Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 29 December 2013

১/১১'র কুশীলবরা ফের সক্রিয়: প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে এবছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক
১/১১'র কুশীলবরা ফের সক্রিয়: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি
যেসব 'বিশিষ্ট নাগরিক' সরকারকে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ১/১১'র কুশীলবরা আবারও সক্রিয় হয়েছে।
 প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আজকের পত্রিকায় দেখেছি-কয়েকজন 'বিশিষ্ট নাগরিক' আমাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমি তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। তবে তাদের অনেককেই আমরা ১/১১'র পর দেখেছি এবং তারা এখন আবারও সোচ্চার হয়েছে।"
সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী রোববার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এবছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণকালে একথা বলেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি তাদেরকে একটি কথাই বলতে চাই, তাদের এই চেতনা কেন এতো বিলম্বে জাগ্রত হলো। বিএনপি-জামায়াত চক্র যখন হরতাল দিয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বন্ধ করে দিল তখন কেন তাদের এই চেতনা জাগ্রত হয়নি। তখন তারা কেন বিরোধী দলকে শিশুদের পরীক্ষার সময় হরতাল না ডাকার পরামর্শ দেননি।"
তিনি বলেন, "বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তথাকাথিত হরতালের নামে যখন বাসে বোমা মেরে শিশুসহ ঘুমন্ত মানুষ হত্যা করে এবং নির্বিচারে গাছ কাটে ও উপড়ে ফেলে তখন তারা কেন নীরব থাকেন?"
শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ ও ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব ফলাফল হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, "আসন্ন নির্বাচন একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবার পর 'বিশিষ্ট নাগরিক'রা তা বন্ধ করতে চান। এই মুহূর্তে নির্বাচন বন্ধ হলে আমাদেরকে অসাংবিধানিক পথ বেছে নিতে হবে। আমি জানি না, তারা এ ধরনের একটি অসাংবিধানিক ব্যবস্থা চাচ্ছেন কি-না।"
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দেশে যখন গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার অস্তিত্ব থাকে না এবং অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা হয় তখন এসব বিশিষ্ট নাগরিকরা সক্রিয় হন।"
তিনি বলেন, "ওই সময় এই সব বিশিষ্ট ব্যক্তির কদর বেড়ে যায় এবং তারা পতাকা নিয়ে চলাফেরা করতে পারেন। এটা তাদের (বিশিষ্ট নাগরিক) বিবেচনা। আমি অন্যকিছু কিছু দেখছি না।"
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, "বিশিষ্ট নাগরিকরা এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন ও বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম যখন তাণ্ডব চালিয়েছিল এবং পবিত্র কোরআনের হাজার হাজার কপি পুড়িয়ে দিয়েছিল তখন তারা কেন নীরব ছিলেন?"
 
শেখ হাসিনা বলেন, "বিরোধীদলীয় †নেতা যখন তার (প্রধানমন্ত্রী) সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন, তখন এসব বিশিষ্ট নাগরিকরা কিছুই বলেননি।"
তিনি বলেন, "তখন তাদের চেতনা কেন জাগ্রত হয়নি। তারা সব সময় এমন একটা পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করে, যখন তাদেরকে ডাকা হয় এবং কদর বাড়ে।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বর্তমান সরকার দেশের সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছে। তিনি বলেন, জনগণের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। কেননা আমরা তাদের জন্য রাজনীতি করি।"
 
শেখ হাসিনা বলেন, "দেশের মানুষ বিশেষ করে ২০০৭-০৮ সালে 'বিশিষ্ট নাগরিকদের' সরকারের শাসন দেখেছে। তারা দেশ ও জনগণের জন্য কিছুই করেনি।"
জেএসসি- জেডিসি পরীক্ষা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "যাতে করে সকল ছাত্র উচ্চশিক্ষার সমান সুযোগ পায় সেলক্ষ্যে তার সরকার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা প্রবর্তন করেছে।"
এছাড়া শিক্ষকরাও ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাপারে আগের চেয়ে বেশি যত্ন নিচ্ছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "শিক্ষা ছাড়া কোনা জাতি তাদের ইপ্সিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না এবং দেশকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।"
জেএসসি ও জেডিসি'র ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, "তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটানো এবং তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "শিক্ষা ছাড়া কোনা জাতি তাদের ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না এবং দেশকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।"
 
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
 
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ৪ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের হরতালের কারণে তা ৭ নভেম্বর শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ২২ নভেম্বর।
 
শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
http://adf.ly/?id=353839

জেএসসি-জেডিসিতে পাস ৮৯.৯৪%

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সমকাল প্রতিবেদক
জেএসসি-জেডিসিতে পাস ৮৯.৯৪%২০১৩ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী।
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ছাত্রীদের উল্লাস। ছবি-সমকাল
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে ফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিরোধী দলের টানা অবরোধের কারণে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা কয়েক দফা পেছাতে হলেও ঘোষিত সময়ের মধ্যেই এবার ফল প্রকাশ হচ্ছে।
এবার জেএসসি-জেডিসিতে ১৯ লাখ দুই হাজার ৭৪৬ জন অংশ নিয়েছে। পাস করেছে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১০৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন।
গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৪৬ হাজার ৯৪২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিল।
এবার আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে ৮৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন জেডিসিতে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জেএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৯৭ জন; জেডিসিতে ১৯ হাজার ২১১ জন।
এবার চার হাজার ৯৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে; কেউ পাস করেনি ৫৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে।
এবার ঢাকা বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহীতে ৯৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যশোরে ৮৯ দশমিক ০৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, বরিশালে ৯৬ দশমিক ৬০ শতাংশ, সিলেটে ৯১ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৮৮ দশমিক ৯১ শতাংশ পাস করেছে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পাস করেছে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৬ ডিসেম্বর একসঙ্গে জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল প্রকাশ করা হলেও আজ শুধু জেএসসি ও জেডিসির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল প্রকাশ করা হবে।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে যে কোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC লিখে একটি স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। আর মাদ্রাসার ক্ষেত্রে JD লিখতে হবে।
উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের সময়সীমা: ফল প্রকাশের পর উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এবার মোট ১০ দিন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এসএমএসের মাধ্যমে কাল ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। আবেদন পদ্ধতি টেলিটকের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যাবে।
http://adf.ly/?id=353839

খালেদা জিয়া যা বললেন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার বাসার প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে যেসব কথা বলেছেন তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
সমকাল প্রতিবেদক
'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা'র জন্য রোববার কয়েক দফা চেষ্টা করেও গুলশানের বাসা থেকে বরে হতে না পেরে প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার পুরো বক্তব্য সমকালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
খালেদা জিয়া যা বললেনপ্রতিদিন আপনারা আসেন, বসে থাকেন গেইটের সামনে। ঠিক আছে। প্রতিদিন আমিও আমার এ রকম কাজই করবো। চলুক। কতদিন চলে। মনে করেছেন কি?
দেশটা কি আপনাদের একলার? পৈতৃক সম্পত্তি হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের? যে গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে আমাদের প্রোগ্রাম বন্ধ করতে চায়, পুলিশ বাহিনী দিয়ে প্রোগ্রাম বন্ধ করতে চায়।
সাহস থাকলে কাউন্টার প্রোগ্রাম করে দেখিয়ে দিন। সাহস নেই। দশটা লোকও আসে না। ভাড়াটিয়া লোক ভাড়া করে ডিসি এসপিদের দিয়ে লোক আনায়। নাহলে এভাবে এতো করুণ পরিণতি হয়? ১৫৪টা সিট আনকনটেস্টে  হয়ে যায়। আর বাকি রইছে কি, বাকিগুলোও করে ফেলবে।

"এই যে মহিলা, আপনার মুখটা এখন বন্ধ কেন? বলেনতো কি যেন বলছিলেন এতোক্ষণ ধরে? মুখটা বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়, গোপালী? গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলে যাবে, বুঝছেন?"

এটা কোনো ইলেকশন নয়, এটা যে সিলেকশন হয়েছে, ভাগাভাগির নির্বাচন হয়েছে, এটা আজ জাতির কাছে পরিস্কার, দেশের মানুষের কাছে পরিস্কার।
তাই মানুষ আজ ধিক্কার দিচ্ছে। ধিক্কার দিই আমরা এ সরকারকে। এ সরকারকে ধিক্কার দিই।
আজকে কি ঘটছে? আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আপনারা দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু আমি মনে করি দায়িত্বটা সুন্দরভাবে পালন করুন। সম্মানের সাথে, যাতে আমরাও কাজ করতে পারি, আপনারাও কাজ করতে পারেন। সেভাবে আপনারাও করেন।
আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। পুলিশ বাহিনী...। কিন্তু এটাতো ঠিক নয়, যে আমাকে আমার বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না, এটাতো ঠিক নয়।
সেটা.. আপনাদের যে অফিসার ছিল সে গেলো কোথায়? তার সাথেইতো আমি কথা বলতে চেয়েছি। কেন আমার পথ আটকিয়েছে? কিন্তু সে কোথায়? কেন সে আসছে না এখন সামনে?
এতোক্ষণতো অনেক কথা বললেন। আপনি কে? এখন মুখটা বন্ধ কেন? এই যে মহিলা, আপনার মুখটা এখন বন্ধ কেন? বলেনতো কি যেন বলছিলেন এতোক্ষণ ধরে? মুখটা বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়, গোপালী? গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলে যাবে, বুঝছেন? গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।
আল্লাহর গজব পড়বে আপনরা যা শুরু করে দিয়েছেন। কতগুলো আলেমকে হত্যা করেছেন, এতিমকে হত্যা করেছেন। কতগুলো বিডিআর অফিসারকে হত্যা করেছেন। সে দিন কোথায় ছিল হাসিনা? সে দিন হাসিনা কোথায় ছিল? এতোগুলা অফিসারকে মারলো। ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করলো। সেদিন হাসিনার এ ফোর্স কোথায় ছিল? কেন সে ফোর্স পাঠায়নি? আসলেতো সে নিজেই জড়িত ছিলো এ হত্যাকাণ্ডের সাথে।

"আল্লাহর গজব পড়বে আপনরা যা শুরু করে দিয়েছেন। কতগুলো আলেমকে হত্যা করেছেন, এতিমকে হত্যা করেছেন। কতগুলো বিডিআর অফিসারকে হত্যা করেছেন। সে দিন কোথায় ছিল হাসিনা?"

