Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 19 March 2014

নিখোঁজ বিমান নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও প্রতারণা

মালয়েশিয়ান বিমান নিয়ে প্রতারণা করছে সাইবার দুর্বৃত্তরাফেসবুক পোস্টে আকর্ষণীয় শিরোনাম, ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে খোঁজ মিলেছে মালয়েশিয়ার হারানো বিমানটির, ভিডিও দেখুন’। এ রকম শিরোনাম দিয়ে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি সম্পর্কে ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে নানা রকম গুজবের লিংক। ফেসবুকে ছড়ানো এই লিংকগুলোতে বিশ্বাস করা ও এ ধরনের পোস্টে ক্লিক করা থেকে সতর্ক হতে বলেছেন অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান অনলাইন।
অনলাইন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যালওয়্যারবাইটসের গবেষকেরা জানিয়েছেন, এমএইচ৩৭০ বিমানটি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের চমকপ্রদ তথ্যের লিংক শেয়ার করা হচ্ছে ফেসবুক ব্যবহারকারী নিউজ ফিডে। এ লিংকগুলোতে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীদের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের কাছে। ফলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে মালয়েশিয়ার হারিয়ে যাওয়া বিমান দেখতে পাওয়া বা খোঁজ পাওয়ার যেসব তথ্য, ভিডিও বা খবরের লিংক হাজির হচ্ছে, তা মূলত ম্যালওয়্যার ও সাইবার দুর্বৃত্তদের পাতা ফাঁদ। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করা হলে সাইবার দুর্বৃত্তরা একটি ভুয়া জরিপের পাতায় নিয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর সর্বনাশ করার চেষ্টা করে।ফেসবুকে ভিডিও প্রতারণা বাড়ছে
ম্যালওয়্যার গোয়েন্দাগিরিতে বিশেষজ্ঞ ম্যালওয়্যারবাইটসের বিশেষজ্ঞ ক্রিস বয়েড জানিয়েছেন, সাধারণত মানুষের কৌতূহল বা বড় কোনো ঘটনার সময়কে অর্থ হাতানোর সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এ সময় অনলাইনে ভুয়া লিংক, ভিডিও বা পোস্টের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। ৭ মার্চ রাতে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি নিয়েও টুইটার ও ফেসবুকে নানারকম স্ক্যাম ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ফেসবুকে কিছু পোস্টে ভিডিও জুড়ে দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে কিংবা সমুদ্রের মাঝে বিমানটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। অনেক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, যাত্রীরা এখনো বেঁচে আছেন কিংবা নিরাপদে আছেন।
ফেসবুকে অনেক সময় এ ধরনের বিষয় দ্রুত ছড়াতে ‘ব্রেকিং নিউজ’ কিংবা ‘শকিং ভিডিও’ প্রভৃতি কথাও ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘মালয়েশিয়ান উড়োজাহাজটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে খুঁজে পাওয়া গেছে’ কিংবা ‘৫০ জন আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে’ এ রকম সংবাদ প্রচার করে বিবিসি কিংবা সিএনএন সাইটের মতো ভুয়া লিংক ফেসবুকে দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ ক্রিস বয়েড জানিয়েছেন, প্রথমত টুইটারের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারপূর্ণ সাইটের লিংক ছড়ায়। ফেসবুকে যেসব সাইট লিংকের মাধ্যমে বিভিন্ন খবর শেয়ার করে, টুইটারে সে রকম সাইটের লিংকের ছদ্মবেশে ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করা হলে স্প্যামব্লগ, সংবাদমাধ্যমের ছদ্মবেশে থাকা ভুয়া জরিপের সাইটে চলে যেতে পারেন ব্যবহারকারী।
কিছু ভুয়া ভিডিও সাইট ফেসবুকে ‘প্রে ফর এমএইচ৩৭০’ নামের গ্রুপ শেয়ার করার জন্যও অনুরোধ করে। এ ধরনের পেজে ভুয়া ভিডিও দেখা ও শেয়ার করার জন্য বলা হয়।
বয়েড বলেন, এর আগে ২০১১ সালে জাপানে সুনামি ও ফিলিপাইনে ভূমিকম্পের সময়ও এ ধরনের স্ক্যাম ছড়িয়েছিল। দুর্ঘটনার সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িত থাকে। এই সুযোগে স্ক্যামগুলো জনপ্রিয় হয় এবং হাজার হাজার শেয়ার হয়। এ আবেগ কাজে লাগিয়ে ভুয়া ভিডিও ও লিংকে ক্লিক করানোর মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা অর্থ হাতানোর সুযোগ খুঁজতেই থাকে। তাই বিষয়টিতে সতর্ক থাকা জরুরি।

বিমানটি যেখানে যেতে পারে

মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কিন্তু এর হদিস আর মিলছে না।
বিমানটির সম্ভাব্য গন্তব্য ও পরিণতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
বিমানটি আন্দামানে অবতরণ করতে পারে
বিএ ৭৭৭ বিমানের সাবেক পাইলট স্টিভ বুজদিগানের মতে, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের উপকূলের কাছাকাছি হওয়ায় বিমানটি ভারতের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অবতরণ করতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা নাকচ করেছেন আন্দামান ক্রনিকল পত্রিকার সম্পাদক। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে এ কাজ করা খুব সহজ নয়।
কাজাখস্তানে উড়ে যেতে পারে
বিমানটি কাজাখস্তানের জনবিচ্ছিন্ন মরুভূমিতে অবতরণ করতে পারে বলে মত দিয়েছেন সিলভিয়া রিগলি নামের একজন পাইলট। তাঁর মতে, এমন হতে পারে যে বিমানের ট্রাফিক কন্ট্রোল পদ্ধতি অনেক পুরোনো হওয়ায় ছিনতাইকারীরা সহজেই রাডার থেকে বের হয়ে যেতে পেরেছে।
দক্ষিণে উড়ে যেতে পারে
কনভেনটরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগের অধ্যাপক নরম্যান শ্যাঙ্কস বলেন, বিমানটি মালয়েশিয়ার রাডার থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পাঁচ-ছয় ঘণ্টা উড়েছিল। তিনি মনে করেন, বিমানটি যেখানে ছিল, সেখান থেকে দক্ষিণে ভারত মহাসাগর বা উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যাওয়াটা সহজ ছিল। সেদিকে উড়ে গিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হতে পারে।
তাকলামান মরুভূমিতে যেতে পারে
বিমানটির ২৩৯ যাত্রীর মধ্যে ১৫৩ জনই চীনের। এ কারণে ধারণা করা যেতে পারে, চীনের বিচ্ছিন্নতাবাদী উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকেরা বিমানটি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আর সেটা ছিনতাই করে চীনের তাকলামান মরুভূমিতে নিয়ে যেতে পারে। তাকলামান মরুভূমিতে সাধারণ মানুষের যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
লঙ্কাউই দ্বীপে যেতে পারে
এভিয়েশন ব্লগার ক্রিস গুডফেলো যে তত্ত্ব দিয়েছেন তা হলো, বিমানটিতে আগুন লেগে যেতে পারে। এ কারণে যাত্রীদের বাঁচাতে পাইলট বেইজিংয়ের পথ থেকে সরে আন্দামান সাগরের লঙ্কাউই দ্বীপে বিমানটি নিয়ে জরুরি নেমে যেতে পারেন। তবে এই ব্লগারের তত্ত্বটি বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানে ছিনতাই হতে পারে
মিডিয়া মুঘলখ্যাত রুপার্ট মারডক এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়নি। এটি পাকিস্তানের উত্তরে জনবসতিহীন কোনো এলাকায় কেউ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। তবে পাকিস্তান এই আশঙ্কা নাকচ করেছে।
অন্য বিমানের ছায়ায় রাডার হারাতে পারে
এভিয়েশন ব্লগার কেইথ লেজারউড বলেন, বিমানটি তার সমান্তরালভাবে ওড়া সিঙ্গাপুরের একটি বিমানের আড়ালে পড়ায় তা রাডার থেকে বের হয়ে গেছে। পরে দিক হারিয়ে ফেলে বিমানটি ভারত বা আফগানিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে। পরে তা হয়তো জিনজিয়াং, কিরগিজিস্তান বা তুর্কমিনস্তানে অবতরণ করতে পারে।
লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের রাডার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুগ গ্রিফিথস বলেন, কেইথ লেজারউডের এই তত্ত্বটির বিশ্বাসযোগ্যতা আছে।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যাত্রী হত্যা করা হতে পারে
সাবেক রয়েল এয়ারফোর্সের নেভিগেটর সেন মাফেট বলেন, কেউ উদ্দেশ্যশূলকভাবে বিমানটি ৪৫ হাজার ফুট ওপরে তুলে যাত্রীদের হত্যা করে ফেলতে পারে।

সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ছিনতাই করতে পারে
নাইন-ইলেভেনের মতো নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিমানটিকে কোনো বড় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ছিনতাই করতে পারে। হয়তো বিমানটি ছনতাই করার পর তা স্বাভাবিকভাবেই অবতরণ করে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

Bangladeshi teen wins Sony World Photography Award


Star Online Report
Turjoy Chowdhury, Bangladesh, 2014 Sony World Photography Awards.
Turjoy Chowdhury, Bangladesh, 2014 Sony World Photography Awards.
A Bangladeshi photographer, Turjoy Chowdhury won the Sony World Photography Awards 2014.
The winners to the Open, Youth and National Award competitions of this year's Sony World Photography Awards were announced from more than 70,000 entries from across the world on March 18.
The three competitions were judged on a single shot and prizes range from the latest Sony digital imaging equipment to trips to London to attend the Sony World Photography Awards gala ceremony on April 30 according to the World Photography Organisation website
Turjoy Chowdhury came first in the youth environment category.
Open to photographers under the age of 20, the Youth competition uncovers emerging talent. The category winners are Environment: Turjoy Chowdhury, Culture: Anastasia Zhetvina from Russia and Portraits: Paulina Metzscher from Germany
Each winner will receive a Sony a5000 camera and will have their work exhibited as part of the Sony World Photography Awards exhibition in London in May and published in the annual book.
From the three category winners, one overall Youth Photographer of the Year will be selected and will be flown to London to collect their award on April 30.
The Sony World Photography Awards is a widely recognised global photographic awards programme.
Launched in 2008, the awards are dedicated to supporting and cultivating photographic culture.

DAPPLING IN THE DAPPER

By Mehereen Aziz
DAPPLING IN THE DAPPER
Can a man ever go wrong in a suit? Statistics will definitely tell you that it's next to impossible. There's nothing like the timeless appeal of a classy man clad in a suit and tie. The wedding season in winter allowed every man to go all out with their suits, ties, vests and pocket squares. Those who lead the corporate lifestyle could make all their fantasies of dressing up in suits like Harvey Specter a reality.  But now that the temperature is getting a little warmer, it's sadly time to ditch the elaborate suits.
SUIT UP IN SUMMER
DAPPLING IN THE DAPPER
The problem is, though, that a lot of men aren't aware of the fact that there's more to suits than just your run-of-the-mill ones. Hence, we sadly see a lot of men bringing out their suits only for the winter and for the extra special occasions in the summer. And let's not even talk about all the electricity men waste by turning up the air conditioner in offices, just so that they can keep their suits on regardless of how hot it is!
Make room in your closet for a variety of more lightweight suits in breathable fabrics that are just perfect for the warmer weather. You can blend a laid-back, summery look with your professional attire by sporting a summer suit. The best part is, they are also more cost effective compared to their heavier, more elaborate darker counterparts.
Summer suits are versatile enough to be dressed up or down, especially the lighter colours like khaki, which makes a sight for sore eyes in the heat. You can add a white shirt and black tie to stay formal, or pair it with a plaid or printed shirt for a more casual vibe.
Another fantastic option to keep cool in the heat would be linen. Look for material that is heavier than typical linen, though, to avoid having a suit that will wrinkle with every movement. Stay away from pure linen; linen blends are the best option.
For those of you who don't like taking giant leaps, why not go for a safe, light grey? You can mix and match light grey with whatever the heck you want! A light grey suit looks best with brown shoes, so it offers an excellent excuse for you to go shoe shopping, too.
To simplify your choices, check out Cats Eye's range of blazers. Introduced last summer, Cats Eye offers blazers that fit the unique requirements of the region. Given the weather, these blazers are made using linen and cotton. The line has proven to be quite popular and can be worn all year around. Now that world fashion already accepts blazers as an industry standard, Bangladesh too isn't far from the trend, so why should you be?
Cats Eyes extremely light blazers, without the extra paddings and half-lining, makes this the best choice. The price ranges from Tk.9000 to Tk.10500 for cotton ones and Tk.11000-12000 for linen based suits. One can purchase just the blazer or the whole set, along with the numerous accessories that Cats Eye has to offer.
To the more adventurous souls out there, perhaps you might consider buying that bright-coloured suit that you've been dying to try on. It seems like bright coloured blazers are trending at the moment, especially in the warmer months.
If your office relaxes the dress code for summer, you're free to pick a bolder look. And in a summer wedding, you can go all out. For extra style points, pair it with dark jeans.
Don't be the guy who is wearing a suit to look good, but can't stop perspiring because of the weather. Remember that a huge part of being fashionable is being comfortable in whatever it is you are wearing. This way, you will not only look dapper all year round, but maximise your comfort too.
DAPPLING IN THE DAPPER
DAPPLING IN THE DAPPER














Photo: Sazzad Ibne Sayed
Model: Asif Azim and Airin
Wardrobe: Cats Eye
Makeup for Airin: Farzana Shakil
Location: Radisson Blu Water Garden Hotel

