Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 2 March 2014

কাইয়ুম চৌধুরীসহ ৯ জন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পদক

রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সমকাল প্রতিবেদক
কাইয়ুম চৌধুরীসহ ৯ জন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পদক
স্বাধীনতা পদক। ফাইল ছবি
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীসহ নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার।
প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মনোনীতদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেবেন।
 
এবারের স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন যারা : সাবেক গণপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য মরণোত্তর এ পুরস্কার পাচ্ছেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ রেকর্ড ও সংরক্ষণ করেছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কুমিল্লার পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা মুন্সী কবির উদ্দিন আহমেদ সে সময় সেনানিবাসের ব্রিগেড কমান্ডারের হাতে জেলা পুলিশের অস্ত্রভাণ্ডারের চাবি দিতে স্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। পরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি অবস্থায় শহীদ হন তিনি। তাকেও এবার মরণোত্তর এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।একাত্তরে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শহীদ কাজী আজিজুল ইসলাম এবার মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। ওই দায়িত্বে থেকেও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় সহায়তা করে গেছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আবু ওসমান চৌধুরী এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তার অধীন সেনা দল নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন খসুরুজ্জামান চৌধুরী শহীদ, এসবিএম মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ হারিছ আলী।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের তখনকার মহকুমা প্রশাসক খসুরুজ্জামান চৌধুরী।
সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়া মিজানুর রহমান ১৯৭১ সালের ৫ মে পিরোজপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় শহীদ হন।মুক্তিযুদ্ধে তরুণদের সংগঠিত করতে ভূমিকা রাখা মোহাম্মদ হারিছ আলী মুক্তিযুদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টরের অধীন জেলা সাব-সেক্টরের রেজিমেন্টাল মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বও পালন করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগের এমএনএ ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ও ভাষাসংগ্রামী অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান (মরণোত্তর) এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।সংস্কৃতিতে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, যিনি মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনেই ছিলেন সক্রিয়। আর কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবার ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে।
স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস সামনে রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এ পদক দেওয়া হয়। এ পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা একটি করে স্বর্ণের পদক ও একটি সম্মাননাসূচক প্রত্যয়নপত্র পান। এর সঙ্গে নগদ পুরস্কার হিসেবে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়।