আজকেতো অনেক আননোন চেহারা দেখা যায় যাদেরকে দেখলে চেনা যায় না, যে তারা আসলেই বাংলাদেশি কিনা।
বাংলাদেশের আজকে যে কর্মসূচি ছিল আপনারা যদি দেশকে ভালোবাসতেন তাহলে আজকে ছিল আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ডেমোক্রেসি ফর রোড মার্চ। ডেমোক্রেসি ফর রোড মার্চ ছিল আমাদের কর্মসূচি।
তো গণতন্ত্রও চাবেন না, দেশ রক্ষা করতেও চাবেন না। গোলামী করবেন? দালালি করবেন? লেন্দুপ দর্জির ইতিহাসটা পড়ে দেখেন।  সেও কিন্তু টেকে নাই বেশি দিন।  তাকেও বিদায় দিয়েছে এতো দালালি করে… দেশ বিক্রি করে…।  কাজেই এই দেশ বিক্রি চলবে না হাসিনার।
দেশ রক্ষা হবেই ইনশাল্লাহ।  দালালি বন্ধ করতে বলেন।  আর হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন।  জনগণের সঙ্গে থাকেন।  দেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন।  তবেই কাজে দেবে।  দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে।
আজকে সকলের দায়িত্ব হয়ে গেছে- দেশ বাঁচানো, মানুষ বাঁচানো।  আর আপনারা ঘরে ঘরে ঢুকে এখন মানুষ হত্যা করছেন।  মনে করে যে এগুলোর হিসাব নেই। এই মা বোনোর কান্না, এই আলেম এতিমের কান্না, এই বিডিআরের অফিসারদের ওয়াইফদের কান্না, এগুলো কি বৃথা যাবে? এগুলো কোনো দিনও বৃথা যাবে না।
আজকে যারা এই জুলুম নির্যাতন করছেন, তাদেরকেও এদের মতো একদিন চোখের পানি ফেলতে ফেলতে মুছতে মুছতে চোখ অন্ধ হয়ে যাবে। বুঝেছেন?
এখনো সময় আছে।  ধাক্কাধাক্কি বন্ধ করেন।  আমরা কেউ ধাক্কাধাক্কি করতে আসিনি।  আমরা কোনো ধাক্কাধাক্কি করতে আসিনি।  আমি বলছি আপনারা চাকরি করেন, আপনারা করবেন।  কিন্তু এ রকম আমাদের গায়ের ওপর উঠে পড়বেন না।
দূরে থাকেন। দূরে থাকেন।  আপনাদের জায়গা যেখানে সেখানে।  আপনাদের রাস্তাতে থাকার কথা। আপনারা বাড়ির মধ্যে এসে যাচ্ছেন কেন? 
কি, আপনাদের মেয়েরা এতো ঝগড়া করে কেন?
এই মেয়েরা- চোপ কর।  কয়দিনের চাকরি হয়েছে যে  এতো কথা বল?
কিসের জন্য এতো কথা বল? চোপ থাক।  বেয়াদব কোথাকার।
আপনাদের অফিসার কোথায় গেল? আসলো না? তাকে বলবেন, আমার সঙ্গে দেখা করতে, আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাই।
বুঝেছেন? কি বোঝেননি কথাটা? এটা তো বাংলা ভাষা? নাকি অন্য কোনো ভাষায় বলতে হবে আপনাদেরকে?
বুঝেছেন? সেই অফিসার কোথায়? তাকে বলেন আমার সঙ্গে দেখা করবে।
http://adf.ly/?id=353839

Saturday 28 December 2013

প্রধানমন্ত্রী মনে না করলেও আমি আত্মীয়: নিক্সন

  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আত্মীয় মনে না করলেও আমি তাঁর আত্মীয়। কেননা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন (ফাতেমা বেগম) আমার দাদি।’
আজ শনিবার বিকেলে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী এসব কথা বলেছেন। সভার শুরুতে তিনি সূচনা বক্তব্য দেন, পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় নিজের আত্মীয়স্বজনের একটি তালিকা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখ করা ওই তালিকায় রয়েছেন তাঁর দুই ছেলেমেয়ে, বোন শেখ রেহানার তিন ছেলেমেয়ে এবং তাঁদের দুই বোনের ছেলেমেয়ে ও জামাতারা। এর বাইরে আর কোনো আত্মীয়স্বজন নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ওই জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘যাঁদের দুর্নীতির জন্য পদ্মা সেতুর কাজ বিলম্বিত হয়েছে, তারা আমার আত্মীয় হতে পারে না।’
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর দুর্নীতিতে আমি জড়িত নই। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাউকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সে দুর্নীতিবাজ হয়ে যায় না। তা ছাড়া এ-সংক্রান্ত  মামলায় আমার নামও নেই।’
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ওই জনসভায় পদ্মা সেতুর দুর্নীতিতে আমি জড়িত—এ মর্মে আমার নাম উল্লেখ করে কোনো বক্তব্য দেননি। তিনি হয়তো এ বক্তব্য দিয়ে তাঁর আশপাশের কাউকে বোঝাতে চেয়েছেন। “অল্পসময়ে এত টাকার মালিকানা” প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আমার নাম বলেননি, এটিও অন্য কাউকে উদ্দেশ করে বলেছেন বলে তিনি দাবি করেন।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর আত্মীয় বলতে বোন শেখ রেহানা এবং দুই বোনের পাঁচ ছেলেমেয়ের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এর বাইরে আমার কোনো আত্মীয় নেই।’ এ প্রসঙ্গে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ওই কথায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়েছেন। পরিবারের সদস্য বলতে ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিদেরই বোঝায়। আমি তো তাঁর পরিবারের সদস্য নই। আমি হলাম আত্মীয়।’
গত ৩০ বছর ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে কোন উন্নতি হয়নি—মন্তব্য করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ পরিবর্তন চায়। তারা চায় নৌকার মাঝি পাল্টানো হোক। এ পর্যন্ত তারা ভরসা করার মতো কাউকে পায়নি। তাই আমাকে পেয়ে হয়তো ভরসা পেয়েছেন। আমি এসব মানুষের পক্ষে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী কতটা নাজুক অবস্থায় রয়েছেন তা বোঝা যায়, এই সংসদীয় আসনে প্রধানমন্ত্রীর দুটি নির্বাচনী জনসভা করার বাস্তবতা থেকে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। নিক্সন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
http://adf.ly/?id=353839

'কর্মসূচিতে যোগ দেবেন খালেদা'

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির সহ-সভাপতি মেজর (অব) হাফিজউদ্দীন আহমেদ।
সমকাল প্রতিবেদক
'কর্মসূচিতে যোগ দেবেন খালেদা'
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
রোববারের ঘোষিত 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' কর্মসূচিতে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের সহ-সভাপতি মেজর (অব) হাফিজউদ্দীন আহমেদ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
হাফিজউদ্দীন আহমেদ বলেন, 'অনুমতি না পেলেও রোববারের কর্মসূচি পালিত হবে। নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে এ কর্মসূচি শুরু হবে। এতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিবেন।'

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অরবিন্দ

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, শনিবার বেলা ১২টা ১২ মিনিটে দিল্লির সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
অনলাইন ডেস্ক
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অরবিন্দ
দিল্লির সপ্তম ও সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন আম আদমি পার্টি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল (৪৫)।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি
 
শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি।
এসব সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দিল্লির রামলীলা ময়দানে শনিবার বেলা ১২টা ১২ মিনিটে অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রদেশটির সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
এর আগে তিনি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা মেট্রোরেলে চেপে বারখাম্বা পর্যন্ত আসেন। এরপর শপথ গ্রহণের জন্য গাড়িতে করে তারা রামলীলা ময়দানে পৌঁছান। শপথগ্রহণের পর দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীর রাজঘাটে যাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া শনিবারই দুপুর ২টায় দিল্লির নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হওয়ারও কথা।
সম্প্রতি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ আসনের মধ্যে এএপি ২৮টিতে জয়ী হয়। বিজেপি ৩১ ও কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৮টি আসন।
 http://adf.ly/?id=353839

সর্বক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার আ. লীগের

নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে আরেকবার আওয়ামী লীগকে দেশসেবার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
অনলাইন ডেস্ক
সর্বক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার আ. লীগের
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের স্ক্রিনশট।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সংগঠনের সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার বিকেলে এই ইশতেহার ঘোষণা করে আরেকবার আওয়ামী লীগকে দেশসেবার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শান্তি গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির পথে 'এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ' শিরোনামের ৪৮ পৃষ্ঠার এই ইশতেহারের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন শেখ হাসিনা।
ইশতেহারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের আর্থসামাজিক মুক্তি এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়া। এ লক্ষে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়িত করা। এজন্য প্রণীত হয়েছে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২১। আমাদের বর্তমান নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৪ এর সঙ্গে এর প্রেক্ষিত পরিকল্পনা পুনর্মূল্যায়ন এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে।
তিনি বলেন, "আমাদের সকল কাজের চূড়ান্ত লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি শান্তিপূর্ণ এবং হিংসা, হানাহানি, শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যমুক্ত ন্যায় ও সমতাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলা।"
 
সুশাসন, গণতন্ত্রয়ান ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়নকে এবারের ইশতেহারে অগ্রাধিকার দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত করা হবে।"
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন এবং শাস্তি কার্যকর করা হবে।"
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে গিয়ে আন্দোলনের নামে হত্যা, সন্ত্রাস, পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ, শিল্প কারখানায় অগ্নিসংযোগ, রেলওয়ের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলা, সড়ক কাটাসহ রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদের ধ্বংসসাধন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, উপাসনালয় ধ্বংস, অগ্নিসংযো, লুটপাট ও বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করা হবে।
ইশতেহারের পটভূমিতে আলোকজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, "শুরু হয়েছে দারিদ্র্য ও পশ্চাৎপদ হতে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ঐতিহাসিক কালপর্ব। পূর্ণ হয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪২ বছর।"
এতে আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের শাসনামলকে বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে বলা হয়েছে, পক্ষপাতদুষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মদদে কারচুপি ও কারসাজির ফলে ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিশ্চিত বিজয় ছিনতাই হয়ে যায়।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ তুলে ইশতেহারে বলা হয়েছে, সেনা সমর্থিত এই নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জরুরি অবস্থার সুযোগে ঢালাওভাবে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন ও নির্যাতনের পথ গ্রহণ করে।
 
এতে বলা হয়েছে, "২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার শপথ গ্রহণ করে। সঙ্কটজাল ছিন্ন করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা হয় অবারিত।"
'আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পাঁচ বছর: বদলে যাওয়া দৃশ্যপট' শিরোনামের এক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "আমরা আমাদের অঙ্গীকার পূরণ করেছি। তবে আমাদের অঙ্গীকার ও কর্মসূচি কেবল পাঁচ বছরের জন্য ছিল না।" এই অনুচ্ছেদে আওয়ামী লীগের বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ইশতেহার পাঠ শেষে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "নৌকা মার্কায় ভোট দিন। আসুন সম্মিলিতভাবে শান্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাই। রক্ত, হত্যা, হানাহানির অবসান ঘটাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলি। দেশ গড়ার এই সংগ্রামে জনতার জয় অনিবার্য।"
http://adf.ly/?id=353839

