Saturday, 17 May 2014

লঞ্চডুবি: মেঘনায় উদ্ধার অভিযান ফের শুরু

লঞ্চডুবির ঘটনায় শনিবার আরো ১৪টি লাশ উদ্ধারের পর সকাল ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছিল বিআইডব্লিউটিএ।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
লঞ্চডুবি: মেঘনায় উদ্ধার অভিযান ফের শুরুমুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার দৌলতপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় শনিবার আরো ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে উদ্ধার হওয়া লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ এ।
দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর শনিবার ভোর ৪টার দিকে এমভি মিরাজ-৪ নামের লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গজারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক সমকালকে জানান, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বমোট ৪৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ক্রেনের সাহায্যে লঞ্চটিকে শনিবার ভোরে মেঘনা পাড়ে দৌলতপুর চরে তুলে আনে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রথম দিনে ১৬, দ্বিতীয় দিনে ১৫ এবং সর্বশেষ শনিবার আরো ১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে উদ্ধার পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ।
তবে স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস ও নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের দাবির মুখে ৩ ঘণ্টা পর বেলা ১২টার দিকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস বলেন, "একজন যাত্রী নিখোঁজ থাকা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলতে হবে। লঞ্চডুবিতে অসহায় মানুষরা চান শুধু তাদের প্রিয়জনের লাশটিই। কাজেই কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ থাকা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতার সমাপ্তি টানতে দেওয়া যাবে না।"
 
তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দৌহা খন্দকারের নির্দেশে ফের মেঘনায় উদ্ধার তৎপরতায় নেমেছে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরিদল।
 
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঝড়ের কবলে গজারিয়ার মেঘনাবক্ষে ২ শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি মিরাজ-৪ লঞ্চটি ডুবে যায়। ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর-চন্দ্রীপুর-ওয়াপদা যাচ্ছিল লঞ্চটি।

খড়কুটোর মতো ভেসে গেল কংগ্রেস

দায় স্বীকার করলেন সোনিয়া-রাহুল
ভারতের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছিল দলটি। স্বাধীনতার পর বেশিরভাগ সময় ক্ষমতায়ও ছিল। স্বাধীন ভারতে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের কেউ না কেউ।
নয়াদিলি্ল প্রতিনিধি
খড়কুটোর মতো ভেসে গেল কংগ্রেসভারতের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছিল দলটি। স্বাধীনতার পর বেশিরভাগ সময় ক্ষমতায়ও ছিল। স্বাধীন ভারতে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের কেউ না কেউ। ঐতিহ্যবাহী এই পরিবার থেকে তিন-তিনজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে ভারত। এবার হঠাৎ ভারতীয়রা সেই দলটির প্রতি এত বিমুখ হলো যে, খড়কুটোর মতো ভেসে গেল কংগ্রেস, কিন্তু কেন? লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের লজ্জাজনক পরাজয়ে এ প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছে। তবে পরাজয়ের পেছনে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, সুশাসনের অভাব, তরুণ ভোটার, গণমাধ্যমে বিরূপ প্রচার ও কেজরিওয়াল ফ্যাক্টর অন্যতম। এ ছাড়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সঠিক সময়ে কাজে লাগাতে না পারা, রাহুলের অনুজ্জ্বল প্রচারও অন্যতম।