DAPPLING IN THE DAPPER
GREET THE HEAT
The long bouts of sunshine hint that the cooler weather is now a thing of the past in Dhaka city. While the ladies are a little sad to see their beloved winter wear packed away for next year, all hope is not lost. This is the perfect weather to bring out those pieces that in a few months might be too warm to wear. While cotton and linen will remain the staple fabrics during the months of blistering heat, now is the time to play with a few other fabrics in your closet.
Chiffon is one such fabric you can take full advantage of during this interim. While a chiffon top and the tank top underneath restrict a lot of air in the more humid months, you can comfortably wear chiffon tops and dresses now. Other synthetic fabrics include polyester, satin, etc. which you can sport by picking out your favourite jumpsuits and dresses. The vibrant colours and prints that we are deprived from later in the year because they are on these warmer fabrics can be ours to play with now. You can comfortably throw on a light blazer or shrug as well.
Also remember that you can accessorise to your heart's content during this time of the year. Anyone remember how sweaty our necks get when we wear necklaces or wrap around scarves in July? Yes, now it's coming back to you, isn't it? Now that you remember, bring out all the statement necklaces, especially the imitation ones in gold and silver which may get discoloured due to the humidity from May onwards. Take full advantage of the weather and wear all your beloved pieces, both in terms of clothing and accessories, while you still can!

By Mehereen Aziz
Published: THE DAILY STAR

Plane not sighted over Maldives, says transport minister

Star Online Report
Acting Transport Minister Hishamuddin Hussein. Photo: The Star
Acting Transport Minister Hishamuddin Hussein. Photo: The Star
MH370 was not seen over the Maldives, said acting Transport Minister Hishamuddin Hussein.
Speaking at a press conference at the Sama-Sama hotel here, Hishamuddin said the confirmation was made by top-level armed forces personnel in both countries.
"Regarding reports that the plane was sighted in the Maldives, I can confirm that the Malaysian Chief of the Defence Force has contacted his counterpart in the Maldives, who has confirmed that these reports are not true," said Hishamuddin on Wednesday.
It had been reported by the Maldivian daily Haveeru that residents of Kuda Huvadhoo in Dhaal Atoll in the Maldives reportedly saw a "low-flying jumbo jet" flying over houses early in the morning of March 8, the same day Malaysia Airlines flight MH370 went missing.
Eyewitnesses who reportedly saw the aircraft agreed that it was travelling in a north to southeast heading towards Addu, the southern tip of the Maldives, and all commented on the very loud noise the aircraft made when flying over the island.
MH370 had left Kuala Lumpur International Airport for Beijing with 239 passengers and crew. The Boeing 777 disappeared from Malaysian radars at 2.15am on March 8.

নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে ধোনির মামলা

এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই নিউজ চ্যানেলের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকাও দাবি করেছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক
নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে ধোনির মামলা
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ফাইল ছবি।
একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
 
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের অভিযোগ, ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইপিএল ফিক্সিংকাণ্ডের ওপর ওই নিউজ চ্যানেলে সম্প্রচারিত কয়েকটি খবরে, তার সম্মানহানি হয়েছে। এতেই মাদ্রাজ হাইকোর্টে ওই নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন ধোনি।
 ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই নিউজ চ্যানেলের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকাও দাবি করেছেন তিনি।
এরপরই ওই নিউজ চ্যানেলকে আইপিএল ফিক্সিংকাণ্ডে ধোনি সংক্রান্ত খবর সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
এদিকে বেসরকারি ওই নিউজ চ্যানেলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধোনির অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে৷