Thursday 26 December 2013

২৯ ডিসেম্বর কী হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০৩:৩০, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে গতকাল সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল । ছবি: প্রথম আলো২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি করতে দেবে না সরকার। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট বলছে, যত বাধাই আসুক, তারা কর্মসূচি পালন করবেই।
সরকার ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র জানায়, ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতকে কোনোভাবেই সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বাইরে থেকেও কাউকে ঢাকায় আসার সুযোগ দেওয়া হবে না।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত মঙ্গলবার ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের মানুষকে ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান। এ কর্মসূচি ঘোষণার পরদিনই গতকাল সকাল থেকে বিরোধীদলীয় নেতার গুলশানের বাসার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে সেখানে যাওয়া-আসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির অবশ্য বলেছেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দুপুরে ওই বাসায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একই অবস্থা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও। সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার বাসায় ঢুকতে চাইলে আটক হন সাবেক সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন।
গুলশানের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণিকে পুলিশ আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। রাতে সেখান থেকে আটক করা হয় সাংসদ শাম্মী আখতার ও ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিদ আউয়ালকে। রাত পৌনে ১০টার দিকে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিক রেহমানকেও আটকের চেষ্টা করে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বিরোধী দল ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের আগে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে ঢাকাকে অশান্ত করার একটা কৌশল নিতে পারে, সে রকম একটা আশঙ্কা সরকারের মধ্যে আগে থেকেই ছিল। বিএনপির চেয়ারপারসনের কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী দুজন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলাদা কথা বলার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঢাকায় কাউকে সমাবেশের নামে সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, হেফাজতে ইসলামকে সমাবেশ করার সুযোগ দিয়ে যে ভুল হয়েছিল, সে ভুল আর হবে না। সরকারের কয়েকটি প্রভাবশালী সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের কাছে সরকারের শীর্ষপর্যায়ের এ মনোভাব জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ জানুয়ারির আগের এক সপ্তাহ কীভাবে নির্বিঘ্ন রাখা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।
যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, বিরোধী দল কি এই নিশ্চয়তা দেবে যে তাদের কর্মসূচিতে সহিংসতা হবে না? সরকারের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া।
সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু ঢাকায় নয়, দেশের কোথাও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের সমবেত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী নির্বাচনী সফরে বের হচ্ছেন। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সফরসূচি চূড়ান্ত করা আছে। তা ছাড়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও ১৬টি ভাগে বিভক্ত হয়ে আজ থেকে নির্বাচনী সফরে বের হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি দলগতভাবে আওয়ামী লীগও মাঠে থাকবে। এ জন্য আজ ঢাকার প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড সভাপতিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। রাজধানীতে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টির পাশাপাশি বিরোধী দলের কর্মসূচি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে কথা হবে বৈঠকে।
যেকোনো মূল্যে কর্মসূচি সফল করতে চায় বিরোধী জোট: সরকার বাধা দেবে জেনেই রোববারের ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছে ১৮-দলীয় জোট। তারা যেকোনো মূল্যে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক সমাগম ঘটাতে চায়। বাধা এলে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতিও তারা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।
এ কর্মসূচি সফল করা নিয়ে বিএনপির মধ্যে সংশয় থাকলেও দলটি সর্বশক্তি প্রয়োগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীকে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। বিএনপির নেতারা বলেছেন, সারা দেশে আন্দোলনের যে ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে, তা রাজধানীতে এসে আছড়ে পড়বে। এর ফলে নির্বাচন প্রতিহত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ের আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে।
দলীয় সূত্র বলছে, শুধু হরতাল-অবরোধ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরকারকে পিছু হঠানো যাবে না বলে মনে করেন খালেদা জিয়া। এ জন্য মার্চ ফর ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা নামে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি। এবার আর ঢাকায় অবস্থানের জন্য কোনো অনুমতির ধার ধারবে না বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট। কর্মসূচির কথা জানিয়ে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে বিএনপি। একটি চিঠিতে ওই দিন নয়াপল্টন এলাকায় মাইক ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অপর দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও অন্য নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় স্মরণকালের সেরা জমায়েত হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে বা আক্রমণ হলে দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র না থাকলে কী কী হতে পারে, সেসব বিষয় মাথায় রেখেই তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত ও সহযোগিতা চেয়ে ডিএমপিকে দুটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ বিষয়ে ফ্যাক্সযোগে চিঠি দেবে বলে জানিয়েছে দলটি। চিঠি পৌঁছে দিতে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সকালে ডিএমপির কার্যালয়ে যায়।

২৯ ডিসেম্বর কী হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০৩:৩০, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে গতকাল সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল । ছবি: প্রথম আলো২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি করতে দেবে না সরকার। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট বলছে, যত বাধাই আসুক, তারা কর্মসূচি পালন করবেই।
সরকার ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র জানায়, ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতকে কোনোভাবেই সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বাইরে থেকেও কাউকে ঢাকায় আসার সুযোগ দেওয়া হবে না।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত মঙ্গলবার ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের মানুষকে ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান। এ কর্মসূচি ঘোষণার পরদিনই গতকাল সকাল থেকে বিরোধীদলীয় নেতার গুলশানের বাসার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে সেখানে যাওয়া-আসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির অবশ্য বলেছেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দুপুরে ওই বাসায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একই অবস্থা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও। সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার বাসায় ঢুকতে চাইলে আটক হন সাবেক সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন।
গুলশানের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণিকে পুলিশ আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। রাতে সেখান থেকে আটক করা হয় সাংসদ শাম্মী আখতার ও ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিদ আউয়ালকে। রাত পৌনে ১০টার দিকে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিক রেহমানকেও আটকের চেষ্টা করে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বিরোধী দল ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের আগে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে ঢাকাকে অশান্ত করার একটা কৌশল নিতে পারে, সে রকম একটা আশঙ্কা সরকারের মধ্যে আগে থেকেই ছিল। বিএনপির চেয়ারপারসনের কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী দুজন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলাদা কথা বলার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঢাকায় কাউকে সমাবেশের নামে সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, হেফাজতে ইসলামকে সমাবেশ করার সুযোগ দিয়ে যে ভুল হয়েছিল, সে ভুল আর হবে না। সরকারের কয়েকটি প্রভাবশালী সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের কাছে সরকারের শীর্ষপর্যায়ের এ মনোভাব জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ জানুয়ারির আগের এক সপ্তাহ কীভাবে নির্বিঘ্ন রাখা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।
যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, বিরোধী দল কি এই নিশ্চয়তা দেবে যে তাদের কর্মসূচিতে সহিংসতা হবে না? সরকারের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া।
সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু ঢাকায় নয়, দেশের কোথাও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের সমবেত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী নির্বাচনী সফরে বের হচ্ছেন। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সফরসূচি চূড়ান্ত করা আছে। তা ছাড়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও ১৬টি ভাগে বিভক্ত হয়ে আজ থেকে নির্বাচনী সফরে বের হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি দলগতভাবে আওয়ামী লীগও মাঠে থাকবে। এ জন্য আজ ঢাকার প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড সভাপতিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। রাজধানীতে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টির পাশাপাশি বিরোধী দলের কর্মসূচি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে কথা হবে বৈঠকে।
যেকোনো মূল্যে কর্মসূচি সফল করতে চায় বিরোধী জোট: সরকার বাধা দেবে জেনেই রোববারের ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছে ১৮-দলীয় জোট। তারা যেকোনো মূল্যে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক সমাগম ঘটাতে চায়। বাধা এলে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতিও তারা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।
এ কর্মসূচি সফল করা নিয়ে বিএনপির মধ্যে সংশয় থাকলেও দলটি সর্বশক্তি প্রয়োগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীকে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। বিএনপির নেতারা বলেছেন, সারা দেশে আন্দোলনের যে ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে, তা রাজধানীতে এসে আছড়ে পড়বে। এর ফলে নির্বাচন প্রতিহত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ের আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে।
দলীয় সূত্র বলছে, শুধু হরতাল-অবরোধ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরকারকে পিছু হঠানো যাবে না বলে মনে করেন খালেদা জিয়া। এ জন্য মার্চ ফর ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা নামে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি। এবার আর ঢাকায় অবস্থানের জন্য কোনো অনুমতির ধার ধারবে না বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট। কর্মসূচির কথা জানিয়ে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে বিএনপি। একটি চিঠিতে ওই দিন নয়াপল্টন এলাকায় মাইক ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অপর দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও অন্য নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় স্মরণকালের সেরা জমায়েত হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে বা আক্রমণ হলে দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র না থাকলে কী কী হতে পারে, সেসব বিষয় মাথায় রেখেই তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত ও সহযোগিতা চেয়ে ডিএমপিকে দুটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ বিষয়ে ফ্যাক্সযোগে চিঠি দেবে বলে জানিয়েছে দলটি। চিঠি পৌঁছে দিতে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সকালে ডিএমপির কার্যালয়ে যায়।

সেনাবাহিনী নেমেছে নির্বাচনী দায়িত্ব

সমকাল প্রতিবেদক
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে আজ বৃহস্পতিবার মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীতকালীন প্রশিক্ষণ মহড়ায় সেনাসদস্যরা ব্যারাকের বাইরে রয়েছেন। গতকাল বুধবার শীতকালীন মহড়া শেষ হয়েছে। শীতকালীন মহড়া থেকে সেনাসদস্যরা ব্যারাকে না ফিরে নির্বাচনকালীন
দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত হবেন। নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন সেনাসদস্যরা।
শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে কয়েক দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে সেনাসদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। রাজধানীর গাবতলী, যাত্রাবাড়ীসহ অনেক পয়েন্টে সেনাসদস্যদের টহল ছিল লক্ষণীয়। কোনো কোনো এলাকায় গাড়ি তল্লাশি করেন সেনাসদস্যরা। শীতকালীন মহড়ায় অংশ নেওয়া সেনাসদস্যদের পাশাপাশি নির্বাচনকেন্দ্রিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন ব্যারাক থেকে জেলায় জেলায় যাওয়া শুরু করেছেন সেনাসদস্যরা। প্রতিটি জেলায় সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন (৭৪০ জন সেনাসদস্য) মোতায়েন থাকবে।
মূলত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাসদস্যরা থাকবেন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। এর আগেও বিভিন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভোটের দিন সেনাসদস্যদের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিনগুলোতেও যে কোনো সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাসদস্যদের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে পাঁচ লাখ সদস্য ও সশস্ত্র বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে একটি সেল গঠন করা হবে। সেনা, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ডের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার একজন করে প্রতিনিধি এই সেলে থাকবেন। র‌্যাব ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলবর্তী এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অতীতের যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বেশি সময় মাঠে অবস্থান করবেন। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে তিন থেকে পাঁচ দিন আগে সেনা মোতায়েন করা হতো। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের কিছুদিন আগে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যায়। এরপর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১২ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়।

