Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 19 March 2014

নিখোঁজ বিমান নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও প্রতারণা

মালয়েশিয়ান বিমান নিয়ে প্রতারণা করছে সাইবার দুর্বৃত্তরাফেসবুক পোস্টে আকর্ষণীয় শিরোনাম, ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে খোঁজ মিলেছে মালয়েশিয়ার হারানো বিমানটির, ভিডিও দেখুন’। এ রকম শিরোনাম দিয়ে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি সম্পর্কে ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে নানা রকম গুজবের লিংক। ফেসবুকে ছড়ানো এই লিংকগুলোতে বিশ্বাস করা ও এ ধরনের পোস্টে ক্লিক করা থেকে সতর্ক হতে বলেছেন অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান অনলাইন।
অনলাইন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যালওয়্যারবাইটসের গবেষকেরা জানিয়েছেন, এমএইচ৩৭০ বিমানটি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের চমকপ্রদ তথ্যের লিংক শেয়ার করা হচ্ছে ফেসবুক ব্যবহারকারী নিউজ ফিডে। এ লিংকগুলোতে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীদের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের কাছে। ফলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে মালয়েশিয়ার হারিয়ে যাওয়া বিমান দেখতে পাওয়া বা খোঁজ পাওয়ার যেসব তথ্য, ভিডিও বা খবরের লিংক হাজির হচ্ছে, তা মূলত ম্যালওয়্যার ও সাইবার দুর্বৃত্তদের পাতা ফাঁদ। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করা হলে সাইবার দুর্বৃত্তরা একটি ভুয়া জরিপের পাতায় নিয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর সর্বনাশ করার চেষ্টা করে।ফেসবুকে ভিডিও প্রতারণা বাড়ছে
ম্যালওয়্যার গোয়েন্দাগিরিতে বিশেষজ্ঞ ম্যালওয়্যারবাইটসের বিশেষজ্ঞ ক্রিস বয়েড জানিয়েছেন, সাধারণত মানুষের কৌতূহল বা বড় কোনো ঘটনার সময়কে অর্থ হাতানোর সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এ সময় অনলাইনে ভুয়া লিংক, ভিডিও বা পোস্টের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। ৭ মার্চ রাতে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি নিয়েও টুইটার ও ফেসবুকে নানারকম স্ক্যাম ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ফেসবুকে কিছু পোস্টে ভিডিও জুড়ে দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে কিংবা সমুদ্রের মাঝে বিমানটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। অনেক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, যাত্রীরা এখনো বেঁচে আছেন কিংবা নিরাপদে আছেন।
ফেসবুকে অনেক সময় এ ধরনের বিষয় দ্রুত ছড়াতে ‘ব্রেকিং নিউজ’ কিংবা ‘শকিং ভিডিও’ প্রভৃতি কথাও ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘মালয়েশিয়ান উড়োজাহাজটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে খুঁজে পাওয়া গেছে’ কিংবা ‘৫০ জন আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে’ এ রকম সংবাদ প্রচার করে বিবিসি কিংবা সিএনএন সাইটের মতো ভুয়া লিংক ফেসবুকে দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ ক্রিস বয়েড জানিয়েছেন, প্রথমত টুইটারের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারপূর্ণ সাইটের লিংক ছড়ায়। ফেসবুকে যেসব সাইট লিংকের মাধ্যমে বিভিন্ন খবর শেয়ার করে, টুইটারে সে রকম সাইটের লিংকের ছদ্মবেশে ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করা হলে স্প্যামব্লগ, সংবাদমাধ্যমের ছদ্মবেশে থাকা ভুয়া জরিপের সাইটে চলে যেতে পারেন ব্যবহারকারী।
কিছু ভুয়া ভিডিও সাইট ফেসবুকে ‘প্রে ফর এমএইচ৩৭০’ নামের গ্রুপ শেয়ার করার জন্যও অনুরোধ করে। এ ধরনের পেজে ভুয়া ভিডিও দেখা ও শেয়ার করার জন্য বলা হয়।
বয়েড বলেন, এর আগে ২০১১ সালে জাপানে সুনামি ও ফিলিপাইনে ভূমিকম্পের সময়ও এ ধরনের স্ক্যাম ছড়িয়েছিল। দুর্ঘটনার সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িত থাকে। এই সুযোগে স্ক্যামগুলো জনপ্রিয় হয় এবং হাজার হাজার শেয়ার হয়। এ আবেগ কাজে লাগিয়ে ভুয়া ভিডিও ও লিংকে ক্লিক করানোর মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা অর্থ হাতানোর সুযোগ খুঁজতেই থাকে। তাই বিষয়টিতে সতর্ক থাকা জরুরি।