেন যাদের দেখলে নিজেরই লজ্জা হয়। আমি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ
নই, তবে এদেশের একজন নাগরিক। ছবিসহ একটি জাতীয় পরিচয়পত্র আমিও ব্হন করি। কিছু সংখ্যক স্বার্থপর
আর দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ব্যতিত ১৬ কোটি বাঙ্গালীর মত আমিও আমার দেশকে ভালোবাসি। তাই এদেশের ভালোমন্দে
আমিও সুখি হই, দুঃখি হই। দেশের আগামী নিয়ে আমিও চিন্তা করি। এদেশে আমি আমার আত্মমর্যাদা ও সম্মান
নিয়ে বাস করতে পারবো তো? আমি স্বাধীন ভাবে লিখতে পারবো? দেশের বিরুদ্ধে
কোন ষড়যন্ত্র বা দেশের মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে কোন ব্যক্তি, গোষ্টি বা
দেশের কাছে জাতীয় সম্পদ বিকিয়ে দিলে প্রতিবাদ করতে পারবো তো? এমন হাজারো
প্রশ্ন। তবে হালের প্রশ্ন 'ঘোড়ার ডিম'।
ঘোড়ার ডিম বললাম, কারন প্রশ্নটা
দেশের প্রায় সব মানুষের মনেই একবার হলেও উকি দিচ্ছে। বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দল রাজধানীতে সমাবেশ ডেকেছে। একদল অবস্থান নিবেন
নয়া পল্টনে, আরেক দল অবস্থান নিবেন গুলিস্থানের বঙ্গবন্ধু
এভিনিউতে। একটি দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে মধ্য যুগে। সমাবেশে আসতে বলা হয়েছে
দা-কুড়াল, বল্লম নিয়ে। এখানে একটু রসিকতা না করলেই নয়। অপরপক্ষ ডিজিটাল বাংলাদেশের
জন্য কাজ করছেন। সেই হিসেবে তারা যদি ডিজিটাল যুগের মারনাস্ত্র নিয়ে হাজির হন, তাহলে মরবেটা কে? নিশ্টই আমারা। তবে এমনটা প্রত্যাশা
করি না। আর যদি মধ্য যুগ আর আধুনিক যুগের দর্শনধারীদের মধ্যে সামান্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয়
তাহলে সরকারি বেসরকারি গাড়ি ভাঙ্গা হবে। সাধারণ পথচারী মারা যাবে। দুই দল তাকে নিয়ে টানাটানি করবে। কিন্তু কেন?
হয় সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন,না হয় নতুন কোন পদ্ধতি। হতে পারে ভিন্ন কোন নামে তত্ত্বআবধায়ক সরকার।যেটা বেগম খালেদা জিয়া
আগে বলেছিলেন। আর যদি যেদিন ঘোড়ারডিম হবে অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর যদি বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে
বিএনপি তাগিদ দিয়ে থাকেন তাহলে তারা সংবিধান মেনে নিচ্ছে। সংবিধানে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা
রয়েছে নির্বাচন কমিশন সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন।
বর্তমান সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) এর(ক)আনুযায়ী ক্ষমতা শেষ
হওয়ার ৯০ দিন আগে নির্বাচন হতে হবে। তা হলে বর্তমান মহাজোট সরকারকে ২৪ অক্টোবর ক্ষমতা ছাড়তে হবে। এই সংবিধান মেনে যদি
মহাজোট সরকারকে ২৪ অক্টোবর তারিখে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানান বিএনপির নেতারা,
তাহলে তারা কি এই সংবিধানকেই মেনে নিচ্ছেন। না এরপর আবার নতুন
কোন আবদার হাজির করে আমাদের ১৬ কোটি মানুষকে অনিশ্চিত আগামীর দিকে দৃষ্টি দিতে বলবেন।
আমার বোধগম্য নয় ২৪ অক্টোবর নিয়ে বিরোধী দলের মাথা ব্যথা
কেন? ওই দিন ক্ষমতা ত্যাগ করা মানে বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক
ছাড়াই নির্বাচন। তারা নির্বাচন পদ্ধাতি ইস্যুতে বর্তমান সংবিধান সংশোধন চান। তবে সংসদে গিয়ে কেন
সংশোধনের জন্য কথা বলেন না। দাবি তোলেন না। মহাজোট সরকারের একজন
প্রবীণ নেতা ঘোষনা দিয়েছেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগেই ক্ষমতা ত্যাগ করবে সরকার। তবে সেটা কবে তা স্পষ্ট
নয়। পাঁচ বছর মেয়াদ অনুযায়ী
মহাজোট সরকারের মেয়াদ ২০১৪ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত।
জয়দেব দাশ, সংবাদকর্মী।
স্টাফ রিপোর্টার, সমকাল।
০১৭১৭-৯১৫০৭৪
enggjoy@gmail.com
N:B প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্য একটি ভাষন দিয়েছেন। তাতে সংকট ৯৫ ভাগ কেটে গেছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে আমার লেখাটি আমি ১৬ অক্টোবর ঈদেরল দিন রাতে লিখেছিলাম। পরের দিনই আমি কুমিল্লা ছিলাম তাই আজ পোষ্ট করলাম। বিলম্বের জন্য দুঃখিত।
N:B প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্য একটি ভাষন দিয়েছেন। তাতে সংকট ৯৫ ভাগ কেটে গেছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে আমার লেখাটি আমি ১৬ অক্টোবর ঈদেরল দিন রাতে লিখেছিলাম। পরের দিনই আমি কুমিল্লা ছিলাম তাই আজ পোষ্ট করলাম। বিলম্বের জন্য দুঃখিত।