আলাদা
রকমের দুর্বলতা। সামনে কিউই ফল থাকবে আর তা সানি খাবেন না এমনটা অসম্ভব।
তবে ফলের পাশাপাশি এই তারকার দুর্বলতা রয়েছে ফাস্ট ফুডের প্রতি।
এক নজরে সানি লিওন
(১) ১৯৮১ সালের ১৩ মে সারনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা পিতা মাতার আদি নিবাস পাঞ্জাবে, কিন্তু বসবাস ছিল বিদেশে।
(২) ছোটবেলা থেকেই সানি নানা প্রকার খেলাধুলা করতে পছন্দ করতেন। প্রাই সময় রাস্তার ছেলেদের সাথে স্ট্রিট হকি খেলতে দেখা যেত ছোট সানি।
(৩) ইন্দো-কানাডিয়ান ও আমেরিকান এই সাবেক পর্ন তারকা একাধারে অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী এবং মডেল। তিনি বিশ্বাস করেন দর্শকের মধ্যে পুরোপুরি জায়গা করে নিতে তার আরো কিছু সময় লাগবে। সানির আসল নাম কারেনজিৎ কউর ভোহরা। পর্দায় তিনি সানি লিওন নাম নিয়ে কাজ করেন।
(৪) বলিউডের এই আবেদনময়ী অভিনেত্রীর ছোটবেলা থেকেই পেডিয়াট্রিক নার্স হবার ইচ্ছা ছিল এবং সেই সংকল্পে পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে এই অভিনেত্রী মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমায় নাম লিখান।
(৫) এই অভিনেত্রীর কিউই ফলের প্রতি রয়েছে
(৬)বিগ বস দিয়ে ভারতের মাটিতে রাখেন এই অভিনেত্রী এমন ধারনা করা হলেও বিগ বসে অংশগ্রহন করার পূর্বে বেশ কয়েকবার ভারতে সে ঘুরে যান সানি।
(৭) প্রাপ্ত বয়স্কদের সিনেমায় শুধুমাত্র অভিনয়ই করেননি পরিচালনা ছাড়াও প্রযোজনা করেন এই বিতর্কিত তারকা। তিনি ৪১ টি প্রাপ্ত বয়স্কদের সিনেমা পরিচালনা করেন এবং ৪২টিতে তিনি নিজে অভিনয় করেন।
(৮)প্লে-বয় এন্টারপ্রাইজের মার্কেটিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এই বিতর্কিত তারকার।
(৯)’রাগিনী এমএমএস ২’ ছবিতে তিনি শুটিংয়ের ক্রুদের নিয়ে শুটিংয়ের জায়গা নির্বাচনে চষে বেড়িয়েছেন।
(১১)সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সানি জানান তিনি নিজ হাতে তার বান্ধুবীর অনাগত সন্তানের জন্য কম্বল বানিয়েছেন।
(১২)পর্ন দুনিয়ার প্রবেশের আগে তিনি জিফি লুব নামের একটি জার্মান বেকারি এবং পরে ট্যাক্স সংক্রান্ত একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
(১৩)ভূতকে ভয় না করলেও পোকা-মাকড়ে দারুণ ভয় পান এই বিতর্কিত তারকা।
(১৫)তিন বছর প্রেম করার পর ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেন সানি লিওন।
(১৬)বলিউডে আসার আগ দিয়ে ইউএসএ-তে ভারতীয় কমিউনিটি সানির প্রতি ঘৃণা পোষণ করে মেইল পাঠাতো। আবার এখন তারাই সানির বিষয়ে সন্তুষ্ট বলে মেইল করে জানিয়েছেন।
(১৭) সানি লিওনের আঙ্গুরের জুস খুবই প্রিয়।
(১৯) ২০০৫ সালে সানি সর্বপ্রথম এমটিভি অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে মেইনস্ট্রিমে আসেন।
(২০)তবে সানিকে দেখতে খুব পার্টি প্রিয় মনে হলেও প্রকৃত পক্ষে এই অভিনেত্রী পার্টির প্রতি রয়েছে বিতৃষ্ণা।
(২১)পুরুষদের জন্য প্রকাশিত বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘ম্যাক্সিম’ এর ২০১০ সালের জরিপে পর্ন ইন্ডাস্ট্রির টপ টুয়েলভ এর তালিকায় তার নাম চলে আসে।
এদিকে সূত্রমতে, সানি লিওন ভারতের রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের শারীরিক ও অর্থনৈতিক পণ্য হয়েই আধিপত্যবাদী চরিত্রের নারী হয়ে পড়েছেন। এমন কি ইদানিং ভারতের সাধারণ পুরুষদের জন্য তিনি নিজে কতটুকু আকর্ষণীয় এবং প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন তার প্রমাণ রেখেছেন। যৌবনের জোয়ারে ভারতীয় যুবদের আকৃষ্ট করতে বেছে নিয়েছেন অভিনব কৌশল। ধারণা করা হচ্ছে, সানির আয়ের সিংহভাগ চলে যায় ভারতের ঐ প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠী এবং মাফিয়াদের কাছে।
সম্প্রতি টিভি বিজ্ঞাপনে উত্তেজক সেক্স পণ্যের মডেল হওয়া এবং নিজেকে আবেদন ময়ীর অতি উচ্চ আসনে তুলে ধরতে ভারতীয় পুরুষদের উপর দাস প্রথার দর্শন তুলে ধরেছেন এই সানি লিওন। গলায় লোহার চেন পরিয়ে তার লাগাম রেখেছেন নিজের হাতে। পাশাপাশি সানির বক্তব্যও পুরুষ হৃদয়ে শিহরণ জাগাবে! ‘ভারতীয় পুরুষরা এত ভয় পায় কেন? ভয় কাটান!’ পরামর্শ দিচ্ছেন কানাডিয়ান এই পর্নস্টার। সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে সানির এই রূপ রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে পুরুষমহলে। ম্যাগাজিনের কভারে সানিকে দেখা যাচ্ছে এক ভারতীয় পুরুষের গলায় লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে টেনে ধরে রয়েছেন। চোখেমুখে কর্তৃত্বের ভঙ্গি। আর প্রচ্ছদে সানির মুখে বসানো বক্তব্য, ‘ভারতীয় পুরুষেরা এত ভিতু কেন? আমি যা খুশি তাই করি, আপনিও তাই করুন। পরামর্শ ম্যাক্সিম-এর বিচারে বিশ্বের অন্যতম সেরা পর্নস্টারের।