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় স্বীকার করে নিলেন দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং সহসভাপতি রাহুল গান্ধী। গতকাল শুক্রবার ১৬তম লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কংগ্রেসের বিশাল বিপর্যয়ের মুখে তারা এই দায় নিজেদের কাঁধে তুলে নেন। কংগ্রেস কেন এত শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলো_ এ প্রশ্নই এখন দলটির ভেতরে-বাইরে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। কারণ বহুমুখী হতে পারে। কোনোটিই অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষত, পরাজিত হওয়ার পর কোনো কারণকেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না। ২০০৪ ও ২০০৯ সালে পর পর দুটি নির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস এবারও ক্ষমতাসীন দল হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ায়। কিন্তু দলটির প্রস্তুতি ছিল অনুল্লেখযোগ্য। এক বছর আগে থেকেই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রাহুল গান্ধীরা সেই প্রস্তুতিকে উপেক্ষার চোখেই দেখেছেন। তারা নিজেরা যথাসময়ে প্রস্তুতি নেননি, প্রতিপক্ষের প্রস্তুতিকেও হালকা করে দেখেছেন। ফলে মাঠে নেমে নিজেদের আবিষ্কার করেছেন অনেক পেছনে।
টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে এমনিতেই অনেক বদনাম কুড়িয়েছিল ক্ষমতাসীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) প্রধান দল কংগ্রেস। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হ্রাস, একের পর এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ_ গত পাঁচ বছরে এসব দুর্যোগ পিছু ছাড়ছিল না কংগ্রেসের। এসব কারণে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তা একেবারেই আমলে আনেননি কংগ্রেস নেতৃত্ব, যার মাশুল দিতে হচ্ছে এখন। এ ছাড়া ভারতের ভোটারদের মধ্যেও ক্ষমতাসীনদের ফের ক্ষমতায় বসাতে অনীহা ছিল লক্ষণীয়। তারা পরিবর্তন চেয়েছিলেন। তাদের সামনে দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেসের একমাত্র বিকল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল বিজেপি।
নির্বাচনী কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার অনেক আগেই বিজেপি তাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম ঘোষণা করে। সংসদীয় গণতন্ত্রে এ ধরনের ঘোষণার রেওয়াজ নেই। তার পরও মোদিকে সামনে এনে বিজেপি ভোটারদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। ২০০২ সালের গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিতর্কিত হলেও রাজ্যে প্রভূত উন্নয়ন ঘটিয়ে অনেক আগে থেকেই পরিচিত ব্যক্তিত্ব মোদি। বিপরীতে কংগ্রেস জয়ী হলে কাকে প্রধানমন্ত্রী বানাবে_ জনতার এ কৌতূহলের কোনো উত্তর ছিল না। প্রবল জনজিজ্ঞাসার মুখে জবাব দেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন নির্বাচিত সাংসদরা। এটি আগে থেকে ঘোষণা দেওয়ার বিষয় নয়। জনতা এ জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি; বরং এতে তাদের কাছে দলটির অনীহা বা সিদ্ধান্তহীনতার চিত্র প্রকট হয়।
