পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানের পরিপন্থী হওয়া সত্ত্বেও অন্যায়ভাবে বেআইনি দাবি করা হচ্ছে। ওই দাবির অসিলায় গত দুইবারের হরতালে মানুষ হত্যা, নৈরাজ্য সৃষ্টি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার কারণে তাঁদের আটক করা হয়েছে।’
দীপু মনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সে আমন্ত্রণ এখনো আছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী জানাবেন, তিনি কখন সংলাপে প্রস্তুত। তিনি জানালেই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। আর সর্বদলীয় সরকার গঠনের সমস্ত প্রস্তুতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন। তিনি খুব শীঘ্রই সর্বদলীয় সরকার গঠন করবেন। আমরা আশা করি, সেখানে বিএনপি, অর্থাত্ বিরোধী দল অংশ নেবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি তাঁরা ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি ও হরতাল প্রত্যাহার করে নেবেন। আর এ কারণে সংলাপে কোনো প্রভাব পড়বে না। আসছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হবে। এর মাধ্যমে জনমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’
দীপু মনি বলেন, বিরোধী দলের ডাকা ‘অবৈধ’ হরতাল মোকাবিলায় জনমানুষের দল হিসেবে আওয়ামী লীগ অবশ্যই মাঠে থাকবে। সরকারও তাঁর দায়িত্ব পালন করবে, যাতে মানুষের জানমালের কোনো ক্ষতি না হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর শাহিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।