Wednesday, 20 August 2025

এখনো অমীমাংসিত যেসব বিষয়

জুলাই সনদকে সংবিধানের উর্ধ্বে স্থান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এর চুড়ান্ত খসড়ায়। বলা হয়েছে, বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। এ ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ও এনসিপির মতপার্থক্য। কারণ বিএনপি ও এর মিত্ররা আপত্তি তুলেছে।

দলটির নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই হচ্ছে রাজনৈতিক সমঝোতা দলিল। কোনো সমঝোতা দলিলকে 'সুপ্রা কনস্টিটিউশনাল বা সংবিধানের উর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া যায় না। সেটা করা হলে খারাপ নজির তৈরি হবে।

এছাড়া জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলে খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যা-সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।

এই প্রস্তাব নিয়েও বিএনপির সঙ্গে অন্য দলগুলোর মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। বিএনপি প্রশ্ন তুলেছে, কোনো সমঝোতা দলিলের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়ার এই ভার সুপ্রিমকোর্টের ওপর দেওয়া যায় কি না?

কোনো নাগরিক যদি সনদের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাতে বাধা দেওয়া হলে নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হবে বলে বিএনপি নেতারা মনে করেন।

তারা এ-ও বলেন, এ ধরনের ব্যবস্থা থাকলে সেটা হবে কর্তৃত্ববাদী অবস্থান।

জামায়াত নেতা মি. তাহের মনে করেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে এর বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ থাকে। সেকারণেই তারা আইনি ভিত্তির ওপর জোর দিচ্ছেন।

এছাড়াও সংস্কারের প্রস্তাবের মধ্যে জাতীয় সাংবিধানিক কমিশন গঠন ও সংসদের উচ্চ কক্ষে ভোটের আনুপাতিক হারে বা পিআর পদ্ধতিসহ কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে বিএনপির আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্ট সহ খসড়া দলগুলোকে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলোতে বিএনপির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয় নি।

তবে জামায়াতসহ ইসলামপন্থি বিভিন্ন দল পিআর পদ্ধতির দাবিকে সামনে এনে আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।শেষপর্যন্ত এসব বিষয়ে দলগুলো তাদের অবস্থানে কতটা ছাড় দেবে, সে আলোচনা রয়েছে রাজনীতিতে।

AD BANNAR