Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 23 October 2013

বিরোধীদলীয় নেতার প্রস্তাব দেশকে পেছনে নেবে

দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে মঙ্গলবার বিশাল জনসভায় হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাসস
দিনাজপুরের বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিরোধীদলীয় নেতার প্রস্তাব দেশকে পেছনে নেবে
সংবিধানের মধ্যে থেকেই আগামী নির্বাচন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, আমরা দেশকে সামনে নিয়ে যেতে চাই। আর বিরোধীদলীয় নেতা চান, দেশকে পেছনে ঠেলে দিতে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, সব দলকে নিয়ে তিনি নির্বাচনে যেতে চাইলেও তাতে বিরোধী দলই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। দেশ সংবিধান অনুযায়ীই চলবে। সংবিধানের মধ্যে থেকেই আগামী নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী
গতকাল মঙ্গলবার দিনাজপুর জেলা শহরের গোর-এ শহীদ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় আরও বলেছেন, 'আমরা সব দলকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। আর এ জন্য নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আমরা সব দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। বিরোধীদলীয় নেতার তা পছন্দ হলো না। উনি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের চান না। উনি ফিরে গেলেন অনেক পেছনে, ১৯৯৬ সালে। জনগণ আগে বাড়ে। এটা ২০১৩ সাল, আমরা জনগণকে নিয়ে উন্নয়ন করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি বিরোধী নেত্রীকে জিজ্ঞাসা করি, তিনি ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী পাঠিয়েছিলেন উনাকে মারার জন্য। তার জন্য এসএসএফের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। যে উপদেষ্টাদের তিনি তখন মারতে চেয়েছিলেন, তাদের তিনি এখন সরকারে আনতে চান।'
সরকারের গত পৌনে পাঁচ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে আবারও জঙ্গিবাদ ফিরে আসবে। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়েও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করব। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ব। এ সময় নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন কি-না জানতে চাইলে সমাবেশে উপস্থিত লোকজন হাত তুলে নৌকায় ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
দিনাজপুরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও তার জনসভাকে ঘিরে গোটা এলাকায় আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। গোটা নগরীতে উৎসবের আমেজ ছিল। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে এটি ছিল স্মরণকালের অন্যতম বৃহত্তম জনসমাবেশ। দুপুর ২টায় জনসভার পূর্বঘোষিত সময় থাকলেও তার অনেক আগে থেকেই দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী জেলাসহ দূরদূরান্ত থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জনসভায় আসতে শুরু করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। জনসভায় বিপুলসংখ্যক নারীর উপস্থিতিও দেখা গেছে। দুপুর ১টার মধ্যেই জনসভাস্থল হয়ে পড়ে লোকে লোকারণ্য। বিকেল নাগাদ মানুষের ভিড় ছাড়িয়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। জনসভাস্থলের পূর্বপাশের জেলা প্রশাসক অফিস ও জজকোর্ট এলাকা, পশ্চিমে সর্কিট হাউস, উত্তর পাশে পৌর ভবন ও রেলস্টেশন এবং দক্ষিণে শিশু পার্ক এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
এদিকে, জনসভাস্থলের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে লাগানো কয়েকশ' মাইকে জনসভার কার্যক্রম প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে সাউন্ড সিস্টেমের সমস্যার কারণে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শুরুর দিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে সমবেতদের অনেকেই তার বক্তব্য শুনতে পাননি। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দিনাজপুরের প্রবেশমুখের জেলাগুলোও অসংখ্য তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে সাজিয়ে তোলা হয়। পাশাপাশি গোটা এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চার জাতীয় নেতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতিকৃতিও শোভা পেয়েছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বর্তমান এমপি ও দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীর সমর্থকদের শোডাউনও ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকেল পৌনে ৩টায় হেলিকপ্টারযোগে দিনাজপুরে পেঁৗছান। পরে সার্কিট হাউসে বিশ্রাম শেষে জনসভার মাঠে উপস্থিত হয়ে সুইচ চেপে ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর জনসভায় যোগ দিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় তার বক্তব্য শুরু করেন।
আধঘণ্টার বেশি সময়ের বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়ে দিনাজপুরের সব আসনে জয়ী করায় এলাকাবাসীকে অভিনন্দন জানান। এলাকার উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিবরণ তুলে ধরে আগামী নির্বাচনেও দিনাজপুরবাসীর কাছে ভোট চান তিনি। এ সময় দিনাজপুর সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজে বাস দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের সময় দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবেই দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নে বিশ্বাস করি। আর বিএনপি দুর্নীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা দেশের জন্য পুরস্কার নিয়ে আসি। তারা নিয়ে আসে তিরস্কার। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন করে, আর বিএনপি এসে তা বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৬ সালে ১১ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছিল। এটা বিএনপির সহ্য হয়নি, তারা বন্ধ করে দিল। এবার ক্ষমতায় এসে আমরা প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি। মানুষ ঘরের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে।