হলফনামা নিয়ে ইসির ডিজিটাল কারসাজি

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আট দফা ব্যক্তিগত তথ্যসংবলিত হলফনামা প্রকাশে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে ডিজিটাল কারসাজির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের আপত্তির ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই ওয়েবসাইটের সংশ্লিষ্ট পেজে সাধারণ ব্যবহারকারীদের প্রবেশ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ইসির আইটি (তথ্যপ্রযুক্তি) বিভাগের দাবি, একই সঙ্গে অনেক ব্যবহারকারী প্রবেশের চেষ্টার কারণে গতি মন্থর দেখাচ্ছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ও আইটি সংশ্লিষ্টরা এ যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ইসির ওয়েবসাইটের অন্য পেজগুলোতে খুব সহজেই প্রবেশ করা যাচ্ছে। শুধু হলফনামার পেজেই সমস্যা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট পেজের লিঙ্ক ডাউন এবং ব্যান্ডউইথের গতি কমিয়ে দেওয়ার ফলেই সারাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ওই পেজে প্রবেশ করা আর সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি আয়কর রিটার্নের তথ্যসহ অন্য সব পেজে প্রবেশে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ইসি সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা একে ডিজিটাল কারসাজি বলে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রাতে ইসি কার্যালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক সমকালকে বলেন, কোনো দলের কথায় কমিশন কাজ করে না। আইনগতভাবে হলফনামা একটি পাবলিক ডকুমেন্ট। এ ব্যাপারে কমিশনের অবস্থান সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর ইসির আইসিটি
বিভাগের প্রধান সিস্টেম ম্যানেজারকে ডেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, এখানে কোনো সমস্যা নেই। এটা সবাই দেখতে পারছে বলেও দাবি করেন ড. সাদিক।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম সমকালকে জানান, সংশ্লিষ্ট লিঙ্কের গেটওয়ে লক করাসহ যে কোনো উপায়ে তা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব। ফলে সর্বসাধারণ তা দেখতে পাচ্ছে না। তবে তথ্যগুলো ওয়েবসাইটে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারের উচিত হবে দ্রুত বিষয়টি সুরাহা করা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা বলেছেন, এটা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে তাদের কিছুই বলার নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) জানিয়েছে, তারা সরকারি সব ওয়েবসাইটের হোস্টিংয়ের দায়িত্ব পালন করলেও পরিচালনার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতর বা প্রতিষ্ঠানের।
নির্বাচন কমিশনের আইসিটি অনু বিভাগের প্রধান ও সিস্টেম ম্যানেজার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার নিজ কার্যালয়ের কম্পিউটার থেকে হলফনামা দেখালেও বাইরে থেকে কেন দেখা যাচ্ছে না, তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তার সামনে আইফোনে ওয়েবসাইটে ওই পেজে প্রবেশের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। এমনকি সমকালের পক্ষ থেকে দেশের বেশ কয়েকটি জেলার কম্পিউটার থেকে অনেকবার চেষ্টা করেও সংশ্লিষ্ট পেজে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। দেশের বাইরেও বেশ কয়েকটি স্থান থেকে ওই পেজে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। রফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, অনেক ব্যবহারকারী একই সঙ্গে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলেই গতি কমে গেছে। তবে ওয়েবসাইটটির বটম লাইনে ভিজিটরদের কাউন্টিং সংখ্যা দেখানোর স্থানটিও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
আমেরিকায় অবস্থানরত ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের পিএইচডি শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আবু ওবায়দা সমকালকে জানান, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সংশ্লিষ্ট লিঙ্কের গতি সংকুচিত (ব্যান্ডউইথ থ্রটেলিং) করা হয়েছে। আমেরিকা থেকেও ডাউনলোড করতে সমস্যা হচ্ছে। আর দেশে একেবারেই ডাউনলোড না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, গতি কম থাকায় অনেক সময় ধরে ফাইল ডাউনলোড প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এতে একপর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। (http://www.samakal.net/2013/12/26/28777)
ইসি সচিবালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে ওয়েবসাইটে হলফনামার তথ্য প্রকাশ করে ইসি। দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে একাধিক দিন হলফনামা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন সমন্বয় উপকমিটির আহ্বায়ক ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নেতৃত্বে একটি দল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হলফনামা প্রকাশের বিষয়ে আপত্তি তোলে। ওই দিন আওয়ামী লীগ ও কমিশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হলেও পরের দিন সিইসি নিজেই জানান, হলফনামা প্রকাশের আইনগত দিক খতিয়ে দেখছেন তারা। অন্য একজন কমিশনার জানিয়েছিলেন, শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে তথ্য দেওয়া অথবা শুধু প্রার্থীর আয় ও ব্যয় প্রকাশ করার কথা ভাবছে কমিশন। পরের দিন ইসির এমন পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়। ফলে ওই পরিকল্পনা থেকেও সরে আসে কমিশন। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই হলফনামার লিঙ্কের গতি কমে যায় এবং ওই পেজে প্রবেশ অসাধ্য হয়ে পড়ে। যদিও নির্বাচনী আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় কমিশন এ তথ্য শুধু প্রকাশ নয়, প্রচার করতেও বাধ্য। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল কমিশনকে বলেছিল, প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রতিশ্রুতি-সংক্রান্ত সাধারণ তথ্য প্রকাশ করা যেতে পারে। কিন্তু তাদের এবং পরিবারের নির্ভরশীলদের সম্পদের তথ্য প্রকাশ যুক্তিসংগত নয়।
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, আয়ের উৎস ও ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাসহ আট ধরনের তথ্য জানানোর নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবের ও জহুরুল ইসলাম ২০০৫ সালে জনস্বার্থে রিট করেন। ওই বছরের ২৩ এপ্রিল সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি রুল জারি করেন আদালত। ২৪ মে হাইকোর্ট প্রার্থীদের আট ধরনের তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন।
এরপর সন্দ্বীপের জনৈক আবু সাফার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি জয়নুল আবেদীন ২০০৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২২ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের (যা পরে হয়নি) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পাঁচ দিন আগে এ স্থগিতাদেশ আসে। তাই তখন অভিযোগ ওঠে, বিএনপি পেছনে থেকে জনৈক আবু সাফাকে দিয়ে এ আবেদন করিয়েছে।
এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। ২০ নভেম্বর আদালত আবু সাফাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। তাকে হাজির করা হয়নি। ২০০৭ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। আদালতের রায়ের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করা হয়। এতে কোনো প্রার্থী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার বিধান রয়েছে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রার্থীদের তথ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রচার করতে হবে বলে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। গত নির্বাচনে কমিশন প্রার্থীদের হলফনামা লিফলেট করে নির্বাচনী এলাকায় বিতরণও করেছিল।
 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জেলা সফরসূচি


আগামী ৫ জানুয়ারি ২০১৪ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে দেশের সাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থাকে বিপন্ন করে তোলার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আন্দোলনের নামে ১৮ দলীয় জোট দেশব্যাপী হত্যা, খুন, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও, বোমাবাজি, রেল লাইন উৎপাটন ও অগ্নিসংযোগ করে নিরপরাধ, নিরীহ নারী, পুরুষ, শিশুসহ অসংখ্য মানুষের জীবন সংহারই করেনি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টসহ অন্তর্ঘাতমূলক নাশকতা করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। এদের এহেন অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড কখনই গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। গণবিরোধী ১৮ দলীয় জোট মূলতঃ আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সেই রক্তঝরা দিনগুলোতে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে বাঁচানোর জন্য এহেন গণবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। আমাদের আগামী প্রজন্মের শিা জীবনকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদন, রপ্তানিসহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে দেশ বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
এই অপতৎপরতা প্রতিহত ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর করে জাতিকে পাপ ও অভিশাপমুক্ত করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প থেকে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এই সাংগঠনিক সফর আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

সাংগঠনিক টিমসমূহ নিম্নরূপ :
টিম নং-১
গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, কাজী জাফর উল্লাহ, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, এস এম নুরুন্নবী, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, বি. এম মোজাম্মেল হক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক, লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি (অব.), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, আব্দুর রহমান এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, একেএম এনামুল হক শামীম, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-২
ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সস্পাদক, বেগম মতিয়া চৌধুরী, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, অসীম কুমার উকিল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, অধ্য মতিউর রহমান এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, মির্জা আজম এমপি সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-৩
নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা
জনাব তোফায়েল আহমেদ, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, সর্বজনাব অ্যাডভোকেট রহমত আলী এমপি, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ (গাজীপুর), সতীশ চন্দ্র রায়, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সদস্য, আব্দুল মান্নান খান এমপি, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, ডা. বদিউজ্জামান ভুঁইয়া ডাবলু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক, একেএম রহমতউল্লাহ এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ (গাজীপুর-কাপাসিয়া), নসরুল হামিদ বিপু এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, এ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী।
টিম নং-৪    
খুলনা মহানগর, খুলনা জেলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা
তোফায়েল আহমেদ, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বি.এম মোজাম্মেল হক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি (অব.), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, মীর্জা আজম এমপি কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, এসএম কামাল হোসেন, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-৫    
কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল
মাহবুব-উল-আলম হানিফ (কুষ্টিয়া), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রহমান এমপি, বি.এম মোজাম্মেল হক এমপি, দেওয়ান শফিউল আরেফীন টুটুল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র বোস, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-৬
দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, আসাদুজ্জামান নূর এমপি (নীলফামারী), সাংস্কৃতিক সম্পাদক, এইচ. এন আশিকুর রহমান, কোষাধ্য, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী এমপি, সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-৭
রংপুর, রংপুর মহানগর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, আসাদুজ্জামান নূর এমপি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, এইচ. এন আশিকুর রহমান, কোষাধ্য, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী এমপি, সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, নসরুল হামিদ বিপু এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-৮
রাজশাহী মহানগর, রাজশাহী জেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, মোহাম্মদ নাসিম, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ (রাজশাহী মহানগর, রাজশাহী জেলা), ড. মির্জা এম. এ জলিল, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক, জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-৯
পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট
আমির হোসেন আমু এমপি, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, মোহাম্মদ নাসিম, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ড. মির্জা এম. এ জলিল, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ (পাবনা), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক, জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-১০
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার
ওবায়দুল কাদের এমপি, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, ইসহাক মিঞা, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, বীর বাহাদুর এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক. ড. হাছান মাহমুদ এমপি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
টিম নং-১১
চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, ইসহাক মিঞা, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, বীর বাহাদুর এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, ড. হাছান মাহমুদ এমপি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, আমিনুল ইসলাম আমিন, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-১২
নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী
ওবায়দুল কাদের এমপি, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, ইসহাক মিঞা, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, বীর বাহাদুর এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, ফরিদুন্নাহার লাইলী এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।
টিম নং-১৩
কুমিল্লা উত্তর, কুমিল্লা দণি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর,
ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, ডা. দীপু মণি এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বীর বাহাদুর এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, আ. হ. ম মোস্তফা কামাল এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এমপি, আইন বিষয়ক সম্পাদক, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, সদস্য, সুজিত রায় নন্দী, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-১৪
যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ
ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, সদস্য, সভাপতিমণ্ডলী, বি. এম মোজাম্মেল হক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোস্তফা মোহাম্মদ ফারুখ এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, আক্তারুজ্জামান, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, শাজাহান খান এমপি, মাননীয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী।
টিম নং-১৫
সিলেট, সিলেট মহানগর,
আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, সৈয়দ আবু নসর অ্যাডভোকেট, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, মো. মেজবাহউদ্দিন সিরাজ অ্যাডভোকেট, সাংগঠনিক সম্পাদক, শিা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, আব্দুল মান্নান এমপি, সুজিত রায় নন্দী, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।
টিম নং-১৬
সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ
শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, সৈয়দ আবু নসর অ্যাডভোকেট, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, মো. মেজবাহউদ্দিন সিরাজ অ্যাডভোকেট, সাংগঠনিক সম্পাদক, শিা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রম ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক, আব্দুল মান্নান এমপি, সুজিত রায় নন্দী, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।  
টিম নং-১৭
বরিশাল, বরিশাল মহানগর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি
আমির হোসেন আমু এমপি, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, তোফায়েল আহমেদ, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, নসরুল হামিদ বিপু এমপি, সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ।

Wednesday 25 December 2013

এত কম আয় শাহাব উদ্দিনের!

