রাজশাহী-৫
(পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে চমক আসছে নতুন প্রার্থী
দিয়ে। অন্যদিকে বিএনপি বিভক্ত হয়ে আছে সাবেক সাংসদ নাদিম মোস্তফা ও গত সংসদ
নির্বাচনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মধ্যে।
সৌরভ হাবিব, বরেন্দ্র অঞ্চল
গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে পরাজিত করে এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা। তবে দলের একটি বড় অংশ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের হাজারো অভিযোগে অল্পদিনেই বিতর্কিত হয়ে পড়েন সাংসদ দারা। পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী বলেন, 'সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরদিন থেকেই আবদুল ওয়াদুদ দারা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। সংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের পাশে নিয়ে চলাফেরা শুরু করেন। তাই তার কাছ থেকে দূরে থেকে দলের জন্য করেছি। আগামী দিনে আমরা এমন একজন প্রার্থী চাই যিনি দলের জন্য কাজ করবেন; নেতাকর্মীদের পাশে থাকবেন।'
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জি এম হীরা বাচ্চু বলেন, 'সব সময় সংগঠনের নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি। যতদিন রাজনীতি করব, সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সংগঠনের নেতাকর্মী, পুঠিয়া-দুর্গাপুরবাসী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যদি চান, তাহলে ভবিষ্যতে সংসদ নির্বাচন করব। সংগঠন এবং পুঠিয়া-দুর্গাপুরবাসী আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আশা করি।'
এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী-৫ আসনের সাংসদ কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। তার ব্যক্তিগত সচিব বদিউজ্জামান বদিকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে স্যার কথা বলবেন না। এ ছাড়া এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মাঠ গোছাতে বলেছেন। আমি মাঠে আছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে ভোট করব।'
১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন সাবেক ছাত্রদল নেতা নাদিম মোস্তফা। তবে মামলা-সংক্রান্ত কারণে গত সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারেননি। এবার তিনি নির্বাচন করার সব প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা বলেন, 'এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে মামলা-সংক্রান্ত আর কোনো অসুবিধা নেই। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজশাহী-৫ আসনে আমার মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন আরও পাঁচ বছর আগেই। তখন থেকেই মাঠ গুছিয়ে রেখেছি। এ আসনে আর কারও মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই।' গত সংসদ নির্বাচনে এ আসনের বিএনপিদলীয় প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, 'গত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলাম। দলের দুঃসময়ে গতবার সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলাম। তাই দল আগামী দিনে আমাকেই মনোনয়ন দেবে বলে আশা করি।' নাদিম মোস্তফাকে মনোনয়ন দিলে কী ভূমিকা হবে আপনার_ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সেটা সময়ই বলে দেবে।'
কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিরাজুল করিম সনুও এবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ অধ্যাপক আবুল হোসেন এবার দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন।