Wednesday, 25 December 2013

শাকিবের সঙ্গে এবার তিশা


গত বছর 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী' ছবিতে শাকিব খানের সঙ্গে জয়া আহসানের অভিনয় আলোচিত হয়। এবার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিশা বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন শাকিবের সঙ্গে। নাম 'প্রেম করে আমি মরবো'। গত সোমবার রাতে এতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তারা। সাফিউদ্দিন সাফির পরিচালনায় এটি প্রযোজনা করছে ফ্রেন্ডস মুভিজ ইন্টারন্যাশনাল। রুম্মান রশীদ খানের কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ নিয়ে এর দৃশ্যধারণ শুরু হবে আসছে ফেব্রুয়ারিতে।
তিশা এর আগে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার' ও 'টেলিভিশন' ছবিতে কাজ করেছেন। এ ছাড়া প্রয়াত তারেক মাসুদের 'রানওয়ে' ছবিতে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। 'প্রেম করে আমি মরবো' তার চতুর্থ ছবি। তিনি বলেন, 'বাণিজ্যিক ছবি বলতে কিছু বুঝি না। সবসময়ই ভালো গল্পের ছবিতে কাজ করতে চেয়েছি। এ ছবির গল্পটা অসম্ভব সুন্দর। চরিত্রটিও লোভনীয়। শাকিব খানের সঙ্গে এই ক'দিন ছবি নিয়ে আলোচনা করে বুঝেছি, ভালো কাজের জন্য তার দরদ অপরিসীম। চলচ্চিত্র ঘিরেই এখন আমার স্বপ্ন। এ কারণে শিগগিরই ছোট পর্দা থেকে ছুটি নেবো।'
'প্রেম করে আমি মরবো' ছবির সব ক'টি গান লিখেছেন কবির বকুল, সঙ্গীত পরিচালনায় শওকত আলী ইমন ও কৌশিক হোসেন তাপস। শাকিব বলেন, "এ বছর আমার মুক্তিপ্রাপ্ত সফল ছবির তালিকায় 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী' অন্যতম। ওই ছবির প্রায় সবাই আছেন 'প্রেম করে আমি মরবো'তে। এর গল্প, সংলাপেও নতুনত্ব আছে। দেশে এবং দেশের বাইরে কাজ করা হবে।"

ব্যবসা থেকে শেখ হেলালের আয় বেড়েছে

ব্যবসা থেকে শেখ হেলালের আয় বেড়েছেবাগেরহাট-১ আসনের এমপি প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন। তার স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ আছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৭ টাকার। পাঁচ বছর আগে দেওয়া হলফনামার তুলনায় এবার তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ৮৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩০ টাকা।
সমকাল প্রতিবেদক
বাগেরহাট-১ আসনের এমপি প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন। তার স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ আছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৭ টাকার। পাঁচ বছর আগে দেওয়া হলফনামার তুলনায় এবার তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ৮৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩০ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় তিনি ব্যবসা থেকে আয় উল্লেখ করেছিলেন বছরে ৮ লাখ ৮ হাজার ৩০০ টাকা। এবার একই খাত থেকে আয় হয়েছে ৯১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩০ টাকা।
হেলালের হাতে এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত নগদ আছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ১৭৩ টাকা ও স্ত্রীর কাছে নগদ আছে ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল যথাক্রমে ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার নামে বর্তমানে ব্যাংকে জমা আছে ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৩ টাকা ও স্ত্রীর নামে আছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৩ টাকা। পাঁচ বছর আগে শুধু নিজ নামে জমা ছিল ৭ হাজার ৩২৫ টাকা। একটি পরিবহন কোম্পানিতে নিজ নামে শেয়ার আছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ২০০৮ সালেও এই কোম্পানিতে এ অঙ্কের শেয়ার ছিল। আগে তার কোনো সঞ্চয়পত্র না থাকলেও এবার ৫ বছর মেয়াদি ৪০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের কথা উল্লেখ আছে। পাঁচ বছর আগে তার ৩১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার দুটি গাড়ির সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে আরও ৬৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকার একটি নতুন গাড়ি। নিজ নামে ১১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে। এ ছাড়াও ৩০ জুন পর্যন্ত মূলধনের জের আছে ১ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭২৪ টাকা। ব্যবসায় নগদ ও ব্যাংক উদ্বৃত্ত আছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৯২ হাজার ২৪৬ টাকা। স্ত্রীর নামে মূলধনের জের আছে ১ কোটি ৪১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৪ টাকা এবং ব্যবসায় নগদ ও ব্যাংক উদ্বৃত্ত ২০ লাখ ৩১ হাজার ২৪০ টাকা।
শেখ হেলালের স্থাবর সম্পদ আছে বসুন্ধরায় ২ কোটি ৭৯ লাখ ২৭ হাজার ৫৬০ টাকার একটি ও পূর্বাঞ্চল প্রকল্পে ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার অকৃষি জমি। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার বাবার দান করা ৬০ কাঠা অকৃষি জমি আছে, যার মূল্য অজানা বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। তার কোনো দায়-দেনা নেই।