নবম সংসদে ১০৪ কোটি টাকার সময় নষ্ট

নবম সংসদে সাংসদদের কোরাম সংকটের কারণে মোট ২২২ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এর অর্থমূল্য প্রায় ১০৪ কোটি টাকা। টিআইবির 'পার্লামেন্ট ওয়াচ' প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, 'বর্তমান জাতীয় সংসদে বাস্তব অর্থে কোনো বিরোধী দল নেই।
সমকাল প্রতিবেদক
নবম সংসদে ১০৪ কোটি টাকার সময় নষ্টনবম সংসদে সাংসদদের কোরাম সংকটের কারণে মোট ২২২ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এর অর্থমূল্য প্রায় ১০৪ কোটি টাকা। টিআইবির 'পার্লামেন্ট ওয়াচ' প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, 'বর্তমান জাতীয় সংসদে বাস্তব অর্থে কোনো বিরোধী দল নেই। যে বিরোধী দল আছে, তা কেবলই আক্ষরিক।'
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে টিআইবি। 'পার্লামেন্ট ওয়াচ' প্রতিবেদনটি তৈরি করেন টিআইবির গবেষক মোর্শেদা আক্তার ও জুলিয়েট রোজেটি। টিআইবি বলছে, সংসদে কোরাম সংকটের কারণে যে সময় নষ্ট হয়েছে, এর অর্থমূল্য প্রায় ১০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে নবম জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ৪১৮ কার্যদিবসের মধ্যে ৩৪২ কার্যদিবস সংসদ বর্জন করায় এর অর্থমূল্য ছিল প্রায় ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সংসদের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক দিন তারা অনুপস্থিত থেকেও আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নবম সংসদে আইন প্রণয়নে মোট সময়ের মাত্র আট ভাগ ব্যয় করা হয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের আলোচনায় পাস হয়েছে।প্রতিবেদনে জানানো হয়, 'প্রধান বিরোধী দলের নেতা মাত্র ২ দশমিক ৩৯% সময় উপস্থিতির মাধ্যমে সর্বনিম্ন উপস্থিতির নতুন রেকর্ড স্থাপন করেন। সংসদ অধিবেশন পরিচালনায় প্রতি মিনিটে গড় ব্যয় প্রায় ৭৮ হাজার টাকা হিসাবে প্রতি কার্যদিবসের গড় কোরাম সংকটের সময়ের অর্থমূল্য প্রায় ২৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা এবং সংসদের পূর্ণ মেয়াদে কোরাম সংকটের মোট অর্থমূল্য প্রায় ১০৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'বর্তমান জাতীয় সংসদে বাস্তব অর্থে কোনো বিরোধী দল নেই। যে বিরোধী দল আছে, তা কেবলই আক্ষরিক।' সংসদের এই পরিস্থিতিকে সাময়িক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আক্ষরিক অর্থে তারা বিরোধী দল। তাদের ভূমিকায় বাস্তবে আমরা তা অনুধাবন করতে পারি না। বিরোধী দল মানে বিরোধী দল হবে। বাস্তব অর্থে এ সংসদে বিরোধী দল আছে_ তা বলতে পারি না।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতেই ৫ জানুয়ারি ভোট হয়েছে। ওই সময় রাজনৈতিক মহল থেকে বলা হয়েছে_ দশম সংসদ নির্বাচন করে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। রাজনীতিকদের সে প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় এ সংসদ 'সাময়িক' হবে বলে আশা টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের। একাদশ সংসদ নির্বাচন হলে বিরোধী দলবিহীন সংসদের 'সংস্কৃৃতি'র বিলুপ্তি ঘটবে বলে মনে করছেন তিনি। দশম সংসদ নির্বাচনের পরে একাদশ সংসদ খুব দ্রুত করার জন্য আলোচনা হবে বলে রাজনীতিবিদরা বলেছেন। এখন এ আলোচনা কখন হবে তা রাজনৈতিক বিষয়। ৫ বছরের মধ্যে যে কোনো সময় তা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শিগগিরই সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্রে যে ধরনের সংসদ থাকা উচিত, সে ধরনের সংসদ বহাল হবে। এই সময়টা হচ্ছে আজ থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে যে কোনো দিন। তবে যত শিগগিরই এটা কার্যকর হবে, তত দ্রুত জনগণের কাছে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে।টিআইবির ট্রাস্টি এম হাফিজ উদ্দিন বলেন, শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জাতীয় সংসদ কার্যকর হচ্ছে না।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নবম সংসদে বিভিন্ন ইতিবাচক দিকের মধ্যে রয়েছে সদস্যদের গড় উপস্থিতির হার অষ্টম সংসদের তুলনায় ৬৩%-এ বৃদ্ধি পাওয়া, অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার সুযোগ হ্রাস পাওয়া, প্রথম অধিবেশনেই সব সংসদীয় কমিটি গঠিত হওয়াসহ চারটি কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে নির্বাচন করা, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে নিয়মিত অংশগ্রহণ, অধিবেশনে বিলের ওপর সংশোধনী, যাচাই-বাছাই প্রস্তাবের ক্ষেত্রে সরকারি দলের পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ইত্যাদি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের ক্রমাগত অনুপস্থিতির কারণে এসব ইতিবাচক অর্জন ধরে রাখা যায়নি। যেমন অনুপস্থিতির কারণে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো সংসদে উত্থাপিতই হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি দলের সংসদ সদস্যের মধ্যে শতকরা ৪৬ দশমিক ৯ ভাগ সদস্য অধিবেশনের তিন-চতুর্থাংশের বেশি অর্থাৎ মোট কার্যদিবসের ৭৫ শতাংশের বেশি উপস্থিত ছিলেন সংসদে। প্রধান বিরোধী দলের সদস্যদের সবাই ১৯টি অধিবেশনের মোট কার্যদিবসের এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ ২৫ শতাংশ বা তার কম কার্যদিবস উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধান বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের ক্ষেত্রে পঞ্চম সংসদে এই হার ছিল প্রায় ৩৪%, অষ্টম সংসদে তা বেড়ে হয় ৬০% এবং নবম সংসদে তা পূর্বের সব রেকর্ড অতিক্রম করে ৮২%-এ দাঁড়ায়। এই সময়ে মোট ২৭১টি বিল পাস করা হয়, যার ২৬৮টি সরকারি বিল এবং ৩টি বেসরকারি। তবে সংসদ সদস্য কর্তৃক বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হওয়ার পূর্বেকার চর্চা অব্যাহত ছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসদের মোট সময়ের ৮ দশমিক ২% সময় আইন প্রণয়নে ব্যয় হয়েছে এবং একটি বিল পাসের ক্ষেত্রে গড়ে মাত্র ১২ মিনিট সময় ব্যয় হয়েছে।নবম সংসদে ৫৩টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ১৮৩টি উপকমিটি গঠন করা হয়। ৪৫টি কমিটি মোট ১০১টি প্রতিবেদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২২টি কমিটির ৪ হাজার ৯৩৫টি সুপারিশের বিপরীতে মোট ১ হাজার ৭৮৭টি (৪৩ দশমিক ১৭%) সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে। ২৩টি কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে সংসদীয় কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং সংসদীয় কমিটির কার্যকরতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ২১ দফা সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশ হলো :সংসদ বর্জনের সংস্কৃৃতি প্রতিহত করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন করে দলীয় বা জোটগতভাবে সংসদ বর্জন নিষিদ্ধকরণ, এ ক্ষেত্রে দলীয়ভাবে সদস্যপদ বাতিলের বিধান প্রণয়ন; সংসদ অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকার সর্বোচ্চ সময়সীমা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে উদাহরণস্ব্বরূপ ৩০ কার্যদিবস করার বিধানসহ অনুমোদিত ছুটি ব্যতীত একটানা ৭ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকা নিষিদ্ধ করা; সংসদ সদস্য আচরণবিধি বিল-২০১০ চূড়ান্ত অনুমোদন ও আইন হিসেবে প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার মুরাদ দেশে

পুলিশ জানিয়েছে, 'মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী' মুরাদ শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি।
সমকাল প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার মুরাদ দেশেযুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি নাজমুল মাকসুদ মুরাদকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান সমকালকে একথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এফবিআই'র হাতে গ্রেফতার নাজমুল মাকসুদ মুরাদকে বুধবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বিকেলে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর জানান, 'মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী' মুরাদকে ধরতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা- ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করা হয়েছিল।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন ৩১ মার্চ

গত ১৫ মার্চ এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে তা স্থগিত করা হয়।
সমকাল প্রতিবেদক
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন ৩১ মার্চ
নির্বাচনের প্রস্তুতির ফাইল ছবি
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
গত ১৫ মার্চ এই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ তা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল জলিল ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে গত ৮ মার্চ শনিবার দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় চার ঘণ্টার জন্য রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শ্রীপুর পৌর শহর।
এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার সেকেন্ড অফিসার জিয়াউল ইসলামসহ ২৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন; আহত হন কমপক্ষে ৬৫ জন।
পরবর্তীতে তাদের একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আল আমীন নামে ওই যুবক শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সহসম্পাদক।

দুর্নীতির ২ মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

এর আগে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় চেয়ে তার আইনজীবীদের করা আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত।
সমকাল প্রতিবেদক
দুর্নীতির ২ মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
বুধবার দুই মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি- ফোকাস বাংলা
জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন নিম্ন আদালত।
 
বুধবারই এর আগে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত।
 
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সমকালের জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক ওয়াকিল আহমেদ হিরণ জানান, অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য বুধবার দুপুর ১টার দিকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর তিনি ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে যান।
 
শুনানি শুরুর আগেই খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন। এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করলে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন বিচারক বাসুদেব রায়।
 
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সমকাল প্রতিবেদক আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান, বিচারক বাসুদেব এজলাস কক্ষ ত্যাগের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেন।
 