মিডিয়াও জানায়, দলের নির্বাচনী প্রচারের মূল দায়িত্ব নিতে রাজি হলেও রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে রাজি নন। অথচ এই রাহুলের ওপরই কংগ্রেস তাদের বাজি রেখেছিল গোটা পাঁচটি বছর। বিভিন্নভাবে তাকে দলে ক্ষমতায়ন করা হচ্ছিল। দলের ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসেবে দেখানো হচ্ছিল তাকে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যেই রাহুলের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছিলেন কারণে-অকারণে। যার পেছনে বাজি, তারই যদি এই মনোভাব হয় তবে ভোটারদের আর কী দোষ। তার ওপর বিজেপির প্রচার তো রয়েছেই। মোদি গোটা প্রচারকালে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকারকে 'মা-বেটার সরকার' বলে খুঁচিয়ে গেছেন। সরকারে না থেকেও দলীয় প্রভাবে মনমোহন সিংয়ের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মা ও ছেলের বিরুদ্ধে। মোদি ভোটারদের কাছে বিষয়টি চাতুর্যের সঙ্গেই তুলে ধরেছেন। কংগ্রেস তা খণ্ডাতে পারেনি।
বিজেপির মূল লক্ষ্য ছিল হিন্দিভাষী উত্তর প্রদেশ (৮০ আসন) ও বিহার (৪০ আসন)। মোদি অনেক আগেই উত্তর প্রদেশে তার ঘনিষ্ঠতম সহচর অমিত শাহকে দল গোছানোর কাজে পাঠিয়ে দেন। তিনি সেখানে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বের ধারণা ছিল, তারা কেন্দ্র থেকে সস্তায় খাদ্য দেওয়ার আইন করেছেন, শিক্ষার অধিকার আইন করেছেন_ এসবের ভিত্তিতেই ভোট পাবেন। এ ছাড়া মুজাফফরনগরে দাঙ্গার পর সব হিন্দু ভোট একত্র করার দিকে বিজেপি যে মনোযোগ দিয়েছিল, তা নজরেই পড়েনি কংগ্রেসের। বহু বিতর্ক সত্ত্বেও বিজেপি মোদির 'গুজরাট উন্নয়ন' মডেলকে যেভাবে তুলে ধরেছে, তাতে ভারতের ভোটারদের মধ্যে এই ধারণাই হয়েছে_ মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে গোটা দেশে এরকম উন্নয়নই হবে। অন্যদিকে, রাহুল কোনো দিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব নিতে চাননি। তিনি কী পারেন, কী পারেন না তা তো জানতেই পারলেন না ভোটাররা।
ভারতের এবারের ভোটারদের ৭০ শতাংশই তরুণ। তাদের কাছে মোদি এমন এক স্বপ্ন তুলে ধরেছেন যে, তিনি দেশের সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তরুণরা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য যা চায়, তাই হাজির করবেন তিনি। দেশের শিল্পগোষ্ঠীও ইউপিএ সরকারের অচলাবস্থায় বেজায় ক্ষুব্ধ ছিল। তারাও চাইছিল মোদির মতো একজন তেজস্বী নেতা, যিনি দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বিপরীতে রাহুল প্রভাবশালী এই শিল্পগোষ্ঠীর জন্য কোনো বার্তা দিতে পারেননি। অন্য সব খাতের মতো এ বিষয়টিও তিনি হালকাভাবে নিয়েছেন। দেশের তরুণরা, শিল্পপতিরা রাহুলের ওপর ভরসা করতে পারেননি। তাই এখন কঠিন সময় রাহুলের জন্য।হারের দায় স্বীকার করে নিলেন সোনিয়া, রাহুল নয়াদিলি্লতে এক সংবাদ সম্মেলনে লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, 'আমরা জানি, জয় এবং পরাজয় গণতন্ত্রেরই অংশ।' কংগ্রেসের সহসভাপতি পুত্র রাহুলের কথার প্রতিধ্বনি করে তিনি বলেন, 'আমরা জনগণের এ সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আমি এই পরাজয়ের দায় স্বীকার করছি।' এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাহুল।
গতকাল অনেক নেতাই রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পর দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। রাহুলের রাজনৈতিক দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
