Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 2 March 2014

বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় থাকি

এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রতিটি খেলার আগে, মাঝে ও শেষে চ্যানেল নাইনে প্রচার হচ্ছে 'এক্সট্রা ইনিংস'। এটি উপস্থাপনা করছেন মডেল-অভিনেত্রী শিনা চৌহান। গত সোমবার ঢাকায় আসেন তিনি। এর আগে বিপিএল উপস্থাপনা করে জনপ্রিয় হন তিনি। গতকাল খেলা চলাকালে কথা বলেছেন তিনি_ কেমন লাগছে এবারের ঢাকা?

এটা আমার ভালো লাগার জায়গা। ঢাকায় এলে মন ভরে যায়। আমি সব সময় বলি, বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। খুব অল্প সময়ের জন্য আসি। কিন্তু যে ক'টা দিন থাকি জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো বৃদ্ধি হতে থাকে। আয়োজকের দিক থেকে পৃথিবীর সেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। এ দেশের মানুষ খুব সুন্দর করে আতিথেয়তা করতে জানে। ভারতে থাকলে আমি সব সময় অপেক্ষা করি কখন আবার আমাকে বাংলাদেশে ডাকা হবে। চ্যানেল নাইনকে ধন্যবাদ তারা আমার ওপর প্রতিবারই আস্থা রেখেছে। আর সত্যি বলতে, চ্যানেল নাইনের টিমকে আমি মিস করি।
কত দিনের জন্য ঢাকায় এলেন? দু'সপ্তাহের জন্য এসেছি। এশিয়া কাপের সব ম্যাচে চ্যানেল নাইনের পর্দায় আমাকে দেখা যাবে। ফাইনাল ম্যাচ শেষ করে কলকাতায় ফিরে যাব। বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটারের খেলা ভালো লাগে?বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে খুব সম্মান করি। দল পরিচালনায় তার পরিশ্রম ও খেলোয়াড়দের একতাবদ্ধ করার গুণ আমাকে মুগ্ধ করে। গত বুধবার বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচ চলাকালে তিনি আঘাত পাওয়ার পর তার বিনম্র ব্যবহার ভালো লেগেছে। বাংলাদেশ দলের নতুন খেলোয়াড়রা খুব বেশি প্রাণবন্ত। বাংলাদেশের ছবি 'পিঁপড়া বিদ্যা'তে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?এটা আমার চতুর্থ ছবি। বাংলাদেশে আসার প্রথম থেকেই চেয়েছিলাম এ দেশের চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হতে। এর আগে বেশ কয়েকবার এ দেশে এসেছিলাম শুধু উপস্থাপনার জন্য। তাই 'পিঁপড়া বিদ্যা' আমার জন্য বিশেষ কিছু ছিল। পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী খুব খ্যাতনামা পরিচালক। বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর অনেক দেশে তার সুনাম আছে। তার পুরো দলের সঙ্গে কাজ করতে খুব আনন্দ পেয়েছি। তিশা ও ফারুকী দু'জনে খুব সাহায্য করেছেন। শুটিংয়ের দিনগুলো কেমন ছিল?'পিঁপড়া বিদ্যা' ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি কক্সবাজার গিয়েছিলাম। এটা তো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত। সে সময়গুলো খুব উপভোগ করেছি। জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত 'ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইট' নিয়ে কাজ করছেন?যুবকদের অধিকার নিয়ে এটির কাজ। তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করাই এর প্রধান উদ্দেশ্য। এবার দক্ষিণ এশিয়ার তরুণদের জন্য কাজ করছি। গানটি তৈরি করা হচ্ছে জাতিসংঘের উদ্যোগে। সেখানে তরুণ সমাজের অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
হসাক্ষাৎকার নিয়েছেন : ওয়ালিউল মুক্তা