তিনি জানান, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের তুমুল হট্টগোলের মাঝে বিচারক বাসুদেব রায় তৃতীয় বারের মতো এজলাস ত্যাগ করে তার খাস কামরায় চলে যান।পরে ৩টা ৪০ মিনিটে পেশকারের মাধ্যমে আদালতে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।এসময় আদালতে উপস্থিত খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, আসামিকে অভিযোগ পড়ে শোনানো ছাড়া কীভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলো।
 
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিচারকের এজলাসের দুপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। খালেদা জিয়া তখন আদালত প্রাঙ্গণে ছিলেন।
 
খালেদা জিয়ার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা। মোতায়েন ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচলে শর্তারোপ করা হয়।
 
এদিকে সকাল থেকেই ওই এলাকায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। ভিড় করেন বিএনপি ও তার ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও।
 
দুদকের বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল মঙ্গলবার সমকালকে জানান, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে  ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। দীর্ঘ বিলম্বিত এ মামলা দুটিতে প্রতিবারই হাইকোর্টে সময় চাওয়া হচ্ছে।
 
তিনি জানান, এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৪১ বার ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১১ বার খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালত খালেদা জিয়াকে হাজির হতে শেষ সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।
 
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, কাজী সলিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তবে শেষের দু'জন প্রথম থেকেই পলাতক। তারেকের পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন।
 
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন— বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তবে হারিছ চৌধুরী এ মামলায় শুরু থেকেই পলাতক। অন্যরা জামিনে আছেন।
 
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
 
২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় গত বছর ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। মামলাটিতে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুটি মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক হারুনুর রশীদ।

Friday 7 March 2014

দক্ষ সাইবার ‘যোদ্ধা’ গড়ে তুলছে যুক্তরাষ্ট্র

অ্যামেরিকায় লেখাপড়া করা একটা ব্যয়বহুল ব্যাপার৷ তবে একটা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে পুরো বৃত্তির ব্যবস্থা করছে সরকার৷ সেটা হচ্ছে সাইবার ‘যোদ্ধা’ হয়ে ওঠার পড়াশোনা৷

দিন দিন প্রযুক্তির যত উন্নতি হচ্ছে তত বাড়ছে সাইবার অপরাধের আশঙ্কা৷ এমনকি পরবর্তী বিশ্বযুদ্ধটা হতে পারে ভার্চুয়াল জগতে - এমন কথাও বলা হচ্ছে অনেক দিন থেকে৷ ফলে বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করছে৷ অ্যামেরিকা যে এতে পিছিয়ে থাকতে চাইবে না সেটাই তো স্বাভাবিক৷
না, তারা পিছিয়েও নেই৷ বরং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আজ থেকে ১০ বছর আগেই তারা সাইবার অপরাধ দমাতে সক্ষম এমন বিশেষজ্ঞ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে৷ এই প্রকল্পের নাম ‘সাইবারকর্পস'৷ এর আওতায় প্রতি বছর প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থীকে বিনা পয়সায় লেখাপড়া করানো ছাড়াও তাদের মাসিক খরচের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেয়া হচ্ছে৷ মোট ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে৷
তবে পুরোপুরি শর্তহীন নয় এই বৃত্তি৷ এর ফলে শিক্ষার্থীরা যতমাসের জন্য বৃত্তি পাবি ততমাস সরকারি কোনো চাকরিতে বাধ্যতামূলক কাজ করতে হবে৷ তবে কেউ সেটা করতে না চাইলে তাকে বৃত্তির পুরো টাকাটা ফেরত দিতে হবে৷
এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার বিশেষজ্ঞ বেরিয়েছে৷ প্রকল্পের সমর্থক অ্যালান পেলার বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল গড়ে তুলতে এই প্রকল্প সহায়তা করছে৷
দিন দিন প্রযুক্তির যত উন্নতি হচ্ছে তত বাড়ছে সাইবার অপরাধের আশঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে সাইবার অপরাধ দমনে সহায়তা করে থাকে অ্যালান পেলার৷ তিনি বলেন, ‘‘সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে লেখা বা বলার জন্য অনেক লোক আছে আমাদের৷ কিন্তু এই অপরাধ মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত লোকের অভাব রয়েছে৷''
পেলার বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টি বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ শুধু সরকার নয়, বিভিন্ন কোম্পানিও তাদের কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত করতে চাইছে৷ ফলে বৃত্তি নিয়ে যারা সাইবার যোদ্ধা হয়ে উঠছেন তাঁদেরকে নিয়োগ দিতে বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে৷
প্রকল্প পরিচালক ভিক্টোর পিয়োত্রোভস্কি বলেন, এমনিতেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম৷ তার উপর সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজন বাড়তি যোগ্যতার৷ যেমন কারও বিরুদ্ধে অতীতে আইনি অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ থাকলে সে আর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে সাইবার নিরাপত্তা বিভাগে কাজ করতে পারবে না৷
তবে প্রকল্পের আওতায় যতজন শিক্ষার্থী বের হচ্ছেন সে সংখ্যাটা চীনের তুলনায় একেবারেই নগন্য বলে জানান প্রকল্প পরিচালক৷ তিনি বলেন, চীন থেকে প্রতি বছর এ বিষয়ে দক্ষ হাজার হাজার শিক্ষার্থী বের হচ্ছে৷
প্রকল্পের আওতায় জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন প্যাট্রিক কেলি৷ বর্তমানে তিনি সেখানেই শিক্ষকতা করছেন৷ কেলি বলছেন, শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হয়৷ এজন্য সাইবার হামলার বাস্তব পরিবেশ গড়ে তোলা হয়৷ এবং সেটা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে হবে সেটা শেখানো হয়৷ তবে কেলি বলছেন, যারা সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারাও বেশ মেধাবী৷ ফলে প্রতিনিয়ত তারা নতুন নতুন উপায় বের করে ফেলে৷ যেটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাটা বেশ কষ্টকরই বলা যায়৷
বাংলাদেশও সাইবার অপরাধ দমনে স্বল্প পরিসরে হলেও কাজ করে যাচ্ছে৷ এজন্য গঠন করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপনস টিম' বা সিএসআইআরটি নামে একটি বিশেষ দল৷ তাদের রয়েছে একটি ওয়েবসাইট, যার ঠিকানা http://www.csirt.gov.bd ৷ সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে রাত-দিন নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিতে এই ওয়েবসাইটটি চালু করা হয়েছে৷ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বিটিআরসির উদ্যোগে এই ওয়েবসাইটটি চালু হওয়ার পরই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে সবাইকে সে বিষয়ে অবগত করা হয়েছে৷
ডিডিওএস হামলা প্রতিরোধে ফায়ার ওয়াল ব্যবহার, জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার ও তা মনে রাখা এবং এসএসএল ও এনক্রিপশন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে৷ এছাড়া নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি কম্পিউটার নিরাপত্তা বিষয়ক ১০টি টিপস এবং ওয়েব নিরাপত্তা বিষয়ক পাঁচটি নির্দেশনা রয়েছে সেখানে৷ এছাড়া আছে কোনো বিষয়ে অভিযোগ জানানো ও সতর্ক করার বিভিন্ন সুবিধা৷

