ডেস্ক রিপোর্ট কথায় আছে, ললনাদের মন বোঝা দায়। মার্কিন মডেল-উপস্থাপিকা-অভিনেত্রী কিম কার্দাশিয়ানের ক্ষেত্রে সে কথা শতভাগ সত্যি। এমন কোনো বিতর্কিত কাণ্ড-কারখানা নেই, তিনি করেননি। বিবসনা হয়ে ফটোশুট করা, প্লেবয় ম্যাগাজিনে প্রচ্ছদ হওয়া, ভক্তদের ওপর চড়াও হওয়া, অতি স্বল্প সময়ে ডিভোর্স দেয়া কিংবা বিয়ের আগেই সন্তানের মা হওয়া- এসব ঘটানো তার কাছে ডাল-ভাতের মতো ব্যাপার-স্যাপার। সর্বশেষ এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নিজেকে ভাড়া দেয়া !
পাঁচ লাখ ডলারের বিনিময়ে কিম কার্দাশিয়ান অস্ট্রিয়ান কোটিপতি রিচার্ড লুঙ্গারের
সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার জন্য ডেটিংয়ে যান। ডেটিংয়ের আগেই পুরো টাকা বাগিয়ে নেন
তিনি। কিন্তু শর্ত মোতাবেক রিচার্ড লুঙ্গারের সঙ্গে যথাযথ ব্যবহার করেননি
কিম। এ নিয়ে রিচার্ডের অভিযোগের শেষ নেই। তিনি জানান, কিমের সঙ্গ তিনি
মোটেও উপভোগ করেননি। তার ভাষায়, ‘কিম বেশ খিটমিটে স্বভাবের। সঙ্গে বদরাগীও
বটে। নিজের চাহিদাকেই প্রাধান্য দেন। শত অনুরোধকেও পাত্তা দেয়ার
মন-মানসিকতা নেই তার।’ চলতি মাসের শুরুর দিকে ডেটিংয়ে গিয়েছিলেন তারা।
ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ওই ডেটিংয়ের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে এক প্রতিবেদনে তুলে
ধরেছে মিড ডে ও ইন্ডিপেনডেন্ট।৮১ বছর বয়সী রিচার্ড সাংবাদিকদের জানান, নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা আগেই তার সঙ্গ ত্যাগ করেন কিম। এছাড়া তার সার্বিক আচরণেও চরম বিরক্ত তিনি। এদিকে ৩৩ বছর বয়সী কিম জানান, ডেটিংয়ের সময় অন্য এক ব্যক্তি তার সম্পর্কে আজেবাজে মন্তব্য করে তাকে অপমান করেন। কিন্তু রিচার্ড তার প্রতিবাদ করেননি। বরং তার পক্ষ অবলম্বন করেছেন। সে কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তিনি স্থান ত্যাগ করেন। এর আগে ২০০৭ সালে কিম প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে বিবসনা হয়ে মডেল হয়ে আলোচনায় আসেন। তারও আগে টিভি রিয়েলিটি শো ‘কিপিং আপ উইথ দ্য কার্দাশিয়ানস’র জন্য গর্ভাবস্থায় অর্ধনগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তোলেন তিনি। ২০১১ সালের আগস্টে কিম বাস্কেটবল খেলোয়াড় ক্রিস হামফ্রিসকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের মাত্র ৭২ ঘণ্টার মাথায় স্বামীকে তালাক দিয়ে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পরই তিনি প্রেমিক কেনি ওয়েস্টের সঙ্গে লিভ টুগেদার শুরু করেন। এ প্রেমিক যুগলের ঘরে নর্থ ওয়েস্ট নামের এক কন্যসন্তান রয়েছে। বিয়ে না করে মা হওয়ায় দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তার বিন্দুমাত্রও ভাবনা নেই। এদিকে সন্তান জন্মদানের পর বেশ ক্ষাণিকটা মুটিয়ে গেছেন কিম। এ নিয়ে কয়েকটি মার্কিন ট্যাবলয়েড পত্রিকা ঠাট্টা করে সংবাদ পরিবেশন করে। এতে চরম ক্ষুব্ধ হন কিম। তিনি মার্কিন পত্র-পত্রিকাগুলোকে নির্লজ্জ বলে আখ্যায়িত করেন। এ কারণে কিছুদিন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেয়া থেকে দূরে থাকারও প্রতিজ্ঞা করেন তিনি।
সন্তান জন্মের পর মায়ের ওজন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন কিম। কারণ সন্তান জন্মের পর শরীরের হরমোনের তারতাম্য ঘটে। তাই একজন নবজাতকের মা খুব সহজে মুটিয়ে যান। কিমের বেলায়ও ঠিক তাই ঘটেছে। তবে এ নিয়ে গণমাধ্যমের সমালোচনার বিষয়টিকে খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন কিম।
