বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম আশরাফুননেছা মোশারফের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার আন্তরিকভাবে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে।
সরকারি
সংবাদ সংস্থা- বাসস জানায়, বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য
নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের বেগম আশরাফুননেছা মোশারফের এক
প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা বর্তমান মহাজোট সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, আইনের শাসন ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অটুট রাখার স্বার্থে সরকার
স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর কখনো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। বাংলাদেশ
সুপ্রিমকোর্টের আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং নিম্ন আদালত হতে যখন যে
অবস্থায় যে বিচারিক আদেশ প্রদান করা হয়েছে সরকার সে আদেশ আইন সম্মতভাবে
প্রতিপালন করেছে।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে কোনো আদেশের
বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল/ রিভিশন দায়েরের
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি সরকার কোনো
হস্তক্ষেপ করেনি। বরং সুপ্রীম কোর্টের চাহিদা মোতাবেক আর্থিক স্বাধীনতা
প্রদান করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঔপনিবেশিক আমল
হতে বিচার ব্যবস্থার একটি অংশ তথা ম্যাজিস্ট্রেসী প্রশাসন ক্যাডারের জনবল
দিয়ে পরিচালনা হয়ে আসছিল। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় বর্তমান সরকারের
অঙ্গীকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচারকদের দ্বারা বিচার
কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে ফৌজদারি কার্যবিধির যথাযথ সংশোধনের মাধ্যমে
নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
শেখ
হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার আপীল বিভাগে ১৪ জন বিচারপতি নিয়োগ প্রদান
করেছে, যার মধ্যে ৫ জন বিচারপতি অবসর গ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে ৯ জন
বিচারপতি বিচারকার্যে নিয়োজিত আছেন। হাইকোর্ট বিভাগে ৫২ জন বিচারপতি এবং
নিম্ন আদালতে ৪৫৭ জন সহকারী জজ/জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদান
করেছে।
তিনি বলেন, জনগণের সুবিধার্থে বিভিন্ন উপজেলা
সদরে ২ যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ৮টি সহকারী জজ আদালত এবং ৬টি জুডিসিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থাপন/স্থানান্তর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে বিচারিক আদালতের
সংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বিচারিক আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধির
অংশ হিসেবে ৩টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও ৩টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ
আদালত গঠনের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি
বলেন, সম্প্রতি খুলনা, সিলেট ও রাজশাহীতে ৩টি মহানগর দায়রা আদালত, ৩টি
অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও ৬টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং সিলেট ও
বরিশালে ২টি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা ও দায়রা জজ পদ
মর্যাদায় ঢাকায় ১টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।