গত ৫ মের হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেতাকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলাম। উনি সাড়া না দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন। হেফাজতকে উস্কে দিয়ে মসজিদের জায়নামাজে আগুন দিলেন, কোরআন শরীফ পোড়ালেন। ইসলামের ইতিহাসে এত কোরআন শরীফ কখনও পোড়েনি। কোরআন পুড়িয়ে ইসলাম রক্ষা করা যায় না।'
এ প্রসঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের দুর্নীতি, লুটপাট ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি আমলে কোনো ধর্মের মানুষই শান্তিতে বাস করতে পারেনি। মানুষ এখন শান্তিতে বাস করছে। এটা বিরোধী দলের নেত্রীর পছন্দ হয় না। যারা হাত কাটে, রগ কাটে, হাতুড়ি দিয়ে মানুষ হত্যা করে_ সেই শিবিরকেই উনি মদদ দেন। যেমন মদদ দিয়েছেন পঁচাত্তরের খুনিদের। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে উনি এই হত্যাকাণ্ডের রায়ের দিন হরতালও দিয়েছিলেন। কিন্তু জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা সে বিচারও করেছি।'
বিরোধী দল আইন, আদালত ও সংবিধান মানে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'উনি (খালেদা জিয়া) এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছেন। হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের ভেতরে আরেক সরকার করেছেন। এখন সাজার ভয়ে আদালতে উপস্থিত হন না।'
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কালরাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'যেদিন আমি শোকে কাতর হয়ে থাকি, সেদিন বিরোধী নেত্রী কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন। এটা তার আসল জন্মদিন নয়। সব হারিয়ে আমি আপনাদের সেবা করার জন্যই বেঁচে আছি। মানুষ একটা শোক সহ্য করতে পারে না। আমি একসঙ্গে এতগুলো শোক সইব কী করে!'
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর পরিচালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, ইকবালুর রহিম এমপি, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, সুলতানা বুলবুল এমপি, ড. আজিজুল হক এমপি, নূরুল ইসলাম সুজন এমপি, মাজহারুল হক প্রধান এমপি, জাসদের যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, আবু নাসের, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন খান, কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আজিম প্রমুখ। জনসভা মঞ্চে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোতাহার হোসেন, মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী যেসব স্থাপনা ও অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুতলবিশিষ্ট ড. এমএ ওয়াজেদ ভবন, আত্রাই নদীতে মোহনপুর ব্রিজের কাছে ১৩৫ মিটার দীর্ঘ রাবার ড্যাম নির্মাণ, দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলাধীন রানীরঘাটে টাঙ্গন নদীর ওপর নির্মিত ১০০ মিটার রাবার ড্যাম বোচাগঞ্জ, বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, পাঁচবাড়ী হাটে আত্রাই নদীর ওপর ১০০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি ব্রিজ, দিনাজপুর সরকারি কলেজের পাঁচতলা ভিতবিশিষ্ট চারতলা একাডেমিক কাম পরীক্ষা হল, বোচাগঞ্জ উপজেলায় আবদুর রউফ চৌধুরী অডিটোরিয়াম, বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩০ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, দিনাজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, সেতাবগঞ্জ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভিতবিশিষ্ট তিনতলা একাডেমিক ভবন, 'স্বাধীনতা স্তম্ভ' মুক্তিযুদ্ধে শহীদ 'শহীদ আসাদুল্লাহ স্কয়ার', বিরল পৌরসভা, আটগাঁও দাখিল মাদ্রাসা (একাডেমিক ভবন), রাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় নতুন একাডেমিক ভবন, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র মঙ্গলপুর, হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন-হাকিমপুর, কাঞ্চন হতে বিরল পর্যন্ত (৬ কিলোমিটার) মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজ ও বিরল হতে বিরল অর্ডার পর্যন্ত (৯ কিলোমিটার) মিটারগেজকে ব্রডগেজে রূপান্তর কাজ, 'সম্মুখ সমরের' মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ-হাকিমপুর, দিনাজপুর প্রেস ক্লাব কমপ্লেক্স ভবন, বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের গাঙর ব্রিজ, কাহারোল উপজেলা মৎস্য ভবন, বিরল উপজেলার হালজায় উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, বিরল উপজেলার ওকড়া দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন, সেতাবগঞ্জ পৌরসভা 'খ' শ্রেণী হতে 'ক' শ্রেণীতে উন্নীতকরণ এবং বোচাগঞ্জ উপজেলা ডাকবাংলো ভবন। একই সঙ্গে তিনি যেসব স্থাপনা ও অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরের প্রশাসনিক ভবন, দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড ইনফ্লুয়েন্স জোনসহ মাইনিং এলাকার মধ্যে বসবাসকারী ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসনের গৃহনির্মাণ প্রকল্প পার্বতীপুর দিনাজপুরভিত্তিক, দিনাজপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণকাজ, দিনাজপুর স্টেডিয়ামের সম্প্রসারিত ভবন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন বিরল দিনাজপুরভিত্তিক, তিনতলাবিশিষ্ট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন-হাকিমপুর-দিনাজপুর এবং বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা নদীর ওপর গাড়ীরঘাট ব্রিজ।
-সমকাল