বিলাসবহুল জীবন যাপন করলেও মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহাব উদ্দিনের আয়ের খাত খুবই নগণ্য। হলফনামায় তার সম্পদ বিবরণীতে উলি্লখিত তথ্যে জানা গেছে, কৃষি থেকে তার আয় বছরে ৩৬ হাজার টাকা ও সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা ৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নগদ টাকা ২৫ হাজার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৮৮ হাজার ৬৮৪ টাকা। একটি জিপ গাড়ির মূল্য ৪৮ লাখ ৪০০ টাকা। স্ত্রীর নামে স্বর্ণ রয়েছে ৫ তোলা। এর মূল্য ২০ হাজার টাকা। ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি টিভি। বৈবাহিক সূত্রে পাওয়া আসবাবপত্র রয়েছে ৪০ টাকার।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে এক লাখ টাকার কৃষি জমি, যৌথ মালিকানায় ১ দশমিক ৯১ একর। প্রার্থীর অংশে সাড়ে ১২ শতক। প্রার্থীর একক নামে রয়েছে ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অকৃষি জমি। রয়েছে পৈতৃক বাড়ি। ঢাকার উত্তরা পল্গটে প্রবাসী ভাইদের কাছ থেকে পাওয়া টাকায় কিনেছেন ৫ কাঠা জমি। এর মূল্য ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। ৪৮ লাখ টাকার জিপ গাড়ি ক্রয়ে প্রবাসী ভাইয়েরা ২৮ লাখ ৪০০ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেন।

শম্ভুর আয় বেড়েছে ১২ গুণ দেলোয়ারের দ্বিগুণ


আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন এবং বিএনএফ মনোনীত খলিলুর রহমান খান।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, গত ৫ বছরে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আইন পেশা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০১৩ সালে আইন ও পরামর্শক পেশা থেকে দেখিয়েছেন ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা, শেয়ার ও সঞ্চয় থেকে ৯১ হাজার ৮৩৬ টাকা এবং সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মোট বার্ষিক আয় ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৩৬ টাকা। ২০১৩ সালে নগদ আছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭৩ টাকা, এফডিআর ৬ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে কোনো গাড়ি ছিল না। ২০১৩ সালে নিজ নামে দুটি গাড়ি দেখানো হয়েছে। ২০০৮ সালে কোনো দায়-দেনা এবং ঋণ কিছুই ছিল না। ২০১৩ সালে ব্যাংক ঋণ দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৭১ টাকা।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেনের বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তিনি ২০০৮ সালে ভুসি মালের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ২০১৩ সালে মাছের খামার ও বিবিধ উৎস থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার, কৃষি খাত থেকে ৮ হাজার এবং মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ২৪ হাজার টাকা। মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১৩ সালে নগদ টাকা ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮১ এবং ব্যাংকে জমা ৫৬ হাজার ১১৯ টাকা।
কৃষি জমি (পৈতৃক) ৫০ শতাংশ এবং অকৃষি জমি ৩০ শতাংশ। বাড়ি দেখানো হয়েছে ২টি। ২০০৮ সালে স্ত্রীর নামে কৃষি জমি ৯০ শতাংশ এবং অকৃষি জমি ছিল ১ দশমিক ৮০ একর। ২০১৩ সালে স্ত্রীর নামে কোনো সম্পত্তি নেই।

আয় কমলেও সম্পদ বেড়েছে রতনের

সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর) আসনের সরকার দলীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের হলফনামায় সম্পদের হিসাবে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। স্থানীয়রা বলেছেন, 'ধর্মপাশার নওধারের বাড়ির মূল্যও সাংসদ রতন কম দেখিয়েছেন।' আয় কম দেখানো হলেও সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৫ টাকার।
২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় সাংসদ রতনের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ তার এবং তার স্ত্রীর নামে ও যৌথ মালিকানায় দেখানো হয়েছিল ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ২৫৮ টাকা। নগদ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল এক কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৯ টাকা।
৫ বছর পর এবারের নির্বাচনের আগে হলফনামায় তার স্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩০২ টাকা। এবং অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে এক কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৯১০ টাকা।
গত বছরের হলফনামায় বিভিন্ন খাতে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৬ টাকা। ৫ বছর পর তার আয় কমেছে উল্লেখ করে বার্ষিক আয় নিজের ও স্ত্রীর মিলে দেখানো হয়েছে মাত্র ২৯ লাখ ৫০ হাজার ২৬৪ টাকা। অর্থাৎ ৫ বছর আগের আয় থেকে বর্তমান আয় কমেছে ৯০ শতাংশ। হিসাব অনুয়ায়ী গেল ৫ বছরে তার আয় হয়েছে এক কোটি ৪৭ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকা। অথচ তার সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৫ টাকার। সম্পদের হিসাবের এই গরমিল রয়েছে বাস্তবেও। তিনি তার নওধারের বাড়ি 'হাওর বিলাস'-এর মূল্য দেখিয়েছেন ৩৮ লাখ ৭ হাজার টাকা।
সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন হিসাবের গরমিল বিষয়ে বলেন, 'আমি আমার ব্যক্তিগত আয়ের হিসাব দেখিয়েছি, যৌথ কোনো কোম্পানির হিসাব দেখাইনি। বাড়ির মূল্য ২০০৬ সালের মূল্য অনুযায়ী দেখানোয় একটু কম হয়েছে।'

লাখপতি থেকে কোটিপতি আবদুল হাই

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল হাই গত ৫ বছরে লাখপতি থেকে এখন কোটিপতি। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে পাওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
গত ৫ বছরে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। যেটি চলতি নির্বাচনে তার বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৪ টাকা। এর মধ্যে তার কৃষি থেকে ২৫ হাজার, দৃশ্যমান কোনো ব্যবসা না থাকলেও এ খাতে তার আয় বেড়েছে ৩৫ লাখ ৭১ হাজার ৪০৭ টাকা এবং এমপি ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ভাতাদি থেকে আয় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ টাকা। এ ছাড়া এ সময়ে তার ও স্ত্রীর নামীয় অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯০০ টাকা। এর মধ্যে স্বর্ণ ও জমির বর্তমান মূল্য ধরলে সম্পদের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে সেটি ৩ কোটিতে দাঁড়াবে। যেখানে নবম জাতীয় সংসদে তার ও স্ত্রীর নামীয় অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ৫ হাজার ২৬৭.৬০ টাকা। তবে এসব সম্পদ অর্জনে তিনি কোনো দায়-দেনায় জড়িত হননি। দশম জাতীয় সংসদে হলফনামায় দাখিল করা স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজ নামে অর্জিত সময়ের ২ লাখ টাকা মূল্যের ৩ একর কৃষি জমি (তবে ওই জমির বর্তমান মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা), ১৫.৫০ শতক অকৃষি জমি মূল্য ২৬ লাখ টাকা ২৫ হাজার টাকা, একটি সেমিপাকা বাড়ির মূল্য ৪ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ২৯.৫০ শতক অকৃষি জমি যার মূল্য ৮৮ হাজার টাকা। (এই জমির বর্তমান মূল্য নূ্যনতম ১ কোটি ২০ লাখ টাকা)। এ ছাড়া ঝিনাইদহ শহরে একটি দোতলা বাড়ি যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৪৪ লাখ টাকা।

ঢাকায় বাড়িসহ দু'জনের অঢেল সম্পদ

হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির এবং জাপার প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। দু'জনেরই এলাকায় এবং ঢাকায় বাড়িসহ রয়েছে অঢেল সম্পদ। আবু জাহির তার হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন এলএলবি। পেশায় আইনজীবী। কৃষি খাত, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে ২ লাখ টাকা, ব্যবসা খাতে নিজের আয় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩২৫ টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে ৩২ হাজার ৫৮৮ টাকা, আইন পেশায় ২ লাখ ও সংসদ সদস্য হিসেবে আনুতোষিক ও ভাতা ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫০ টাকা। নিজ নামে ব্যাংকে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার ২৯৮ টাকা, ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ৫শ' টাকা মূল্যের ঢাকায় প্লট, বাড়ি ও দোকানপাট, ২৭ লাখ ৩২ হাজার টাকার দালানকোঠা ও ৬০ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ির গ্যারেজ। আবদুর রহমানের কাছে সুদমুক্ত ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা তার দেনা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে চুনারুঘাট আদালতে মামলা ছিল, বেকসুর খালাস পান।
একই আসনে জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি পাস। তার বিরুদ্ধে ২০০১ সালে একটি হত্যা মামলা ছিল। যা নির্দোষ বলে প্রমাণ হয়েছে আদালতে। ব্যবসায়ী আতিক 'প্রিন্স গ্রুপ অব কোম্পানির' কর্ণধার। তিনি নিজে বছরে ১০ লাখ ১০ হাজার আয় করেন। কোম্পানি থেকে তিনি পারিতোষিক পান ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার নিজের কাছে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩১ টাকা ও ব্যাংকে ২১ লাখ টাকা আছে। তার রয়েছে একটি জিপ ও একটি প্রাডো গাড়ি। আতিকের নিজ নামে সিলেটের মোগলাবাজারে ১৫ শতক জমি, ঢাকার নিকুঞ্জ-২ এ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের জমি, রামপুরায় ৪ কাঠা, ঢাকার বারিধারায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ইসলামী, প্রিমিয়ার ব্যাংকে প্রায় ৫ কোটি টাকা লোন রয়েছে।

ব্যবসায়ী থেকে পরামর্শক মোজাম্মেল

সমকাল প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি বিএম মোজাম্মেলের পেশার পরিবর্তন হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ী থেকে পেশা পরিবর্তন করে এখন পরামর্শক হিসেবে বছরে আয় করেন ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ টাকা। তবে গত পাঁচ বছরে তার স্ত্রীর বহু সম্পদ বেড়েছে। ২ লাখ টাকার গাড়ি থেকে তিনি এখন ব্যবহার করেন ৪৬ লাখ ৪৭ হাজার ২৩৪ টাকার প্রাডো।
এবারের হলফনামায় তিনি পেশা উল্লেখ করেছেন কৃষি, সমাজসেবা ও পরামর্শক। ফলে এবার তার নিজের ও স্ত্রীর নামে ব্যবসা থেকে কোনো আয় উল্লেখ নেই। তবে ২০০৮ সালে ব্যবসা থেকে তার নিজের নামে আয় উল্লেখ ছিল বছরে ২ লাখ ১ হাজার টাকা। এবার হলফনামায় কৃষি খাতে আয় দেখানো হয়েছে বার্ষিক ১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা, ব্যাংক থেকে বছরে মুনাফা ৫ হাজার ৪৩৭ টাকার কথা উল্লেখ করেছেন। এবার তিনি পরামশর্ক হিসেবে বার্ষিক ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ টাকা আয় দেখিয়েছেন।
অস্থাবর সম্পদ :গত পাঁচ বছরে তার নিজের না বাড়লেও স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। ২০০৮ সালে তার হাতে নগদ ছিল ৪ লাখ ৬২ হাজার ৯৬৬ দশমিক ৮৫ টাকা ও স্ত্রীর নামে ছিল ২ হাজার ৭৫০ টাকা। এবার তার নিজের হাতে আছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৪ টাকা ও স্ত্রীর হাতে ৬১ হাজার ৪৪১ টাকা। নিজের নামে ব্যাংকে ২০০৮ সালে মাত্র ৬ হাজার ৩৩ টাকা থাকলেও এখন নিজের নামে আছে ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অতীতে নিজের বা স্ত্রীর নামে কোনো সঞ্চয়পত্র না থাকলেও এবার স্ত্রীর নামে আছে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। তবে নিজের নামে ২ লাখ টাকার টয়োটা গাড়ির স্থলে যুক্ত হয়েছে ৪৬ লাখ টাকার একটি প্রাডো গাড়ি।
স্থাবর সম্পদ :স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার কৃষি জমির পরিমাণ ৪ লাখ ৮ হাজার ১০০ টাকার স্থলে হয়েছে ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬০ টাকার জমি। স্ত্রীর নামে কোনো কৃষি জমি আগে না থাকলেও এবার হয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৫২০ টাকার কৃষি জমি। অকৃষি জমির ক্ষেত্রে আগে নাই উল্লেখ করা হলেও এবার বলা হয়েছে তার ৩৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪৪ টাকার ও স্ত্রীর আগের ৮ লাখ ২৮ হাজারের স্থলে এবার ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৬০ টাকার জমি আছে। তবে তার এবার ব্যক্তিগত ঋণ আছে ২৮ লাখ টাকার।