দীপু মনির ৫ লাখ টাকার সম্পদ বেড়ে ৮৪ লাখ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নবম সংসদের পুরো মেয়াদেই ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। ভাগ্যবতী দীপু মনি জীবনে প্রথম এমপি হয়েই মন্ত্রিত্ব পেলেন। তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
সমকাল প্রতিবেদক
দীপু মনির ৫ লাখ টাকার সম্পদ বেড়ে ৮৪ লাখসাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নবম সংসদের পুরো মেয়াদেই ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। ভাগ্যবতী দীপু মনি জীবনে প্রথম এমপি হয়েই মন্ত্রিত্ব পেলেন। তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার বিদেশ ভ্রমণ একটি রেকর্ড বলেও অনেকে মনে করেন। আলোচিত এই সাবেক মন্ত্রীর পাঁচ লাখ টাকার সম্পদ পাঁচ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লাখ ২ হাজার ১৫১ টাকায়। এ সময় তার স্বামীর সম্পদ আট লাখ ৮০ হাজার টাকা বেড়েছে এবং যুক্ত হয়েছে একটি বিলাসবহুল গাড়ি; নিজের নামে ৩৩ লাখ টাকার ১০ কাঠা জমি, আট লাখ টাকার স্বর্ণসহ অনেক অর্থ।
চাঁদপুর-২ আসন থেকে এবারও আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী হয়েছেন। তবে তিনিসহ চাঁদপুর জেলার সব প্রার্থীই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৪ জনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। পাঁচ বছর আগে ডা. দীপু মনির পেশা থেকে বছরে তিন লাখ টাকা আয় থাকলেও এবার তার আয় শুধু মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত পারিতোষিক ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ভাতা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ আছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ও স্বামীর নামে চার লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে নিজের নামে ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার ও স্বামীর নামে আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
আগে তাদের কোনো টাকা না থাকলেও পাঁচ বছর পর এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৮৮ টাকা এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন তথ্য অনুযায়ী স্বামীর নামে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টাকা আছে। শেয়ার ও বন্ডে স্বামী-স্ত্রী কারও নামে কোনো বিনিয়োগ না থাকলেও সঞ্চয়পত্রে নিজের নামে আছে ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৩ টাকা। আগে স্বামীর ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ থাকলেও এবার ঘরটি ফাঁকা রয়েছে। আসবাবপত্র নিজ নামে দ্বিগুণ হয়ে এক লাখ টাকা হলেও স্বামীর নামে ৫০ হাজার টাকার আসবাব অপরিবর্তিত আছে। এ ছাড়া অন্যান্য হিসাবে স্বামীর নামে আছে আরও আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে পাঁচ বছরে তার নিজের নামে ৩৩ লাখ টাকা দামে ১০ কাঠা অকৃষিজমি যুক্ত হয়েছে। স্বামীর নামের আগের ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা অকৃষিজমি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করে একই দামে এবার দুটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার দায়দেনার ঘরে লেখা হয়েছে 'প্রযোজ্য নয়'।

AD BANNAR