শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রাশেদ।
রাশেদ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দাবি ছিল জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। আমরা যখন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাই, তখন তাদের অফিস থেকে আমাদের মিছিলে হামলা করা হয়। প্রতিবাদে আমরা মশাল মিছিল বের করি। মিছিলটি যখন কার্যালয়ের দিকে যায়, তখন তারা দ্বিতীয় দফায় হামলা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে আমরা সাড়ে ৯টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের ডাক দিই। কিন্তু সেটি শুরু করতে না করতেই সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরও কেন এভাবে হামলা হলো, প্রশ্নে করেন রাশেদ।
রাশেদ বলেন, আমি অবাক হয়ে গেলাম। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন না থাকলে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হয় না। আমরা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমরা মনে করি, এই সরকার জাতীয় পার্টিকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় রক্তাক্ত আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। পরে ঘটনাস্থল থেকে নুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
নুরের ফেসবুকে দেওয়া একাধিক লাইভে দেখা গেছে, তার মুখ থেকে বুক পর্যন্ত পুরো রক্তাক্ত। নাক ফেটে গেছে। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের তাকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতলে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
একটি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফায় জাপা নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। সেনাবাহিনী এসে জাপা নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের ঘটনাস্থল ছাড়তে ১০ মিনিট সময় দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় সেখানে ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয়। এতে নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
এদিকে জাতীয় পার্টি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার পর এ অভিযোগ তোলেন তারা।
তারা বলেন, অনতিবিলম্বে গণহত্যার দায়ে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যদি বিচার না করা হয় তাহলে ছাত্র, শ্রমিক-জনতা তাদের বিচার করবে।