Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 19 March 2014

বিমানটি যেখানে যেতে পারে

মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কিন্তু এর হদিস আর মিলছে না।
বিমানটির সম্ভাব্য গন্তব্য ও পরিণতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
বিমানটি আন্দামানে অবতরণ করতে পারে
বিএ ৭৭৭ বিমানের সাবেক পাইলট স্টিভ বুজদিগানের মতে, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের উপকূলের কাছাকাছি হওয়ায় বিমানটি ভারতের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অবতরণ করতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা নাকচ করেছেন আন্দামান ক্রনিকল পত্রিকার সম্পাদক। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে এ কাজ করা খুব সহজ নয়।
কাজাখস্তানে উড়ে যেতে পারে
বিমানটি কাজাখস্তানের জনবিচ্ছিন্ন মরুভূমিতে অবতরণ করতে পারে বলে মত দিয়েছেন সিলভিয়া রিগলি নামের একজন পাইলট। তাঁর মতে, এমন হতে পারে যে বিমানের ট্রাফিক কন্ট্রোল পদ্ধতি অনেক পুরোনো হওয়ায় ছিনতাইকারীরা সহজেই রাডার থেকে বের হয়ে যেতে পেরেছে।
দক্ষিণে উড়ে যেতে পারে
কনভেনটরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগের অধ্যাপক নরম্যান শ্যাঙ্কস বলেন, বিমানটি মালয়েশিয়ার রাডার থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পাঁচ-ছয় ঘণ্টা উড়েছিল। তিনি মনে করেন, বিমানটি যেখানে ছিল, সেখান থেকে দক্ষিণে ভারত মহাসাগর বা উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যাওয়াটা সহজ ছিল। সেদিকে উড়ে গিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হতে পারে।
তাকলামান মরুভূমিতে যেতে পারে
বিমানটির ২৩৯ যাত্রীর মধ্যে ১৫৩ জনই চীনের। এ কারণে ধারণা করা যেতে পারে, চীনের বিচ্ছিন্নতাবাদী উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকেরা বিমানটি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আর সেটা ছিনতাই করে চীনের তাকলামান মরুভূমিতে নিয়ে যেতে পারে। তাকলামান মরুভূমিতে সাধারণ মানুষের যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
লঙ্কাউই দ্বীপে যেতে পারে
এভিয়েশন ব্লগার ক্রিস গুডফেলো যে তত্ত্ব দিয়েছেন তা হলো, বিমানটিতে আগুন লেগে যেতে পারে। এ কারণে যাত্রীদের বাঁচাতে পাইলট বেইজিংয়ের পথ থেকে সরে আন্দামান সাগরের লঙ্কাউই দ্বীপে বিমানটি নিয়ে জরুরি নেমে যেতে পারেন। তবে এই ব্লগারের তত্ত্বটি বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানে ছিনতাই হতে পারে
মিডিয়া মুঘলখ্যাত রুপার্ট মারডক এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়নি। এটি পাকিস্তানের উত্তরে জনবসতিহীন কোনো এলাকায় কেউ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। তবে পাকিস্তান এই আশঙ্কা নাকচ করেছে।
অন্য বিমানের ছায়ায় রাডার হারাতে পারে
এভিয়েশন ব্লগার কেইথ লেজারউড বলেন, বিমানটি তার সমান্তরালভাবে ওড়া সিঙ্গাপুরের একটি বিমানের আড়ালে পড়ায় তা রাডার থেকে বের হয়ে গেছে। পরে দিক হারিয়ে ফেলে বিমানটি ভারত বা আফগানিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে। পরে তা হয়তো জিনজিয়াং, কিরগিজিস্তান বা তুর্কমিনস্তানে অবতরণ করতে পারে।
লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের রাডার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুগ গ্রিফিথস বলেন, কেইথ লেজারউডের এই তত্ত্বটির বিশ্বাসযোগ্যতা আছে।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যাত্রী হত্যা করা হতে পারে
সাবেক রয়েল এয়ারফোর্সের নেভিগেটর সেন মাফেট বলেন, কেউ উদ্দেশ্যশূলকভাবে বিমানটি ৪৫ হাজার ফুট ওপরে তুলে যাত্রীদের হত্যা করে ফেলতে পারে।

সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ছিনতাই করতে পারে
নাইন-ইলেভেনের মতো নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিমানটিকে কোনো বড় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ছিনতাই করতে পারে। হয়তো বিমানটি ছনতাই করার পর তা স্বাভাবিকভাবেই অবতরণ করে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।