শাকিবের সঙ্গে এবার তিশা


গত বছর 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী' ছবিতে শাকিব খানের সঙ্গে জয়া আহসানের অভিনয় আলোচিত হয়। এবার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিশা বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন শাকিবের সঙ্গে। নাম 'প্রেম করে আমি মরবো'। গত সোমবার রাতে এতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তারা। সাফিউদ্দিন সাফির পরিচালনায় এটি প্রযোজনা করছে ফ্রেন্ডস মুভিজ ইন্টারন্যাশনাল। রুম্মান রশীদ খানের কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ নিয়ে এর দৃশ্যধারণ শুরু হবে আসছে ফেব্রুয়ারিতে।
তিশা এর আগে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার' ও 'টেলিভিশন' ছবিতে কাজ করেছেন। এ ছাড়া প্রয়াত তারেক মাসুদের 'রানওয়ে' ছবিতে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। 'প্রেম করে আমি মরবো' তার চতুর্থ ছবি। তিনি বলেন, 'বাণিজ্যিক ছবি বলতে কিছু বুঝি না। সবসময়ই ভালো গল্পের ছবিতে কাজ করতে চেয়েছি। এ ছবির গল্পটা অসম্ভব সুন্দর। চরিত্রটিও লোভনীয়। শাকিব খানের সঙ্গে এই ক'দিন ছবি নিয়ে আলোচনা করে বুঝেছি, ভালো কাজের জন্য তার দরদ অপরিসীম। চলচ্চিত্র ঘিরেই এখন আমার স্বপ্ন। এ কারণে শিগগিরই ছোট পর্দা থেকে ছুটি নেবো।'
'প্রেম করে আমি মরবো' ছবির সব ক'টি গান লিখেছেন কবির বকুল, সঙ্গীত পরিচালনায় শওকত আলী ইমন ও কৌশিক হোসেন তাপস। শাকিব বলেন, "এ বছর আমার মুক্তিপ্রাপ্ত সফল ছবির তালিকায় 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী' অন্যতম। ওই ছবির প্রায় সবাই আছেন 'প্রেম করে আমি মরবো'তে। এর গল্প, সংলাপেও নতুনত্ব আছে। দেশে এবং দেশের বাইরে কাজ করা হবে।"

ব্যবসা থেকে শেখ হেলালের আয় বেড়েছে

ব্যবসা থেকে শেখ হেলালের আয় বেড়েছেবাগেরহাট-১ আসনের এমপি প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন। তার স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ আছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৭ টাকার। পাঁচ বছর আগে দেওয়া হলফনামার তুলনায় এবার তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ৮৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩০ টাকা।
সমকাল প্রতিবেদক
বাগেরহাট-১ আসনের এমপি প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন। তার স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ আছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৭ টাকার। পাঁচ বছর আগে দেওয়া হলফনামার তুলনায় এবার তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ৮৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩০ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় তিনি ব্যবসা থেকে আয় উল্লেখ করেছিলেন বছরে ৮ লাখ ৮ হাজার ৩০০ টাকা। এবার একই খাত থেকে আয় হয়েছে ৯১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩০ টাকা।
হেলালের হাতে এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত নগদ আছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ১৭৩ টাকা ও স্ত্রীর কাছে নগদ আছে ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল যথাক্রমে ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার নামে বর্তমানে ব্যাংকে জমা আছে ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৩ টাকা ও স্ত্রীর নামে আছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৩ টাকা। পাঁচ বছর আগে শুধু নিজ নামে জমা ছিল ৭ হাজার ৩২৫ টাকা। একটি পরিবহন কোম্পানিতে নিজ নামে শেয়ার আছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ২০০৮ সালেও এই কোম্পানিতে এ অঙ্কের শেয়ার ছিল। আগে তার কোনো সঞ্চয়পত্র না থাকলেও এবার ৫ বছর মেয়াদি ৪০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের কথা উল্লেখ আছে। পাঁচ বছর আগে তার ৩১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার দুটি গাড়ির সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে আরও ৬৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকার একটি নতুন গাড়ি। নিজ নামে ১১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে। এ ছাড়াও ৩০ জুন পর্যন্ত মূলধনের জের আছে ১ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭২৪ টাকা। ব্যবসায় নগদ ও ব্যাংক উদ্বৃত্ত আছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৯২ হাজার ২৪৬ টাকা। স্ত্রীর নামে মূলধনের জের আছে ১ কোটি ৪১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৪ টাকা এবং ব্যবসায় নগদ ও ব্যাংক উদ্বৃত্ত ২০ লাখ ৩১ হাজার ২৪০ টাকা।
শেখ হেলালের স্থাবর সম্পদ আছে বসুন্ধরায় ২ কোটি ৭৯ লাখ ২৭ হাজার ৫৬০ টাকার একটি ও পূর্বাঞ্চল প্রকল্পে ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার অকৃষি জমি। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার বাবার দান করা ৬০ কাঠা অকৃষি জমি আছে, যার মূল্য অজানা বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। তার কোনো দায়-দেনা নেই।

দীপু মনির ৫ লাখ টাকার সম্পদ বেড়ে ৮৪ লাখ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নবম সংসদের পুরো মেয়াদেই ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। ভাগ্যবতী দীপু মনি জীবনে প্রথম এমপি হয়েই মন্ত্রিত্ব পেলেন। তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
সমকাল প্রতিবেদক
দীপু মনির ৫ লাখ টাকার সম্পদ বেড়ে ৮৪ লাখসাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নবম সংসদের পুরো মেয়াদেই ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। ভাগ্যবতী দীপু মনি জীবনে প্রথম এমপি হয়েই মন্ত্রিত্ব পেলেন। তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার বিদেশ ভ্রমণ একটি রেকর্ড বলেও অনেকে মনে করেন। আলোচিত এই সাবেক মন্ত্রীর পাঁচ লাখ টাকার সম্পদ পাঁচ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লাখ ২ হাজার ১৫১ টাকায়। এ সময় তার স্বামীর সম্পদ আট লাখ ৮০ হাজার টাকা বেড়েছে এবং যুক্ত হয়েছে একটি বিলাসবহুল গাড়ি; নিজের নামে ৩৩ লাখ টাকার ১০ কাঠা জমি, আট লাখ টাকার স্বর্ণসহ অনেক অর্থ।
চাঁদপুর-২ আসন থেকে এবারও আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী হয়েছেন। তবে তিনিসহ চাঁদপুর জেলার সব প্রার্থীই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৪ জনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। পাঁচ বছর আগে ডা. দীপু মনির পেশা থেকে বছরে তিন লাখ টাকা আয় থাকলেও এবার তার আয় শুধু মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত পারিতোষিক ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ভাতা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ আছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ও স্বামীর নামে চার লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে নিজের নামে ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার ও স্বামীর নামে আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
আগে তাদের কোনো টাকা না থাকলেও পাঁচ বছর পর এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৮৮ টাকা এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন তথ্য অনুযায়ী স্বামীর নামে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টাকা আছে। শেয়ার ও বন্ডে স্বামী-স্ত্রী কারও নামে কোনো বিনিয়োগ না থাকলেও সঞ্চয়পত্রে নিজের নামে আছে ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৩ টাকা। আগে স্বামীর ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ থাকলেও এবার ঘরটি ফাঁকা রয়েছে। আসবাবপত্র নিজ নামে দ্বিগুণ হয়ে এক লাখ টাকা হলেও স্বামীর নামে ৫০ হাজার টাকার আসবাব অপরিবর্তিত আছে। এ ছাড়া অন্যান্য হিসাবে স্বামীর নামে আছে আরও আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে পাঁচ বছরে তার নিজের নামে ৩৩ লাখ টাকা দামে ১০ কাঠা অকৃষিজমি যুক্ত হয়েছে। স্বামীর নামের আগের ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা অকৃষিজমি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করে একই দামে এবার দুটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার দায়দেনার ঘরে লেখা হয়েছে 'প্রযোজ্য নয়'।

