Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Monday 30 March 2020

BD Business Group Beside govt



করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারকে সহযোগিতা
করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে
দিয়েছে বাংলাদেশ আর্মি, বাংলাদেশ নেভি, বাংলাদেশ
এয়ার ফোর্স, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস
অ্যাসোসিয়েশন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি,
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বসুন্ধরা গ্রুপ,
ওরিয়ন গ্রুপ, নাভানা গ্রুপ, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স,
আবুল খায়ের গ্রুপ, সামিট পাওয়ার লিমিটেড,
কনফিডেন্স পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, দ্য ওয়েস্টিন
হোটেল, সিএমসি চায়না,লা মেরিডিয়ান, প্রিমিয়ার গ্রুপ,
ওয়ালটন গ্রুপ 

Wednesday 25 March 2020

বিকল্প জরুরি অবস্থা।। রেল,আকাশ ও নদীপথ বন্ধন।। 26 তারিখ থেকে বন্ধ সড়ক পথ

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ সন্ধ্যার পর থেকে ট্রেন, বিমান ও নৌযান চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।রাজধানী ঢাকার সাথে সকল জেলায় চলাচলকারি ট্রেন, বিমান ও নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে । আগামী ২৬ মার্চ থেকে বাস চলাচল বন্ধ হবে । খবর সরকারি বার্তা সংস্থা বাস।
মঙ্গলবার দুপুরে রেলভবনে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘ করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে আজ সন্ধ্যার পর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেন সীমিত পরিসরে চলাচল করবে।’
এদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভিডিও বার্তায় গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেন।
বার্তায় তিনি বলেন, দেশের মানুষ, যাত্রীসাধারণ, গাড়ির মালিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহনে এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহনে কোনও যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে যাত্রীবাহি নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তবে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়স্থ অফিস থেকে এক ভিডিও বার্তায় এসব তথ্য জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় লঞ্চসহ যাত্রীবাহি নৌযান চলাচল করবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কার্গোর মাধ্যমে পরিবহন করা হবে। এ্যাম্বুলেন্স বা প্রয়োজনীয় যান পারাপারের জন্য ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করবে। ফেরিতে সাধারণ মানুষ পারাপারের ক্ষেত্রে নিষধাজ্ঞা থাকবে।
এদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নভেল করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে আজ মধ্যরাত থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের সব ফ্লাইটও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক বাসসকে বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশের সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

করোনার জরুরি তহবিলে 15 লাখ মার্কিন ডলার দিচ্ছে বাংলাদেশ


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলে অনুদান দেয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ভয়াবহ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠন করা হয়। সোমবার এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন, ‘কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলে ১৫ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য ও যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা কোভিড-১৯-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবো।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলে ১৫ লক্ষ মার্কিন ডলার দেয়ার ঘোষণার একদিন পর মোদি তার এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। খবর বাসসের।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে বিশ্বে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫০০ লোকের মৃত্যু এবং তিন লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে।
সম্প্রতি সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেন।
ভারত ভয়াবহ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রাথমিকভাবে তহবিলে এক কোটি মার্কিন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন রোববার বাসসকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলায় সার্ক সচিবালয় বরাবরে মৌখিকভাবে এই তহবিল অনুমোদন করেন।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্ক সচিবালয় ও ভারত সরকারের বরাবরে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের ১৫ লক্ষ মার্কিন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি বিষয়ে নোট ভারবাল পাঠাবে।
মন্ত্রী বলেন, এখন এই তহবিলের অর্থ করোনা মোকাবেলায় ব্যয় করা হবে। কিন্তু পরে এ অঞ্চলের জনগণের অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় এ তহবিলের অর্থ খরচ করা হবে।
এদিকে এই তহবিলে নেপাল ও আফগানিস্তান প্রত্যেকে ১০ লাখ মার্কিন ডলার এবং মালদ্বীপ ও ভুটান যথাক্রমে দুই লাখ ও এক লাখ মার্কিন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে বোনের দেখার পর মিলছে খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তি

ঢাকা, ২৪ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : পৃথক দূর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক আজ তাঁর গুলশানের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান

তিনি জানান, কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাঁকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার ৪০১ ধারায় তার দন্ড স্থগিত করে মুক্তির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হচ্ছে। তবে এই ছয় মাস তাকে নিজের বাসায় থাকতে হবে। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে তাঁকে বিদেশে পাঠানো মানে তাঁকে ‘সুইসাইডের’ মুখে ফেলা।
আইনমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চিকিৎসার জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যেতে পারবেন।
এর আগে বয়স ও অসুস্থতার কারণে তাকে মুক্তি দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকার মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। প্রথমে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে থাকলেও পরে চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবিদ্যালয় হাসপাতালে রাখা হয়। এখন সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে বয়স ও অসুস্থতার কারণে তাকে মুক্তি দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকার মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়।