সাইবার জগত: তরুণীদের জন্য অশনিসংকেত

ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহারে জগত যেমন উপকৃত হচ্ছে, তেমনি কিছু মানুষের অশুভ প্রয়াসের ফলে ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছেন অনেকে৷ এমনকি ইউরোপেও তরুণীরা আছেন বিপদে৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, তরুণীদের উত্যক্ত করার মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে৷

Frau liegt mit Tablet im Park
বুধবার প্রকাশিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-র মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত সংস্থা এফআরএ-র সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ইউরোপের তরুণীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছেন৷ প্রতিদিন ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সি দশ জন তরুণীর অন্তত একজন অশ্রাব্য ভাষায় লেখা টেক্সট মেসেজ, ই-মেল অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নানা বার্তা পান৷
ভিয়েনাভিত্তিক সংস্থা এফআরএ জানিয়েছে, এভাবে ক্রমাগত উত্যক্ত করার ফলে তরুণীদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ৷ তাঁদের রক্ষা করার জন্য শিগগিরই জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এফআরএ-র পরিচালক মর্টেন কিয়েরুম৷ বর্ণবাদ এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইউরোপে যথেষ্ট তৎপরতা দেখা গেলেও সাইবার জগতে নারীর অবমাননাবিরোধী উদ্যোগের অভাব রয়েছে – এ কথা জানিয়ে তিনি ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হবার অনুরোধ জানিয়েছেন৷
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সাইবার জগতে তরুণীদের সবচেয়ে বেশি উত্যক্ত করা হয় সুইডেনে৷ সুইডেনের এক চতুর্থাংশ তরুণীই উত্যক্তকারীদের নির্মম শিকার৷ ইউরোপে তরুণীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ সাইবার জগত রয়েছে স্পেন, পর্তুগাল এবং স্লোভেনিয়ায়৷ এই দেশগুলোতে মাত্র পাঁচ শতাংশ নারীকে এভাবে উত্যক্ত হতে হয় বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়৷
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

মৌলবাদী শিক্ষা দিলে হারাতে পারেন শিশুটিকে

ব্রিটেনে যে মুসলমানরা সন্তানকে মৌলবাদী শিক্ষা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন লন্ডনের মেয়র৷ তাঁর মতে, উগ্রপন্থি হওয়ার শিক্ষা দিলে শিশু-নির্যাতনের অভিযোগ এনে সন্তানকে বাবা-মায়ের থেকে নিয়ে নেয়া উচিত৷

London Bürgermeister Boris Johnson
লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ-এ লিখেছেন, ইংল্যান্ডে মৌলবাদ আশঙ্কাজনকভাবে না বাড়লেও, তা কমছে না৷ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনদের অনেকেই মৌলবাদে বিশ্বাসী এবং তাঁরা মৌলবাদী দর্শন প্রচার করছেন – এ কথা উল্লেখ করে ব্রিটেনে বসবাসরত মুসলিম পরিবারগুলোর একটি প্রবণতা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি৷ জানিয়েছেন, অনেক পরিবারে ধর্ম শিক্ষা দেওয়ার নামে সন্তানদের মৌলবাদী হিসেবে গড়ে তোলা হয়৷ বিশেষ করে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘আল মুহাজির'-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকে তাঁদের সন্তানদের মানুষ হত্যার রাজনীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
Ägypten Muslimbrüder Mursi Flagge Fahne Demonstration
লন্ডনের মেয়র মনে করেন, সুপরিকল্পিতভাবে যাঁরা সন্তানকে মৌলবাদী করে গড়ে তুলছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত লেখায় শিশুদেরমৌলবাদী শিক্ষাদান রোধে ব্রিটেনের বর্তমান প্রচলিত আইনের সীমাবদ্ধতার দিকটিও তুলে ধরেছেন বরিস জনসন৷ তবে ৪৯ বছর বয়সি এই মেয়র মনে করেন, সুপরিকল্পিতভাবে যাঁরা সন্তানকে মৌলবাদী করে গড়ে তুলছেন তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত৷ তাঁর মতে, ‘‘শিশুকে মৌলবাদী শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে শিশু নির্যাতন হিসেবে দেখা উচিত এবং তারপর সন্তানকে তার সুশিক্ষার স্বার্থে পরিবার থেকে সরিয়ে নেয়া উচিত৷''
এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

একটি স্মার্ট কার্ড, ৩০ টাকায় ৩০ হাজার টাকার চিকিৎসা

ছয় লক্ষ মানুষ জটিল রোগের চিকিৎসা করিয়েছেন হাসপাতালে৷ তাঁরা কেউ-ই তেমন স্বচ্ছলতা নন৷ অথচ চিকিৎসা করিয়েছেন এত অল্প খরচে যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের দরিদ্র মানুষ এখন নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন একটি স্মার্ট কার্ড নিয়ে৷