রাহুলও একই দিনে কংগ্রেসের ব্যর্থতায় নিজের দায় স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, 'আমি নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে কথা শুরু করতে চাই। এই দেশের জনসাধারণ তাদের দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা বেশ খারাপ করেছি। সহসভাপতি হিসেবে আমি নিজেকেই দায়ী মনে করি।'ছয় সপ্তাহের দীর্ঘ লোকসভা নির্বাচনে ৯ দফা ভোটের পর গতকাল নির্বাচনী ফলে ভারতীয় জনতা পার্টিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হতে দেখা যায়। আর ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটে কংগ্রেসের। এমনকি কংগ্রেস লোকসভায় বিরোধী দল হিসেবেও অবস্থান তৈরি করতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

Thursday, 15 May 2014

নূর হোসেনের ‘রক্ষিতা’ হতে চাননি নীলা



শফিকুল ইসলাম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থেক
তার হুমকিতে সংসার ভেঙেছি
প্রাণপ্রিয় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি
দিনে একাধিকবার ফোন দিত
২৮ এপ্রিলের পর আর ফোন দেয়নি

শফিকুল ইসলাম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ফিরে
কাউন্সিলর নূর হোসেনের রক্ষিতাহইনি বলেই সব হারিয়ে আজ আমি নিঃস্বনূর ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের অব্যাহত হুমকি আর অপপ্রচারে এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আমিসাজানো গোছানো সংসার ভেঙেছি, প্রাণপ্রিয় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছিপ্রায় এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বললেন নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা
ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি নূরের চোখে সুন্দরী; আর এটাই আমার অপরাধ জন্য আমার জীবন এখন অভিশপ্তনূর হোসেনের কুনজরে পড়ে সর্বস্বান্ত আমিএলাকার প্রায় সবাই আমাকে নূরের স্ত্রী হিসেবে জানলেও আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক-অধিকার নেইস্বামীর জীবন রক্ষা ও সন্তান যেন বাবাহারা না হয়; সেজন্য জীবনের বিনিময়ে সূক্ষ্মচাতুরী করতে হয়েছে দীর্ঘদিনহোটেল শেরাটনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাতযাপন এবং একই সঙ্গে ভারত সফর প্রসঙ্গে কাউন্সিলর নীলার দাবি, তখন আমার মেয়ের বয়স (অফিয়া জাহান সুমাইতা) ৫ বছরতাকে দার্জিলিংয়ের একটি স্কুলে ভর্তির প্রয়োজনে ভারত যাওয়া হয়ভর্তির সময় নূর হোসেন আমার সন্তানের অভিভাবক হিসেবে স্বাক্ষরও করেন তবে তার আরেক বন্ধুর ফ্যামিলির সঙ্গে যাওয়ার কারণে পাশাপাশি রুমে থাকলেও কোনো অঘটন ঘটেনিআর হোটেল শেরাটনে রাতে থাকলেও আলাদা ছিলাম দুজনআমি খাটে ঘুমিয়েছে আর নূর হোসেন সোফায়কারণ জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে মদ খেয়ে ওই রাতে মাতাল ছিল নূর হোসেনবিয়ে না করেও গোপনে কোনো স্থানে এক সঙ্গে যাওয়া-থাকা উচিত হয়েছে কি না বর্তমানের এমন প্রশ্নে বলেন, “নূর কথা দিয়েছিলসে শুধু আমাকে দেখবে; কিছু চাইবে নাসত্য বলতে কীআমার মতো মেয়ে নূর হোসেনের মতো লোককে পছন্দ করার মতো কিছু নেই৫৪ বছর বয়সের পুরুষকে ২৭ বছরের মেয়ের পছন্দ করার কথা নয়আর নূরের অর্থবিত্তের প্রতিও লোভ ছিল না আমার ছাড়া এলাকার সম্পর্কে নূর হোসেনকে চাচাডাকতাম আমি