কৌশলী সরকার, পেরে উঠছে না বিএনপি

 
সরকারের একের পর এক রাজনৈতিক কৌশলের সঙ্গে পেরে উঠছে না প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপের বিষয়ে সরকারি দলের সাম্প্রতিক বক্তব্য-প্রচারণাকে সর্বশেষ রাজনৈতিক কৌশল বা ফাঁদ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বক্তৃতায় বলেছেন, বিএনপি অবরোধ-সহিংসতা বন্ধ এবং জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে তিনি দশম জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
সরকারি দলের একাধিক নেতা জানান, দর-কষাকষির নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বেলুন আকাশে উড়িয়েছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি করে দশম সংসদ নির্বাচন শেষ করার পথ সুগম করতে যাচ্ছে সরকার, যাতে সবাই ধরে নেয় এ নির্বাচন হবেই। এর ফলে বিরোধী দল হতাশ হয়ে দ্রুততম সময়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপের প্রতি মনোযোগী হতে পারে বলেও সরকারের নীতি-নির্ধারকেরা মনে করছেন।
কূটনৈতিক সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক এই আশ্বাসকে একটি দেশ ইতিমধ্যে সমর্থন দিয়েছে। কয়েকজন কূটনীতিক আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের বোঝানো হয়েছে যে নিয়ম রক্ষার জন্য নির্বাচন করতেই হবে। পরবর্তী সময়ে সমঝোতা ও সংলাপের মাধ্যমে একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে।
সরকারদলীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্য দেওয়ার আগে তা প্রথমে নেতাদের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে ছেড়ে দেন। এর আগের দিন ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সমঝোতায় এলেও দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। এখন আলোচনা হতে পারে একাদশ সংসদ নিয়ে।
অবশ্য ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ওই দিনই প্রত্যাখ্যান করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, জাতিসংঘের উদ্যোগে যে সংলাপ চলছে, তা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য। এটা নিয়ে সরকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, সরকারের অবস্থান পরিষ্কার, এখানে বিভ্রান্তির কিছু নেই। হাইকোর্টের রায় এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জামায়াত নিবন্ধিত দল নয়। তাকে সঙ্গে রাখার সুযোগ বিএনপির নেই।
সরকারদলীয় একাধিক সূত্র বলছে, সরকারের এখনকার কৌশল হচ্ছে জামায়াতকে বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন করা। নির্বাচনের আগেই দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় জামায়াতকে শক্তিহীন ও দমন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। এরপর ৫ জানুয়ারি নির্বাচন শেষে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিয়ে নতুন উদ্যমে মাঠে নামবে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা বলেন, মাত্র ৩ শতাংশেরও কম ভোটার থাকা একটি দলের কাছে জাতি জিম্মি থাকতে পারে না। নির্বাচনের পর সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াত-শিবিরকে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর আগে দুই নেত্রীর মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া রাজনৈতিক ফাঁদে পড়েছিলেন। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি, এমন কথাই প্রচার পায় বেশি। বিদেশিরাও এই প্রচারকে আমলে নেন। কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ করা হলে তাতে খালেদা জিয়ার ক্ষোভ এবং অনমনীয় মনোভাবের কথাই মানুষ বেশি জানতে পারে।
তবে এ দেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের বেশির ভাগই মনে করেন, বাংলাদেশের দুই নেত্রীই একে অপরকে শাস্তি দিতে চান। বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, সন্তানদের বিদেশে পাঠানো, নিজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলার ঘটনায় খালেদা জিয়া সবার আগে প্রধানমন্ত্রীকেই শাস্তি দিতে চান। তিক্ত পরিস্থিতিতে ক্ষমতা ছাড়ার পর জনগণের সহানুভূতি যাতে প্রধানমন্ত্রীর ওপর না থাকে তেমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করাই প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার লক্ষ্য।
এসব কূটনীতিক এটাও বিশ্বাস করেন, পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হেরে যাওয়ায় সরকার তার জনপ্রিয়তা আঁচ করতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাননি বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক। তিনি সংলাপ ও আলোচনার মারপ্যাঁচে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নানা কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর, তা রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে মোকাবিলা করতে পারেনি বিএনপি।
আবার এটাও ঠিক, টানা অবরোধ কর্মসূচি ও সহিংস পরিস্থিতির কারণে বিরোধী দল ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। আবার সরকারও পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে পারছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থানের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুই দলের ওপরই মানুষ বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। তাঁদের মতে, সংলাপ নিয়ে যা কিছু হয়েছে তাতে বিরোধী দলের চেয়ে সরকারই সুফল পেয়েছে বেশি। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো সরকারি দলের ওপর কোনো রকম চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে সরকার একতরফা নির্বাচনের পথে এগিয়ে গেছে।
অন্যদিকে নির্বাচনের তারিখ পেছানো যায় কি না, তারানকো তা ভেবে দেখার অনুরোধ জানালেও প্রসঙ্গটি কৌশলে এড়িয়ে গেছে সরকার। নির্বাচন পেছানোর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের—এমন অজুহাত দেখিয়ে সরকার নিজের অবস্থানে অনড় থাকে। যদিও নির্বাচন কমিশন বলেছে, সমঝোতা না হলে নির্বাচন পিছিয়েও লাভ নেই।
অবশ্য বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, যে সংলাপ শুরু হয়েছিল বর্তমান নির্বাচন ঘিরে, তা এখন গুরুত্বহীন। ঢাকার বাইরে কোথাও এখন আর সরকার নেই। তিনি দাবি করেন, এভাবে চলতে থাকলে সরকার নিজেই তার ফাঁদে পড়বে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের ঘটনা সরকারের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। পাকিস্তানের এই নিন্দনীয় ভূমিকার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। পাকিস্তানের ওই অবস্থানের বিষয়ে বিএনপি চুপ থাকায় সরকারি দলের নেতারা বিএনপিকে আরেক দফা ঘায়েল করার সুযোগ পেয়েছেন।
সার্বিক অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে অন্য দল থেকে মনোনীত প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক যে খেলা চলছে তার নিয়ন্ত্রণ পুরোটা সরকারের কাছে নেই। যারা খেলছে তারাই এর ভবিষ্যৎ বলতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত খেলার মাঠ সরকারের দখলে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বদির আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ

আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার
 
বদি
স্ত্রী-ভাই-বোন ও নিজের কর্মচারীর কাছ থেকে আট লাখ টাকা ধার করে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করেছিলেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদি। জীবনে প্রথম সাংসদ হয়ে পাঁচ বছরে তাঁর আয় বেড়ে গেছে ৩৫১ গুণ। আর নিট সম্পদ বেড়েছে ১৯ গুণের বেশি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আওয়ামী লীগের বিতর্কিত এই সাংসদের জমা দেওয়া হলফনামা ও আয়কর বিবরণী পর্যালোচনা করে তাঁর আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির এই চিত্র পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, হলফনামায় সাংসদ বদি কেবল আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। এর বাইরে অপ্রদর্শিত অনেক অর্থ-সম্পদ রয়েছে।
সাংসদ বদি এবারও একই আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। তিনি গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া দলের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে আয়বিবরণী ও সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, গত পাঁচ বছরে আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকনাফে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে এ টাকা অর্জন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামা অনুযায়ী, সাংসদ বদির এখন বার্ষিক আয় সাত কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, তখন তাঁর বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। আর ব্যয় ছিল দুই লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা।  তখন (২০০৮) বিভিন্ন ব্যাংকে আবদুর রহমানের মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা। পাঁচ বছরের মাথায় এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ২৩৭ টাকা। তাঁর হাতে ২০০৮ সালের নভেম্বরে নগদ টাকা ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৪৮ টাকা। আর এখন ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া এখন স্ত্রীর কাছে নগদ টাকা আছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৫ টাকা।
২০০৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী, ওই নির্বাচনের ব্যয় মেটাতে বদি তাঁর স্ত্রী শাহীন আকতারের কাছ থেকে চার লাখ টাকা এবং বোন নাজমা আকতার, ভাই আমিনুর রহমান, আবু তাহের ও নিজের কর্মচারী মং উইন মিনথের কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে নিয়েছিলেন। তখন তিনি দোকান ও বাড়ি ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় দেখান এক লাখ ৭৬ হাজার ৮৮০ টাকা। ব্যবসা থেকে কোনো আয় ছিল না।
আর, এবারের (২০১৩) হলফনামায় বলেছেন, তিনি এখন বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় করছেন দুই কোটি আট লাখ ১৩ হাজার ৩২ টাকা। আর ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় পাঁচ কোটি ৩২ লাখ ৩১ হাজার ১১৬ টাকা।
পাঁচ বছর আগে তাঁর দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা দামের একটি অকেজো ল্যান্ড রোভার গাড়ি ছিল। এখন ওই গাড়ি ছাড়াও তাঁর ৬৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন।
গত ২১ নভেম্বর কক্সবাজার কর সার্কেলে দাখিল করা আয়কর বিবরণীতে বদি তাঁর মোট আয় দেখিয়েছেন সাত কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৮ টাকা। আর নিট সম্পদের পরিমাণ বলা হয়েছে নয় কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার। পাঁচ বছর আগে ২০০৮ সালের আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তখন তাঁর বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৮৮০ টাকা। আর নিট সম্পদ ছিল ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৩ টাকার।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় বদির কাছে নগদ টাকা ছিল না। নির্বাচন করার জন্য তখন তিনি ১০ লাখ টাকা চেয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছিলেন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি টেকনাফ স্থলবন্দরের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের চার ভাইসহ নিকটাত্মীয়দের কাজে লাগিয়ে বৈধ-অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন।
এ ছাড়া টেকনাফ সীমান্তে তৎপর মাদকদ্রব্য ইয়াবা চোরাচালান চক্রের সঙ্গে সাংসদ ও তাঁর নিকটাত্মীয়দের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি পাঁচ বছর ধরেই গণমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও মাদক চোরাচালানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সাংসদ বদি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম এসেছে। গত ১০ ডিসেম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেড় লাখ ইয়াবা বড়িসহ কয়েকজন চোরাকারবারিকে আটক করে। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাংসদ বদির ভাই আবদুস শুক্কুরকে আসামি করে থানায় মামলা করে বিজিবি।
অবশ্য আবদুর রহমান বদি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ইয়াবা চোরাচালানে তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ জড়িত নয়। মাদক কারবারিরা নিজেরা রক্ষার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মিয়ানমারের আকিয়াব থেকে টেকনাফকেন্দ্রিক চোরাই কাঠের ব্যবসা ও চিংড়ি ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করেন সাংসদ বদি। এসব অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি বৈধ ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন। শীর্ষস্থানীয় করদাতা হিসেবে পর পর দুবার সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।