Krankenversicherung in Indien Werbung RSBY
রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনা (আরএসবিওয়াই)৷ ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প এটি৷ প্রকল্পটি দরিদ্র মানুষদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা আর আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধার মেলবন্ধনের কারণে৷ ৩০ টাকার বিনিময়ে হতদরিদ্র মানুষরা পেতে পারেন তাঁদের পরিবারের সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা৷ একটি স্মার্ট কার্ড নিয়ে গেলেই হাসপাতালে এক পরিবারের পাঁচজন সদস্য এক বছরে পান ৩০ হাজার টাকার চিকিৎসাসেবা৷
Krankenversicherung in Indien Patienten RSBY
ছয় লক্ষ মানুষ জটিল রোগের চিকিৎসা করিয়েছেন হাসপাতালে
আরএসবিওয়াই প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে৷ বীমা করানো মানেই নানা ধরণের ফর্ম পূরণ করার ঝামেলা৷ টাকা-পয়সা থাকলেও লেখাপড়া না জানায় এতদিন অনেকে বীমা করাতে চাইতেন না৷ কিন্তু একটা ছোট্ট স্মার্ট কার্ডে যাবতীয় তথ্য রাখার ব্যবস্থা করে সেই ঝামেলা দূর করেছে আরএসবিওয়াই৷ তাছাড়া চিকিৎসার খরচও খুব কম৷ ফলে দরিদ্র মানুষদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে এই প্রকল্প৷ আত্মপ্রকাশের ৬ বছরের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় এসেছে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ পরিবার৷
উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার ছোট্ট শহর কোসি কালানের একটি ভবনের সামনে সকাল থেকেই বেশ ভিড়৷ কয়েকশ মানুষ এসেছেন একটা স্মার্ট কার্ডের আশায়৷ রিঙ্কু হাঁশিও এসেছেন কোলের শিশুটিকে নিয়ে৷ এতদিন পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করাতে হিমসিম খেয়েছেন তাঁর স্বামী৷ তবে আগের দিন শহরবাসীকে মাইকে জানানো হয় তাড়াতাড়ি ৩০ টাকায় একটি স্মার্ট কার্ড নিয়ে সারা বছরের জন্য নিশ্চিন্ত থাকার আহ্বান৷ স্বামীর সঙ্গে কথা বলে রিঙ্কুও তাই ৩০ টাকায় ৩০ হাজার টাকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ছুটে এসেছেন আরএসবিওয়াই কার্যালয়ে৷
আরএসবিওয়াই-কে দরিদ্ররা বন্ধু মনে করলেও ভারতের অনেক দরিদ্র মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারছেন না৷ এর কারণ জানিয়েছেন আরএসবিওয়াই কর্মকর্তা রাজেন্দ্র সিং৷ তিনি জানান, দরিদ্র হিসেবে কে কে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন তা ঠিক করা হয় ২০০২ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী৷ অথচ ১১ বছর আগে যাঁরা দরিদ্র ছিলেন তাঁদের অনেকেরই জীবনে স্বচ্ছলতা এসেছে, অনেক নতুন দরিদ্র নাগরিকও পেয়েছে ভারত৷
আরএসবিওয়াই প্রকল্পের আওতায় আসা দরিদ্ররা যাতে কোনো হেনস্থার শিকার না হন তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এবং কিছু বেসরকারি বীমা কোম্পানিকে৷ লেখাপড়া না জানা দরিদ্রদের স্মার্ট কার্ড ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তোলার দায়িত্বও পেয়েছে কয়েকটি বীমা কোম্পানি৷ এসবের পেছনে প্রচুর টাকা খরচ হয় বলেও আরএসবিওয়াই প্রকল্পের সমালোচনা করেন অনেকে৷ তাঁদের মতে, এই টাকা সাধারণ চিকিৎসাসেবায় ব্যয় করাই ভালো৷
তবে কিছু দুর্বলতা এবং সমালোচনা সত্ত্বেও দিনমজুর লীলে ধর-এর মতো অনেকেই আরএসবিওয়াই-কে পাশে পেয়ে খুশি৷ ক'দিন আগেও নিজের চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে বাড়ির গরুও বিক্রি করেছেন৷ তারপরও হার্নিয়া অস্ত্রোপচার করাতে পারেননি৷ ৩০ টাকায় আরএসবিওয়াই-এর স্মার্ট কার্ড নিয়েসম্প্রতি লীলে ধর অস্ত্রোপচার করিয়েছেন৷ একটি স্মার্ট কার্ডই তাঁকে দিয়েছে অল্প খরচে সুস্থ জীবনে ফেরার আনন্দ৷

আফগান-পাক সীমান্তে অন্যরকম যুদ্ধ!

যুদ্ধটা পোলিওর বিরুদ্ধে৷ কারণ বিশ্বের যে দুটো অঞ্চলে পোলিও এখনো তার উপস্থিতি ধরে রেখেছে তার মধ্যে আফগান-পাক সামীন্ত একটি৷ অন্যটি নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চল৷

তবে আফগানিস্তানের চেয়ে পাকিস্তানে পোলিওর আক্রমণটা যেন একটু বেশি৷ কারণ গত বছর পাকিস্তানে ৯৩ জন পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিল৷ আগেরবার যে সংখ্যাটা ছিল ৫৮৷ অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে৷ অন্যদিকে আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো৷ সেখানে সংখ্যাটা পড়তির দিকে৷ গতবছর সে দেশে মাত্র ১৪ জন পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিল৷ ২০১১ সালে যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৮০ জন৷
দুই দেশের ক্ষেত্রে এই ব্যবধানের কারণ পোলিও সম্পর্কে দুই দেশের তালেবানের দু'ধরণের উপলব্ধি৷ পাকিস্তানি তালেবান মনে করে পোলিও নির্মূল কর্মসূচি মার্কিনিদের গোয়েন্দা কর্মসূচির একটি অংশ৷ এ ধরণের একটি কর্মসূচির ঘটনা সাজিয়ে মার্কিনিরা ওসামা বিন লাদেনের অবস্থান বের করায় পাকিস্তানি তালেবানের মধ্যে এই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে৷ এছাড়া তালেবান মনে করে পোলিও টিকা হচ্ছে মুসলিম শিশুদের মধ্যে বিষ ঢোকানোর একটা ষড়যন্ত্র, যেটা খেলে শিশুরা অক্ষম হয়ে যায়৷
পাকিস্তানি তালেবানের এমন ধারণার কারণে আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের অনেক অংশে পোলিও টিকা কর্মসূচি বন্ধ করতে হয়েছে৷ কর্মসূচির সঙ্গে জড়িতদের লক্ষ্য করে তালেবান বেশ কয়েকবার হামলা চালানোয় এমনটা করা হয়েছে৷ এমন একটি ঘটনায় গত শনিবার পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে একদন পোলিও কর্মীকে লক্ষ্য করে চালানো তালেবান হামলায় ১২ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে৷
পাকিস্তানি তালেবান মনে করে পোলিও নির্মূল কর্মসূচি মার্কিনিদের গোয়েন্দা কর্মসূচির একটি অংশ
শুধু হামলাই নয়, পোলিও টিকার বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে বেতারকেও বেছে নিয়েছে পাকিস্তানি তালেবান৷ সম্প্রতি এমনই তিনটি এফএম রেডিও বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
তালেবানের এমন প্রচারণা যে সব মানুষই বিশ্বাস করছে তা নয়৷ তবে ছোট হলেও একটা অংশ তালেবানের কথা বিশ্বাস করে তাদের সন্তানদের পোলিও টিকা খাওয়া থেকে বিরত রাখছেন৷ ফলে পাকিস্তান থেকে পোলিওকে সমূলে উৎপাটন করা যাচ্ছে না৷
একই অবস্থা আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলেও৷ সেখানেও পোলিও কর্মসূচি বিরোধী অবস্থান সেখানকার তালেবানের৷ তবে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে তালেবান সাধারণত পোলিও কর্মসূচির পক্ষেই রয়েছে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)

ক্যামেরাবন্দি হলো সাপের কুমির খাওয়ার দৃশ্

অস্ট্রেলিয়ার বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রকৃতির সঙ্গে অভ্যস্ত মানুষদেরও রবিবারের একটি ঘটনা খুব অবাক করেছে৷ না দেখলে ঘটনাটি হয়ত কেউ বিশ্বাস করতেন না৷ এক নারী তাঁর ক্যামেরায় ধরে রেখেছেন সাপের আস্ত একটা কুমির খাওয়ার দৃশ্য৷

