নিজস্ব প্রতিবেদক : পাইপলাইনে থাকা বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ বেড়ে এখন ১ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার, টাকায় এর পরিমাণ দেড় লাখ কোটি টাকারও বেশি। সরকার এ বিপুল অর্থ ক্রমান্বয়ে ছাড় করানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। আগামী অর্থবছরের মধ্যে ২২ শতাংশ এবং ক্রমান্বয়ে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ছাড় করানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে সরকার। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইপলাইনে জমে থাকা বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি মোটেও অস্বাভাবিক নয়। গত তিন অর্থবছরের বর্ধিত হারে অর্জিত প্রতিশ্রুতির সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির পাঁচটি কারণও চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সে সঙ্গে বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিদেশি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি ও সাহায্য ছাড়ের পরিমাণ বেড়েছে। চার অর্থবছরে (২০১১-২০১৪) গড়ে ৫৬০ কোটি ডলার হারে বিদেশি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। আগের চার অর্থবছরে (২০০৭-২০১০) এর গড় ছিল ২৬০ কোটি ডলার। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি বিদেশি সাহায্য ছাড় হয়েছে, যা স্বাধীনতা উত্তরকালে সর্বোচ্চ। ২০১১-২০১৪ পর্যন্ত প্রতি বছর গড় ২৪৩ কোটি ডলার বিদেশি সাহায্য ছাড় হয়েছে। পূর্ববর্তী চার বছরে (২০০৭-২০১০) যার গড় হার ছিল ১৯৪ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রায় ক্ষেত্রে অর্থ ছাড় শুরু হতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতির সম্পূর্ণ অর্থ ছাড়ের জন্য গড়ে ৬ বছরের বেশি সময় দরকার। আবার প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি অর্থ ছাড়ের সময়কে প্রলম্বিত করে। এ সমস্যা পর্যালোচনার জন্য ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেসব প্রকল্পে বিদেশি সাহায্য ব্যবহারের হার তুলনামূলকভাবে ধীর, সেগুলোর প্রধান প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে_ প্রকল্পে জনবল নিয়োগে বিলম্ব, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদনে দেরি, পণ্য বা সেবা সংগ্রহে দীর্ঘসূত্রতা, উন্নয়ন সহযোগী কর্তৃক অর্থ ছাড় এবং পরামর্শক নিয়োগে বিলম্ব। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ এবং প্রকল্প প্রণয়নসহ অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করতে দুটি কমিটি কাজ করছে।