ফুলে-ফেঁপে উঠেছে সম্পদ

নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা থেকেই ক্ষমতায় থেকে সম্পদশালী হওয়ার অসংখ্য উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে।মন্ত্রী-সাংসদদের একটি অংশ পাঁচ বছরে অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়েছে। ক্ষমতা নামের আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ বদলে দিয়েছে তাঁদের স্ত্রীদেরও। অথচ দৃশ্যমান তেমন কোনো আয় অনেকেরই নেই।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার শর্ত হিসেবে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা থেকে তাঁদের স্বেচ্ছায় ঘোষিত এই সম্পদের হিসাব জানা গেছে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে এসব তথ্য সাধারণের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
নতুন এই তথ্যের সঙ্গে আগের নির্বাচনের সময় ২০০৮ সালে দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মন্ত্রী-সাংসদদের অনেকেই অতি দ্রুত সম্পদশালী হয়েছেন। কেউ কেউ পাঁচ বছরে একাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। এই সরকারের পাঁচ বছরে শেয়ারবাজারে যত বড় কেলেঙ্কারিই ঘটুক, মন্ত্রী-সাংসদদের একটি অংশ সেখানে বিনিয়োগ করতেও পিছপা হয়নি।
আব্দুল মান্নান খান (ঢাকা-১): আব্দুল মান্নান খান ছিলেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী। একসময়ের বাম রাজনীতি করা আব্দুল মান্নান খান পাঁচ বছরেই অস্বাভাবিক অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনকে তিনি যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে দেখা যায়, নিতান্তই সাধারণ জীবন যাপন করতেন তিনি। কিন্তু পাঁচ বছরেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে তাঁর। ২০০৮ সালে এই আয় ছিল ২৬ লাখ ২৫ হাজার, নির্ভরশীলদের কোনো আয়ই ছিল না। পাঁচ বছর পর তিনি ও তাঁর স্ত্রী বা অন্য নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় হয়ে গেছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
আয়ের তুলনায় আব্দুল মান্নান খানের পরিবারের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে বহুগুণ। পাঁচ বছর আগে তাঁর সম্পদ ছিল প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকার। আর এখন সেই সম্পদ হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকার। পাঁচ বছরে ১০৭ গুণ বেশি সম্পদ বাড়ার এটি একটি নতুন রেকর্ড।
আব্দুল মান্নান খানের আয়ের বড় উৎস হচ্ছে মৎস্য ও প্রবাসী-আয়। এখান থেকে তাঁর আয় এক কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। একই খাতে তিনি নির্ভরশীলদের আয় দেখিয়েছেন এক কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এই আয়ের কোনো বিস্তারিত বিবরণ তিনি কোথাও দেননি।
মান্নান খানের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নিজের ও স্ত্রীর কাছে নগদ ৫৫ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত হিসেবে নিজের নামে ৪৩ লাখ ও স্ত্রীর নামে সাড়ে ছয় লাখ টাকা এবং ৪৪ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া পাঁচ একর কৃষিজমি। এ ছাড়া নিজ নামে ৩১ লাখ ৭৪ হাজার এবং স্ত্রীর নামে এক কোটি ৬৪ লাখ টাকার অকৃষি জমি রয়েছে। তাঁর আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের মূল্য এক কোটি ৮১ লাখ টাকা। অ্যাপার্টমেন্টের দাম এক কোটি ৮১ লাখ টাকা। মাছের খামার পাঁচটি থাকলেও তার মূল্যমান উল্লেখ করেননি।
মির্জা আজম (জামালপুর-৩): আওয়ামী লীগের এই সাংসদের নামে বিভিন্ন সময়ে মোট নয়টি মামলা থাকলেও সব কটি মামলা থেকে খালাস অথবা অব্যাহতি পেয়েছেন। তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম মির্জা রাইস মিল অ্যান্ড পোলট্রি ফিড ট্রেডিং ও মির্জা পোলট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিড ট্রেডার্স।
মির্জা আজমের বার্ষিক আয় কৃষিতে ৬৬ হাজার, মাছ থেকে ছয় লাখ ৩৭ হাজার, পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে দুই লাখ ৯৫ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর আয় ছিল চার লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রীর কাছে নগদ ১৮ লাখ টাকা করে জমা আছে। ব্যাংকে আছে ১১ লাখ টাকা। পুঁজিবাজার ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। স্থায়ী আমানত হিসাবে রয়েছে ৮৪ লাখ টাকা। তাঁদের গাড়ির মূল্য ৮৩ লাখ টাকা। অন্যান্য সম্পদের পরিমাণ ২৩ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮০ লাখ টাকার মতো। তবে পুঁজিবাজারে তাঁর কোনো বিনিয়োগ ছিল না।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে কৃষিজমির মূল্য ২০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে চার একর জমির মূল্য নয় লাখ ৯৫ হাজার টাকা, অকৃষিজমির মূল্য দুই কোটি ৮৯ লাখ টাকা, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের মূল্য এক কোটি ২১ লাখ এবং অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য তিন কোটি ৭১ লাখ টাকা। ঋণের পরিমাণ ১১ কোটি টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ছিল ২০ লাখ টাকার মতো।
সব মিলিয়ে ২০০৮ সালে মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রীর মোট সম্পদ ছিল এক কোটি ৯১ লাখ টাকার। আর এখন সেই সম্পদ বহুগুণ বেড়ে হয়েছে ১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার।
নুর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১): পাঁচ বছরে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় নূর-ই-আলম চৌধুরী। তাঁর স্ত্রীও তাঁরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সম্পদশালী হয়েছেন।
বর্তমানে বার্ষিক আয় ১০ কোটি টাকার মতো। অথচ ২০০৮ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল মাত্র চার লাখ ৪৮ হাজার টাকা। আবার ২০০৮ সালে দেওয়া হলফনামায় তাঁর স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। আর এখন তাঁর স্ত্রীর আয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। বর্তমানে তাঁর অস্থাবর সম্পদের আর্থিক মূল্য ২২ কোটি টাকার মতো। একই খাতে ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদের আর্থিক মূল্য ছিল ২৭ লাখ টাকার মতো। বর্তমানে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির আর্থিক মূল্য এক কোটি ৬০ লাখ টাকার মতো। ২০০৮ সালে এই খাতে তাঁর সম্পদের আর্থিক মূল্য ছিল ১০ লাখ টাকার মতো।
জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩): সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের নামে বিভিন্ন সময়ে ১৪টি মামলা ছিল। বর্তমান সরকারের মেয়াদে তিনি সব মামলা থেকে অব্যাহতি অথবা খালাস পেয়েছেন। মন্ত্রী হওয়ার পর পাঁচ বছরে তিনিও যথেষ্ট সমৃদ্ধিশালী হয়েছেন। তবে তাঁকেও ছাড়িয়ে গেছেন তাঁর স্ত্রী।
পাঁচ বছর আগেও এই দম্পতির সম্পদ ছিল এক কোটি টাকারও কম। এখন সেই সম্পত্তির পরিমাণ হয়েছে সোয়া আট কোটি টাকা। এর মধ্যে স্ত্রীর সম্পদ হচ্ছে পাঁচ কোটি টাকা। অথচ এর আগের হলফনামা অনুযায়ী, সাবেক প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর ছিল মাত্র ৫২ লাখ টাকা।
জাহাঙ্গীর কবির নানকের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে নগদ ১১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা এবং সঞ্চয়ী আমানত ২৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। তাঁর যানবাহনের আর্থিক মূল্য ৬৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে নগদ ৮১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৭৯ লাখ, পুঁজিবাজারে এক কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আছে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল সাত লাখ ৪৩ হাজার টাকা। একই সময়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রীর কাছে নগদ ছিল ১১ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল আড়াই লাখ, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ছিল ছয় লাখ টাকা।
নানকের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে কৃষিজমি দুই একর (মূল্য অজানা)। তাঁদের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের দাম এক কোটি ৩০ লাখ, স্ত্রীর নামে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অগ্রণী ব্যাংকে তাঁদের দেনার পরিমাণ দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর কোনো বাণিজ্যিক বা আবাসিক ভবনের উল্লেখ ছিল না।
ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০): সাংসদ ফজলে নূর তাপসের বার্ষিক আয় দুই কোটি ১১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। অথচ ২০০৮ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২২ লাখ টাকা। পেশায় আইনজীবী ফজলে নূরের আয় হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা। অন্যান্য আয় এসেছে কৃষি খাত, পুঁজিবাজার ও অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে।
তাপসের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ছয় কোটি দুই লাখ ৭৬ হাজার টাকা, ব্যাংকে ছয় কোটি দুই লাখ ৩৯ হাজার, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ৩২ কোটি ১৪ লাখ এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ তিন কোটি তিন লাখ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার। আসবাবের মূল্য ১১ লাখ। তাপসের স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ২৪ লাখ ৭২ হাজার এবং পুঁজিবাজার ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আছে ৭০ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর কাছে নগদ ছিল ৮৯ লাখ টাকা। ব্যাংকে ছিল এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ছিল তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা।
তাপসের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে কৃষিজমির পরিমাণ দুই বিঘা (মূল্য উল্লেখ নেই), মতিঝিলে একটি ভবন (মূল্য উল্লেখ নেই), ১০ কাঠা অকৃষিজমির মূল্য দুই কোটি ৪৬ লাখ, অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য এক কোটি চার লাখ এবং চা ও রাবার বাগানের মূল্য ১২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে একটি প্লটের মূল্য এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা, রাবার ও চা-বাগানের মূল্য এক কোটি দুই লাখ টাকা। ২০০৮ সালে তাপস বা তাঁর স্ত্রী কোনো অ্যাপার্টমেন্ট এবং চা বা রাবার বাগানের মালিক ছিলেন না।
হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭): পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদের তুলনায় বেশি সম্পদশালী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। হাছান মাহমুদের বার্ষিক আয় ১৮ লাখ টাকার বেশি। আর স্ত্রীর আয় প্রায় দুই কোটি টাকা। ২০০৮ সালে তাঁদের বার্ষিক আয় ছিল ১৯ লাখ টাকার কিছু বেশি।
হাছান মাহমুদের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ছয় লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা আট লাখ, নয় লাখ টাকার শেয়ার, ৬৬ লাখ টাকার একটি গাড়ি ইত্যাদি। তাঁর স্ত্রীর কাছে রয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার। ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রীর কাছে নগদ ও ব্যাংকে জমা মিলিয়ে মোট ৬০ হাজার টাকা ছিল, কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। বর্তমানে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির দাম চার কোটি টাকার মতো।
ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ (ঢাকা-১৬): সরকারদলীয় সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ পাঁচ বছর আগে কৃষি থেকে ২১ লাখ টাকা আয় করলেও এখন কৃষি থেকে তাঁর কোনো আয় নেই। ব্যবসা থেকে তাঁর আয় ছিল ৩০ লাখ টাকা। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। এ টাকা তিনি মৎস্য প্রকল্প থেকে আয় করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। আগে বাড়িভাড়া থেকে কোনো আয় না হলেও বর্তমানে ২৮ লাখ টাকার বেশি আয় করেন। বর্তমানে এই সাংসদের মোট বার্ষিক আয় পাঁচ কোটি ৪২ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৬ টাকা।
পাঁচ বছর আগে ইলিয়াস মোল্লাহ্র অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল এক কোটি পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। পাঁচ বছরে তা বেড়ে হয়েছে সাত কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৯৩৩ টাকা। আগে কোনো গাড়ি না থাকলেও এখন তিনি দুটি গাড়ির মালিক। হলফনামায় গাড়ি দুটির নিবন্ধন নম্বর দেওয়া হলেও মূল্য লেখা হয়নি। এর আগের হলফনামায় স্ত্রী বা নির্ভরশীলের নামে ৭৫ লাখ নগদ টাকা দেখানো হলেও এবারের হলফনামায় স্ত্রীর নামে কোনো নগদ অর্থ দেখানো হয়নি।
নজরুল ইসলাম (নারায়ণগঞ্জ-২): নির্বাচনী হলফনামা অনুসারে তাঁর বার্ষিক আয় ৯৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে মৎস্য চাষ থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৪৩ লাখ ২০ হাজার এবং কৃষি খাত থেকে ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে ছিল বার্ষিক আয় পাঁচ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এর মধ্যে স্ত্রীর নামে রয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে ছিল ১৭ লাখ টাকা। আর স্থাবর সম্পত্তি তিন কোটি ৮২ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে ছিল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ জমি, যার মূল্য দেখানো ছিল চার লাখ ৬০ হাজার টাকা।
দীপংকর তালুকদার (রাঙামাটি): পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের বার্ষিক আয় ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। আয়ের উৎস ব্যবসা ও বাড়িভাড়া। ২০০৮ সালে এই আয় ছিল সাত লাখ টাকা।
প্রতিমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের আর্থিক মূল্য দুই কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ ছয় লাখ ৭৩ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং মোটরযানের দাম ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদের আর্থিক মূল্য ছিল মাত্র সাত লাখ ৭৯ হাজার টাকা।
দীপংকর তালুকদারের স্থাবর সম্পত্তির আর্থিক মূল্য এক কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে আছে পূর্বাচল নতুন শহরে ১০ কাঠা জমি (৩১ লাখ ৪০ হাজার ) এবং রাঙামাটির চম্পকনগরের পাঁচতলা বাড়ি (৮৯ লাখ ৩২ হাজার)। ২০০৮ সালে স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে চম্পকনগরের বাড়িটি। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর সম্পদের মূল্য ৬০ লাখ টাকার বেশি। অথচ ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৪৯ হাজার টাকা ও ২৫ ভরি স্বর্ণ (দুই লাখ ৫০ হাজার)।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আব্দুল মান্নান খান, মির্জা আজম, নূর-ই-আলম চৌধুরী ও ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কেউ ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা দেওয়া হলেও কোনো উত্তর তাঁরা দেননি।
[প্রতিবেদন তৈরি করেছেন হারুন আল রশীদ, মানসুরা হোসাইন, মোশতাক আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, পার্থ শঙ্কর সাহা, কুন্তল রায় ও মোছাব্বের হোসেন।]