কাউন্সিলর নীলা জানালেন, “নূরের সঙ্গে আমার তেমন সখ্য ছিল নাবাবা হাজী আবদুল মোতালেবের রাজনীতির সুবাদে (৩০ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি) পরিচয়২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর যোগাযোগ বাড়ে সময়ই তার লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আমার ওপরনানা কৌশলে পরিকল্পনা আঁটে আমাকেরক্ষিতাকরারনূর হোসেন প্যানেল মেয়রহিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে তার ঘনিষ্ঠহিসেবে আমাকে চিহ্নিত করেআমাকে প্রচারণায় নামিয়ে লবিয়িং করায়আমি তাকে (নূরকে) ফ্রি ভোট দিলেও অন্যদের একেকটি ভোটের বিপরীতে ৫ থেকে ১৯ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়েছে নূরযদিও এক ভোটের ব্যবধানে পরাজয় ঘটেছে নূরেরঅথচ নূরের খপ্পরে পড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল মেয়র প্রার্থী আমার উকিল বাবা নজরুল কাকার (নিহত কাউন্সিলর নজরুল) বিপক্ষে ছিলামপ্যানেল মেয়র নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই নূর চাচাপ্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে গায়ে পড়তে শুরু করেআমার বাবা হাজী আবদুল মোতালেব, স্বামী আবু সায়েমসহ আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও সখ্য গড়ে তোলেনা চাইলেও নানা ধরনের সহযোগিতার চেষ্টা করেনসিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যাওয়ার আগে বাড়ির সামনের রাস্তায় গাড়িসহ দাঁড়িয়ে ফোন করে এক সঙ্গে নিয়ে যেতেনএমনকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাতের দিন পৃথক গাড়ি পাঠিয়ে আমাকে বঙ্গভবনে এনেছিল নূরএর নেপথ্যের কারণ ছিলআমি যেন কারো পক্ষেরই না হয়ে (শামীম ওসমান কিংবা আইভী রহমানের) শুধু তার (নূরের) পক্ষেই থাকিনূরের আকাঙ্ক্ষা ছিল নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের এমপি-মেয়র হওয়ানূর হোসেন প্রায়ই অহঙ্কার নিয়ে বলতেন, শামীম ওসমান- আইভীর চেয়ে আমি অনেক বেশি টাকার মালিকজনপ্রিয়তা নয়; এখন টাকা থাকলেই সব হয়নমিনেশন-ভোট কেনা যায়আমার টাকার গন্ধে এমপি, ডিসি, এসপি, র্যাব, সার্কেল এসপি, ওসি, এসআইসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ক্যাডাররা ঘুরঘুর করেঅনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ না করে উল্টো চামচামি করে
নীলা জানান, “আমাকে পেতে নূর সূক্ষ্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে থাকেআমার মন জয় করতে কাজে অকাজে বাড়িতে গাড়ি পাঠিয়ে দিতেনসময় অসময়ে শিমরাইল ট্রাকস্ট্যান্ডের নূরের কাউন্সিলর অফিসে ডেকে পাঠাতেনকাজের অজুহাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে আজগুবি গল্প করতেনএকদিন বলেই বসলেন, নীলা আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি; এটা বোঝ নাতুমি চাইলে তোমাকে আলাদা বাড়ি গাড়ি দিয়ে রাজার হালেরাখতে পারিতুমি কখন আসতে চাও বলোনূর হোসেনের এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ করে বলিআপনি আমার চাচাবয়সের পার্থক্য দ্বিগুণ ছাড়া স্বামী-সন্তান নিয়ে সূখের সংসার আছে আমারকী প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক করব প্রতিবাদের পর আমি নূরের ফোন ধরা বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসিবাইরে বেরুনো একদম বন্ধ করে দেইএ সময় নূর তার সহযোগী আরিফুল হক হাসান ও শাহজাহানকে বাড়িতে পাঠায়একবারের জন্য হলেও নূর হোসেনের ফোন ধরতে বলেনএ সময় নূর হোসেন ফোন করে বলেন, নীলা তুমি আমার সম্পর্কে জানোযা বলি তার চেয়েও বেশি করিআমার কথা না শুনলে এবং কাছে না এলে বড় বিপদ হবে তোমারতুমি স্বামীকে আর তোমার সন্তান হারাবে বাবাকেএখন ভেবে সিদ্ধান্ত নাওতোমার স্বামী সন্তানের ভবিষ্যত্ কোনদিকে দেবে