অস্ট্রেলিয়ায় জীব বৈচিত্রের তুলনা হয় না৷ এই মহাদেশ থেকে এখনো হারিয়ে যায়নি বহু লুপ্তপ্রায় প্রাণী৷ তাই প্রকৃতিপ্রেমী অনেকের জন্য অস্ট্রেলিয়া আজও এক আশ্চর্য!
গত রবিবার অস্ট্রেলিয়ার লেক মুনডারায় একটি কুমিরকে হঠাৎ পেঁচিয়ে ধরc একটা সাপ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা অবাক হয়ে দেখলেন, প্রায় এক মিটার বড় কুমিরটিকে ধীরে ধীরে গিলে ফেলছে সাপটি৷ কুমিরের শক্ত এবং বড় শরীরটা সাপের পেটে যেতে পারে এটা কারো বিশ্বাস হবার কথা নয়৷ কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন টিফানি কর্লিস৷ নিজের ক্যামেরায় ওই অবিশ্বাস্য দৃশ্যটি ধারণ করেছেন তিনি৷
অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু পত্রিকায় ছাপা হয়েছে সাপের কুমির খাওয়ার খবর
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মাউন্ট ইসা শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরের লেক মুনডারা বনভোজনের জন্য বিখ্যাত৷ প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ সেখানে যান বনভোজন করতে৷ মাউন্ট ইসার বাসিন্দা টিফানি কর্লিস এবং আরো কিছু মানুষ সেখানেই দেখেছেন সাপের কুমির ভোজন!
অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু পত্রিকায় ছাপা হয়েছে সাপের কুমির গলাধকরণ করার খবর৷ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ব্রিসবেন টাইমসকে টিফানি কর্লিস বলেন, ‘‘অবিশ্বাস্য ব্যাপার! আমরা ভেবেছিলাম, সাপটা হয়ত কুমিরটাকে কয়েকটা কামড় দিয়ে, চুষেটুষে খেতে না পেরে ছেড়ে দেবে৷ কিন্তু সাপটি কুমিরটিকে খেয়ে ফেলেছে! ভালো করে তাকালে সাপটির পেটে কুমিরের কাঁটা কাঁটা গা, পা এসব দেখতে পাবেন৷'' কথাগুলো নিজের তোলা ছবি দেখিয়েই বলেছেন টিফানি৷ সুতরাং, হাতে হাতে প্রমাণ, বিশ্বাস না করার জো আছে!

এক নারীতে সন্তুষ্ট থাকা ক্ষতিকর!

বহুগামী হওয়ার অনেক বিপদ৷ বিশেষ করে মানুষ নামের জীবটির ক্ষেত্রে৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন, এক নারীতে সন্তুষ্ট পুরুষ মাছি বহুগামীদের তুলনায় পিছিয়ে থাকে৷ তাহলে মানুষের বেলা অন্য নিয়ম কেন?

Bildergalerie Tiere des Jahres 2014 Goldschildfliege
বহুগামিতা বা যথেচ্ছ যৌনাচারে এইডস রোগের ঝুঁকি বাড়ে, সমাজে অনাচার ছড়িয়ে পড়ে – এমন শত যুক্তি দেখিয়ে এক নারী বা এক পুরুষে সন্তুষ্ট থাকার পক্ষে কথা বলার মানুষ অনেক বেশি৷ দার্শনিক এবং সমাজবিদদের অধিকাংশই বহুগামিতার বিরোধী৷ কিন্তু এ সব তো মানবসমাজের কথা৷ অন্য প্রাণীদের বেলায়?
অন্য প্রাণী, বিশেষ করে পোষা প্রাণীদের জীবন মানুষই নিয়ন্ত্রণ করে৷ ভালো জাতের গরু থেকে আরো ভালো জাতের গরুর ‘আবাদ' বাড়াতে তাই মানুষই ঘটায় যথা সময়ে গরুর সঙ্গে গরুর মিলন, এবং সেই মিলনের ফলে জন্ম নেয় মানুষের জন্য দরকারি ভালো জাতের বাছুর৷
জার্মানি এবং এমন আরো অনেক দেশে কুকুরের জীবনও নিয়ন্ত্রিত৷ একদিকে মানুষের মাঝে বহুগামিতা এবং তার প্রভাবে সমাজে, পরিবারে অস্থিরতা, পরিবার-প্রথা প্রায় ভেঙে পড়ায় জীবনের এক পর্যায়ে ঘরে ঘরে নেমে আসে হতাশার অন্ধকার; অন্যদিকে কুকুর সমাজে দেখা যায় সুশৃঙ্খল জীবন৷ কুকুর উন্নত খাবার খায়, কুকুর অনেক দেশের দরিদ্র মানুষদের চেয়েও উন্নত জীবনযাপন করে এবং কুকুর যখন-তখন যে কোনো সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হতে পারে না৷ কুকুরের জীবন মানবপরিকল্পিত, সন্তান উৎপাদন হয় মানুষের সিদ্ধান্তে, মালিক ঠিক করেন কোন কুমারী কুকুরের মিলন হবে কোন কুমারের সঙ্গে!
কিন্তু এমন একগামিতা কি শুধুই ভালো? সুইজারল্যান্ডের লোজান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জীববিজ্ঞানী ফলের মাছিদের নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন এর ক্ষতিকর দিকও আছে৷ ব্রায়ান হলিস এবং টাদেউস কাভেস্কি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ড্রোসোফিলা মেলানোগাস্টার প্রজাতির ফলের মাছিদের নিয়ে৷ তিনটি ‘কুমার' এবং ‘কুমারী' মাছিকে একত্রে রেখে শুরু হয় তাঁদের গবেষণা৷ একই সময়ে বহগামী তিনজোড়াকেও রাখা হয়েছিল আলাদা একটা জায়গায়, একসঙ্গে৷ ফলের এই মাছিগুলো দু'সপ্তাহের মতো বাঁচে৷ ছোট্ট জীবন৷ তার মধ্যেও গবেষণার সুবিধার্থে একগামী এবং বহুগামীদের মিলনের জন্য দেয়া হয়েছিল মাত্র দু'দিন৷ দু'দিন পর দ্বিতীয় প্রজন্মের আগমন৷ দুই শ্রেণির দ্বিতীয় প্রজন্মকে নিয়ে আবার শুরু হয় পরীক্ষা৷ এভাবে এক এক করে একশটি প্রজন্ম নিজেদের চোখের সামনে জন্ম দেন লোজান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই গবেষক৷
ব্রায়ান হলিস এবং টাদেউস কাভেস্কি গবেষণা করে দেখেন যে, একগামী পুরুষ মাছিরা সন্তান উৎপাদনে বহুগামীদের মতো সক্ষম নয়৷ বহুগামীরা একগামীদের চেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দেয়৷ শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা গেছে, একগামীরা যৌনসঙ্গমেও বহুগামীদের চেয়ে শতকরা ৭৫ ভাগ সময় বেশি নেয়৷ দুই বিজ্ঞানীর ফলের মাছি বিষয়ক গবেষণার ফল এবং তার ব্যাখ্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির একটি জার্নালে৷