Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 23 October 2013

আশরাফ-ফখরুলকে তারানকোর ফোন

আশরাফ-ফখরুলকে তারানকোর ফোন 

  জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার এ টেলিফোন আলাপে দেশের প্রধান দু'দলকে সংলাপের
মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারি ও বিরোধী দলের শীর্ষ দুই নেতাকে ফোন করেন। এ সময় আগামী নির্বাচন ও নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে দু'দলের সংলাপ ফলপ্রসূ হবে বলে জাতিসংঘ আশা করেছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনকালীন 'সর্বদলীয় সরকার' এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তাব দেওয়ার পরই অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো এই ফোন করলেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমাতে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত হয়ে পাঁচ মাস আগে ঢাকায় সফর করে যাওয়া তারানকো বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও দু'দলের মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলেন।
কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে ফোন করে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথমে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেন তারানকো। বিরোধীদলীয় নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব। এ সময় মির্জা ফখরুলের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেও ফোন করবেন বলে তারানকো নিজেই জানিয়েছেন।
এর পরপরই জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককেও টেলিফোন করে কথা বলেন বলে জানা গেছে। তবে সৈয়দ আশরাফুলের সঙ্গে তার কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। আওয়ামী লীগের কোনো সূত্রও এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি।
ফখরুলকে তারানকোর ফোন :মারুফ কামাল খান সাংবাদিকদের আরও বলেন, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে তারানকো রাজনৈতিক সংলাপ ফলপ্রসূ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। মির্জা ফখরুল নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠনে বিরোধীদলীয় নেতার প্রস্তাব তারানকোকে জানান। সংলাপের জন্য আওয়ামী লীগকে চিঠি পাঠানোর কথাও জানান তাকে।
তারানকো জানান, জাতিসংঘ খালেদা জিয়ার নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। দু'দলকে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে বলে আশা করছে জাতিসংঘ। সংলাপ ফলপ্রসূ হবে বলেও আশা করছে সংস্থাটি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব জানান, টেলিফোনে কথা বলার সময় জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব সংকট সমাধানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব চিঠি দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান।

-সমকাল

রিজার্ভ ১৭০০ কোটি ডলারের ওপর
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২৩-১০-২০১৩
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। আমদানি ব্যয় কমায় রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছে। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বর্ধিত ঋণ সুবিধার ১৪ কোটি ডলার ঋণ পেলে রিজার্ভ আরো বাড়বে।
গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়ায় ১ হাজার ৭১০ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ১ হাজার ২৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানমতে, বর্তমান সরকারের প্রথম ২২ মাস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ হাজার কোটি ডলারের ওপর ছিল। কিন্তু ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে রিজার্ভে বড় ধরনের ওঠানামা শুরু হয়। ওই বছরের অক্টোবরে রিজার্ভ ১ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছলেও তা স্থায়ী হয়নি। নভেম্বরে রিজার্ভ আবারো ৯০০ কোটি ডলারে নেমে আসে। ২০১২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ ৯০০ কোটি ডলারে অবস্থান করে। ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছে, তবে আকু পেমেন্টের পর তা আবার নেমে যায়। এপ্রিলে ১ হাজার কোটি ডলারের উপরে উঠলেও তা পুনরায় নেমে যায়। এর পর জুনে ১ হাজার কোটি ডলারের ওপরে উঠে যায়। তবে গত অর্থবছরজুড়েই রিজার্ভ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে অবস্থান করেছে। এর ধারাবাহিকতা চলতি অর্থবছরও অব্যাহত রয়েছে।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে রিজার্ভ ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার এবং আগস্টে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত কার্যক্রমের ফলে রেমিট্যান্সপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকিং পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উত্সাহিত করার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউস প্রতিষ্ঠা ও ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্টের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম বেগবান করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য উত্পাদন বিশেষত চালের উত্পাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে পণ্যটির আমদানি কমেছে। এছাড়া জ্বালানি তেলসহ আমদানিযোগ্য অন্যান্য পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হ্রাস পাওয়ায় এবং বিলাসদ্রব্যের আমদানি নিরুত্সাহিত হওয়ায়
সার্বিক আমদানি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ আইডিবির ঋণসহায়তার ফলেও আমদানি ব্যয়ের চাপ বর্তমানে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া বেসরকারি খাতে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণগ্রহণ অনুমোদন করায় বৈদেশিক মুদ্রার আন্তঃপ্রবাহ বেড়েছে।
- See more at: http://www.bonikbarta.com/first-page/2013/10/23/19899#sthash.u71jvbWA.dpuf
রিজার্ভ ১৭০০ কোটি ডলারের ওপর
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২৩-১০-২০১৩
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। আমদানি ব্যয় কমায় রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছে। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বর্ধিত ঋণ সুবিধার ১৪ কোটি ডলার ঋণ পেলে রিজার্ভ আরো বাড়বে।
গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়ায় ১ হাজার ৭১০ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ১ হাজার ২৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানমতে, বর্তমান সরকারের প্রথম ২২ মাস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ হাজার কোটি ডলারের ওপর ছিল। কিন্তু ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে রিজার্ভে বড় ধরনের ওঠানামা শুরু হয়। ওই বছরের অক্টোবরে রিজার্ভ ১ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছলেও তা স্থায়ী হয়নি। নভেম্বরে রিজার্ভ আবারো ৯০০ কোটি ডলারে নেমে আসে। ২০১২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ ৯০০ কোটি ডলারে অবস্থান করে। ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছে, তবে আকু পেমেন্টের পর তা আবার নেমে যায়। এপ্রিলে ১ হাজার কোটি ডলারের উপরে উঠলেও তা পুনরায় নেমে যায়। এর পর জুনে ১ হাজার কোটি ডলারের ওপরে উঠে যায়। তবে গত অর্থবছরজুড়েই রিজার্ভ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে অবস্থান করেছে। এর ধারাবাহিকতা চলতি অর্থবছরও অব্যাহত রয়েছে।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে রিজার্ভ ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার এবং আগস্টে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত কার্যক্রমের ফলে রেমিট্যান্সপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকিং পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উত্সাহিত করার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউস প্রতিষ্ঠা ও ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্টের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম বেগবান করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য উত্পাদন বিশেষত চালের উত্পাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে পণ্যটির আমদানি কমেছে। এছাড়া জ্বালানি তেলসহ আমদানিযোগ্য অন্যান্য পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হ্রাস পাওয়ায় এবং বিলাসদ্রব্যের আমদানি নিরুত্সাহিত হওয়ায়
সার্বিক আমদানি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ আইডিবির ঋণসহায়তার ফলেও আমদানি ব্যয়ের চাপ বর্তমানে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া বেসরকারি খাতে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণগ্রহণ অনুমোদন করায় বৈদেশিক মুদ্রার আন্তঃপ্রবাহ বেড়েছে।
- See more at: http://www.bonikbarta.com/first-page/2013/10/23/19899#sthash.u71jvbWA.dpuf