নীলা জানান, এসব ঘটনার মধ্যেই নূর তার সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে এলাকায় নানা অপপ্রচার ছড়াতে থাকেএক সময় এলাকার মানুষের মুখে মুখে রটে যায়নূর হোসেন নীলাকে গোপনে বিয়ে করেছেএমন গুজব বিষয়টি আমাকে বড় দুশ্চিন্তায় ফেলেস্বামীসহ পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করিকিন্তু ইতিপূর্বেই নূরের ঘোষণা দেয়া স্ত্রী পরিচয়’-এর কারণে আমাকে আপনজনরাও অবিশ্বাস করতে থাকেআমার বিপদে পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো নানা ধরনের যন্ত্রণা দেয়আমাকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলেএরপর আমি আবারও নূরের বিভিন্ন প্রস্তাবের প্রতিবাদ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করিএবার আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে নূর হোসেনএকদিন ফোনে বলেন, ৩ দিনের মধ্যে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হবে নইলে তোমার প্রিয় সন্তানের মুখ থেকে আজীবনের জন্য বাবা ডাক বন্ধ হয়ে যাবে
নিরুপায় হয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই কিন্তু পরক্ষণেই চিন্তা করিনারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ নূর হোসেনের নির্যাতনের শিকারমানসিক-শারীরিকভাবে অনেকেই পঙ্গুবিচার চাইতে গিয়ে হামলা-মামলায় এলাকাছাড়াআমি বিচার চাইতে গেলে পরিণাম হয়তো আরও ভয়াবহ হবেকারণ থানা পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ ক্ষমতাধররাও নূর হোসেনের কেনা গোলাম জন্য কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি না করে বরং মেয়ে যেন বাবাহারা না হয়সেদিক বিবেচনায় নিয়ে সাজানো গোছানো সুখের সংসার তছনছ করিস্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনি
এর পরও আমি নূর হোসেনকে বিয়ে করিনিতবে ইচ্ছার বাইরে নূরের সঙ্গে কথা বলেছি, দেখা করেছিবিভিন্ন সময় নানা ধরনের জিনিসপত্র কিনে বাসায় পাঠিয়েছে নূর হোসেনএকদিন হঠাত্ করেই ৩২ লাখ টাকা দিয়ে একটি এলিয়ন গাড়ি কিনে ড্রাইভারসহ বাসায় পাঠিয়েছেযদিও তা ফেরত পাঠিয়েছি ছাড়া আমার নামের জমিতে বাড়ি তৈরির সময় কিছু ইট-সিমেন্ট-রড কিনে দিয়েছে নূর হোসেনআর যতটুকু দিয়েছে তার চেয়ে বেশি ঢাকঢোল পিটিয়েছেযাতে সবাই সত্যি মনে করে যে, আমি তার স্ত্রীফলে এখন এলাকার ছেলে বুড়োসহ কাউকেই আর বিশ্বাস করানো যাবে নাআমি তার স্ত্রী নইঅথচ সিটি করপোরেশনের ১ কোটি টাকা দরের এক ঠিকাদারি কাজ এবং ২ কোটি টাকা মূল্যের সয়াবিন মিল ও তেলের গোডাউন বিক্রির কমিশন বাবদ আমার পাওনা ছিল ৩৫ লাখ টাকা
কাউন্সিলর নীলা জানান, নূর হোসেন অশিক্ষিত হলেও শিক্ষিত ক্ষমতাধরদের ম্যানেজে পটু ছিলেনটাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছেনপ্রকাশ্যে মদের ব্যবসা করেছেনদখল- উচ্ছেদ চালিয়েছেন ইচ্ছেমতোহাইকোর্টে অগ্রিম রিট করে বছর ধরে অশ্লীল নৃত্য-যাত্রা চালিয়েছেনজুয়ার আসর বসিয়ে অবৈধ ব্যবসা করেছেনকাউন্টার বসিয়ে তুলেছেন চাঁদাশিমরাইল ট্রাক টার্মিনালকে অপরাধের ঘাঁটি বানিয়েছিলেনসব ধরনের মাদকের ট্রানজিট ছিল এই ট্রাকস্ট্যাণ্ডযার অধিকাংশই পরিচালিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায়এমনকি লোক দেখানো অভিযানে ৪ বস্তা ফেনসিডিল ধরে ৬৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে নিশ্চুপ থেকেছে ক্ষমতাধর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীমদ, জুয়া, যাত্রাসহ বিভিন্ন অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠযুব সমাজ ধ্বংসের মুখেকিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না কারোকারণ নূর হোসেনের বিরুদ্ধে গেলেই তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছেপ্রাণ রক্ষায় ছাড়তে হয়েছে এলাকা
