Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Saturday 9 November 2013

জিয়া খানের

ময়নাতদন্তের তথ্য গোপন!
জিয়া খানবলিউডের অকাল প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু-রহস্য দিনকে দিন ঘনীভূত হচ্ছে। শুরুতে তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলা হলেও গত অক্টোবর মাসে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন তাঁর মা রাবেয়া আমিন। সম্প্রতি এক খবরে ‘মুম্বাই মিরর’ জানিয়েছে, জিয়ার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার আলামত পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কোনো এক রহস্যময় কারণে সেই তথ্য চেপে যায় পুলিশ ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
ক্যালিনা ফরেনসিক ল্যাবরেটরি গত ১৬ আগস্ট জিয়ার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জিয়ার নখের নিচে মানুষের মাংসের কিছু অংশ পাওয়া গেছে। কাউকে খামচে ধরলেই কেবল এমনটা হওয়া সম্ভব। এ ছাড়া জিয়ার অন্তর্বাসে জমাট বাঁধা রক্ত পাওয়া গেছে বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, মৃত্যুর আগমুহূর্তে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন জিয়া খান। কিন্তু ময়নাতদন্তের গুরুত্বপূর্ণ এসব তথ্য চেপে যায় পুলিশ ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
জিয়া খান হত্যা মামলার আলামত হিসেবে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের ফরেনসিক মেডিসিন অ্যান্ড টক্সিকোলজি ডিপার্টমেন্টের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা চিকিত্সক আর কে শর্মার মতামতও দাখিল করেছেন জিয়ার মা রাবেয়া আমিন। পুলিশ ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা জিয়ার ময়নাতদন্তের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেপে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন চিকিত্সক শর্মা।
শর্মার মতে, জিয়ার নখের নিচে মানুষের টিসু পাওয়া গেলেও ডিএনএন পরীক্ষার মাধ্যমে সেই টিসু কার তা বের করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ। এ ছাড়া জিয়ার অন্তর্বাসে জমাট বাঁধা রক্ত পাওয়া গেছে। কিন্তু সেই রক্তও পরীক্ষা করা হয়নি। বরং সুকৌশলে গুরুত্বপূর্ণ এসব আলামত নষ্ট করা হয়েছে।
এদিকে রাবেয়ার আইনজীবী দীনেশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, ‘জিয়ার মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে নতুনভাবে তদন্তকাজ শুরুর আবেদন করা হয়েছে। জুহু পুলিশ শিগগির এই উদ্যোগ না নিলে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হব।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ জুন নিজ বাসা থেকে জিয়া খানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কয়েক দিন পর প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকে দায়ী করে জিয়ার লেখা সুইসাইড নোট খুঁজে পান তাঁর বোন। পরে সেটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন জিয়ার মা রাবেয়া আমিন। দুই দিন পর জিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় সুরজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিছুদিন জেলের চার দেয়ালে বন্দী থাকার পর ২ জুলাই জামিনে মুক্তি পান বলিউডের প্রভাবশালী ও বিতর্কিত অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলি। মৃত্যুর পর জিয়ার ঠোঁটের ডান পাশে ও হাতে আঘাতের চিহ্নসহ আরও কিছু কারণ দেখিয়ে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে ১ অক্টোবর বোম্বে উচ্চ আদালতে মামলা করেন জিয়ার মা অভিনেত্রী রাবেয়া আমিন।