নীলা জানান, শুধু আমি কেন নূর হোসেনের ক্ষমতার কাছে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের অনেকেই জিম্মিনূরের সব ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ ছিলআর টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ থাকায় কেউই সিটি করপোরেশন, আইনশৃঙ্খলা কমিটিসহ কোনো বৈঠকেই নূর হোসেনের অপকর্ম নিয়ে কথা বলতেন নাএতে নূরের অনিয়ম-দুর্নীতি কমার পরিবর্তে ক্রমেই বেপরোয়াভাবে বেড়েছে
মোটা অঙ্কের মাসোয়ারার বিনিময়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা বেশ কয়েকজন নূর হোসেনকে উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন দেখিয়েছিলেনতারা নূর হোসেনকে এমপি নমিনেশন পর্যন্ত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেনএমনকি বড় ধরনের অপরাধ করলেও কতিপয় এসব নেতার কাছে মিলেছে ভালো মানুষের ছাড়পত্রতারা তদবির করে অপরাধ ধামাচাপা দিতেনএসব অনিয়ম দেখতে দেখতে ক্ষমতার লোভে বিভোর হয়ে ওঠেন নূর হোসেনঅব্যাহতভাবে করতে থাকেন বড় বড় অপরাধএরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ, র্যাব, সার্জেন্ট, ম্যাজিস্ট্রেটসহ সাধারণ মানুষদের পিটিয়ে জখম ও পঙ্গু করেছে নূর হোসেন ও তার বাহিনীনূর হোসেন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলসে ভিভিআইপি স্টাইলে চলাফেরা করেছেরাস্তায় বেরুলে থেকেছে ১০/১৫টি গাড়িবহরতার পোষা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র উঁচিয়ে বেপরোয়া চলাফেরা করেছে
নির্মম ও বর্বর ৭ হত্যাকাণ্ডে ব্যথিত-মর্মাহত উল্লেখ করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন কাউন্সিলর নীলাতিনি বলেন, আমি তখন চিকিত্সার জন্য বাবা-মাসহ ভারতেবিষয়টি ফোনে জেনেছিকারা অপহরণ-খুন করেছে তা জানতে পারিনিতবে ভারতে থাকাকালে নূর হোসেন বারবার ফোন করে আমার অবস্থান জানতে চেয়েছেএমনকি কোথায় উঠেছি তার ঠিকানাওএ সময় আরও বলেছে, তুমি থাক আমি আসছিএবার ভারতে গিয়ে তোমাকে আর বাংলাদেশে আসতে দেব নাভারতেও নূর হোসেনের ব্যাপক প্রভাব চিন্তা করে কাউকে না জানিয়ে আমি দ্রুত টিকিট কেটে ২৮ এপ্রিল দেশের উদ্দেশে রওনা দেইএদিনও নূর তার ব্যক্তিগত ফোন থেকে আমার সঙ্গে বারবার কথা বলেছে কারণ আমি নূরের নজরের বাইরে গেলেই অনেকটা পাগলের মতো আচরণ শুরু করতভাবতআমি হয়তো কারো সঙ্গে চলে যাচ্ছিবিয়ে করছিসে কখনই চাইত নাআমি কারো সঙ্গে কথা বলিহাসিখুশি থাকিআমার ব্যক্তিস্বাধীনতা নয়; বরং পুতুল করে রাখতে চাইত সেআমাকে সে বিয়ে করবে না আবার কাউকে বিয়েও করতে দেবে না
নীলা বলেন, দেশে থাকি আর বিদেশে থাকি প্রতিদিন সে একাধিকবার ফোন দিত আমাকে ২৮ তারিখের পর থেকে সে আর ফোন দেয়নিএখন বেঁচে আছে না মারা গেছে, বিদেশে পালিয়ে গেছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আছে সে প্রশ্ন নারায়ণগঞ্জবাসীর মতো আমারও
প্রসঙ্গত জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের , ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরসিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুব মহিলা লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নীলার শিক্ষাজীবন ছিল নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ, সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতি মোহন পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

AD BANNAR